গাজা নিয়ে ট্রাম্প, হামাস ও ইসরায়েলের অবস্থানে এখনো ‘অস্পষ্টতা’
Автор: newturn24
Загружено: 2025-10-04
Просмотров: 89
Описание:
গাজা নিয়ে ট্রাম্প, হামাস ও ইসরায়েলের অবস্থানে এখনো ‘অস্পষ্টতা’
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলা পুরোপুরি বন্ধ হবে কি না এবং সেখানে শান্তি ফিরবে কি না–– এ নিয়ে এখনো রয়ে গেছে অনেক প্রশ্ন।
যদিও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনা মেনে ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দিতে রাজি হয়েছে হামাস, তবে কিছু বিষয়ে আলোচনা করতে চায় তারা।বিবিসি
ট্রাম্প হামাসের বিবৃতিকে ইতিবাচকভাবে নিলেও তাদের ‘আলোচনার’ দাবি নিয়ে এখনো কিছু বলেননি।
এদিকে, ট্রাম্পের পরিকল্পনার ‘প্রথম ধাপ’ অনুযায়ী গাজায় সামরিক অভিযান সীমিত করা হবে হবে বলে যদিও জানিয়েছে ইসরায়েল, তবে হামলা পুরোপুরি বন্ধ হবে কি না এরকম কিছু বলেনি তারা।
ট্রাম্প ইসরায়েলকে গাজায় বোমা হামলা বন্ধ করার আহ্বান জানানোর পরও শনিবার ভোরে গাজায় বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণ দেখা গেছে। অন্তত তিনটি জায়গায় ইসরায়েলি হামলা হয়েছে বলে স্থানীয় আল-শিফা হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি বোমা হামলার কারণে গত ২৪ ঘণ্টায় উপত্যকার হাসপাতালগুলো ৬৬ জনের মৃতদেহ এবং ২৬৫ জনকে আহত অবস্থায় আনা হয়েছে। অ্যাম্বুলেন্স ও বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্মিরা পৌঁছাতে না পারায় এখনো অনেক ভুক্তভোগী ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় পড়ে আছেন।
মন্ত্রণালয় অনাহার এবং অপুষ্টির কারণে দুই শিশুর মৃত্যুর তথ্যও রেকর্ড করেছে, যার ফলে অপুষ্টিতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৪৫৯ জনে দাঁড়িয়েছে, যার মধ্যে ১৫৪ জন শিশু।
ট্রাম্পের পরিকল্পনা
গত সপ্তাহে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর হোয়াইট হাউস সফরের সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প তার ২০-দফা শান্তি পরিকল্পনা প্রকাশ করেন।
পরিকল্পনার গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি প্রস্তাব হলো:
গাজায় সামরিক অভিযান অবিলম্বে বন্ধ করা।
হামাসের হাতে আটক ২০ জন জীবিত ইসরায়েলি জিম্মি এবং দুই ডজনেরও বেশি মৃতদেহের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মুক্তি।
শত শত আটক ফিলিস্তিনিকে এবং গাজার অন্যান্য বাসিন্দাদের দেহাবশেষ মুক্ত করবে ইসরায়েল।
হামাস তাদের অস্ত্র সমর্পণ করবে এবং গাজা শাসনে তাদের কোনো ভূমিকা থাকবে না।
পক্ষগুলো এসব প্রস্তাবে সম্মত হলে “পূর্ণ সহায়তা” অবিলম্বে গাজা উপত্যকায় পাঠানো হবে।
ট্রাম্পের নেতৃত্বে এবং প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার এবং অন্যান্য নেতাদের অন্তর্ভুক্ত করে একটি আন্তর্জাতিক “বোর্ড অব পিস” বা “শান্তি বোর্ড” গঠন করা হবে এবং এর তত্ত্বাবধানে একটি “টেকনোক্র্যাটিক, অরাজনৈতিক ফিলিস্তিনি কমিটির” মাধ্যমে গাজা উপত্যকার ভবিষ্যত শাসনব্যবস্থা পরিচালনা করা হবে।
এই পরিকল্পনাটি ভবিষ্যতের ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের জন্য দরজা উন্মুক্ত রেখেছে। যদিও নেতানিয়াহু সোমবার ফিলিস্তিন রাষ্ট্র নিয়ে এই প্রস্তাবটি বাতিল করে দিয়েছেন।
হামাস কোন কোন বিষয়ে সম্মত হয়েছে আর কোনগুলোতে হয়নি?
গাজার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস শনিবার যে বিবৃতি প্রকাশ করেছে, সেখানে ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনায় পুরোপুরি সম্মতি জানানো হয়নি।
তবে যুদ্ধ শেষ করার জন্য পশ্চিমা বিশ্ব ও আরব নেতারা যেসব বিষয়কে অতি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছিলেন, সেগুলো মেনে নেয়ার কথা জানিয়েছে তারা।
যেসব বিষয়ে তারা একমত হয়েছে:
হামাস তাদের হাতে বন্দি থাকা সব ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিতে রাজি হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার শান্তি পরিকল্পনা গ্রহণের জন্য রোববার সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত সময়সীমা দেয়ার মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরেই তারা এই তথ্য জানায়।
একইসঙ্গে হামাস এটাও বলেছে যে তারা “ফিলিস্তিনি জাতীয় ঐকমত্য এবং আরব ও ইসলামী নেতাদের সমর্থনের ভিত্তিতে” প্রস্তাবিত স্বাধীন ফিলিস্তিনি সংস্থার (যা টেকনোক্র্যাটদের মাধ্যমে পরিচালিত হবে) কাছে গাজা উপত্যকার প্রশাসন হস্তান্তর করতেও রাজি আছে।
যেসব বিষয়ে হামাস আলোচনা চায়:
গোষ্ঠীটি তাদের বিবৃতিতে নিরস্ত্রীকরণের কথা উল্লেখ করেনি।
গাজার শাসনব্যবস্থায় ভবিষ্যতে আর কোনো ভূমিকা পালন করবে না, এরকম কিছুও তারা বলেনি।
তবে ট্রাম্প এই বিষয়গুলোতে রাজি হবেন কি না তা এখনো স্পষ্ট নয়।
এদিকে, ২০২৩ সালে ৭ অক্টোবরের হামলায় অংশগ্রহণকারী হামাসের মিত্র ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদ (পিআইজে) প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনার প্রতি হামাসের প্রতিক্রিয়াকে সমর্থন করেছে।
প্রায় দুই বছর আগের ওই হামলার সময় ইসরায়েল থেকে ধরে নেয়া ২৫১ জনের মধ্যে, হামাসের হাতে এখনো ৪৮ জন জিম্মি রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে মাত্র ২০ জন জীবিত বলেও মনে করা হচ্ছে।
এছাড়া, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ বন্ধে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং হামাসের বক্তব্যকে “ইতিবাচক” বলে বর্ণনা করেছেন।
ইসরায়েল কী করছে
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম বলছে, শান্তি পরিকল্পনার প্রথম পর্যায়ে এগিয়ে নিতে আলোচনাকারী দলগুলোকে আলোচনা আবার শুরু করার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
হারেৎজ এবং চ্যানেল টুয়েলভ এর প্রতিবেদন অনুসারে, তাদের আলোচনার জন্য “আজই চলে যাওয়ার” প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, যদিও আলোচকরা কোথায় ভ্রমণ করবেন তা স্পষ্ট নয়।
(১ম অংশ)
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: