বিশ্ব নবীর {সাঃ} প্রতি অগাধ ভালোবাসা সাহাবাদের কেমন ছিল?? মামুনুর রশীদ|| Mamunur Rashid ||
Автор: ALOR POTHE NOJIBUL
Загружено: 2025-09-20
Просмотров: 38
Описание:
#বিশ্বনবীসাঃ #সাহাবাদের #ঘটনা #AlorpotheNojibul
বিশ্ব নবীর {সাঃ} প্রতি অগাধ ভালোবাসা সাহাবাদের কেমন ছিল?? মামুনুর রশীদ|| Mamunur Rashid
Click here to subscribe to Alor pothe Nojibul channel : / @nojibulmondal7088
হযরত আবু বকর (রা.) বললেন, আমি আগেই বলেছি হে ওমর তুমি আমার চেয়ে খেলাফতের বেশি উপযুক্ত
উয়াইনা ইবনে হাসান (রা.) এবং আকরা ইবনে হাবেস (রা.) একদিন হযরত আবু বকর (রা.)-এর খেলাফত আমলে তাঁর কাছে গেলেন। তারা বললেন, হে আমীরুল মোমেনীন আমাদের বাড়ির কাছে একটি অনাবাদী সরকারী জমি রয়েছে। সেখানে শুধু ঘাস জন্মে। আপনি যদি উক্ত জমি আমাদেরকে জায়গীর হিসেবে দেন তবে আমরা সেখানে কৃষি কাজ করবো। হযরত আবু বকর (রা.) আবেদন অনুযায়ী একটি দলিল প্রস্তুত করে উক্ত দুজনকে সেই জমি দিয়ে দিলেন। সাক্ষী হিসাবে হযরত ওমর (রা.)-এর নাম লেখা হলো। হযরত ওমর (রা.)-এর স্বাক্ষর নেয়ার জন্য উক্ত দুইজন সাহাবীকে পাঠানো হলো। হযরত ওমর (রা.) দলিল হাতে নিয়ে দলিলের লেখা ফেটে দিলেন এবং থু থু দিলেন। দুই সাহাবীকে তিনি বললেন, রাসূল (স.) তোমাদেরকে ভালবাসতেন, সে সময় ইসলাম ছিল দুর্বল। বর্তমানে আল্লাহ তায়ালা ইসলামকে সম্মান দিয়েছেন। শক্তি দিয়েছেন। তোমরা যাও, চেষ্টা করো আল্লাহর কাছে সাহায্য চাও। তবে আমি বলি আল্লাহ যেন তোমাদেরকে সাহায্য না করেন। উক্ত দুই সাহাবী চরম বিরক্ত হয়ে হযরত আবু বকর (রা.)-এর নিকট এসে বললেন, খলীফা কে, আপনি নাকি হযরত ওমর? হযরত আবু বকর (রা.) বললেন, খলীফাতো ইচ্ছা করলে তিনি হতে পারতেন কিন্তু হননি। এমন
হযরত ওমর (রা.) কেন অমর
সময় হযরত ওমর (রা.) এসে রাগতভাবে হযরত আবু বকরকে বললেন, আপনি যে জমি ওই দুইজনকে দিয়ে দিলেন সেই জমি আপনার নাকি মুসলমানদের? হযরত আবু বকর (রা.) বললেন, আমার আশেপাশে যারা আছে তারা আমাকে পরামর্শ দিয়েছে। হযরত ওমর (রা.) বললেন, কিন্তু আপনি কি সকল মুসলমানদের জন্য পরামর্শ চেয়েছেন নাকি ঐ দুইজনের জন্য চেয়েছেন? হযরত আবু বকর (রা.) বললেন, আমি আগেই বলেছিলাম, হে ওমর তুমি খেলাফত পরিচালনায় আমার চেয়ে বেশি উপযুক্ত। কিন্তু তোমরা আমার কথা রাখো নাই বরং আমার উপরেই খেলাফতের দায়িত্ব ন্যস্ত করেছ।
সাহাবাগণ সরাসরি হযরত ওমর (রা.)-কে কিছু জিজ্ঞাসা করতেন না
হযরত ওমর (রা.) খলীফা হওয়ার পর সাহাবাগণ কোন বিষয়ে কোন কথা সরাসরি হযরত ওমর (রা.) কে জিজ্ঞাসা করতেন না। হযরত ওসমান (রা.) অথবা হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আওফ (রা.)-এর মাধ্যমে জিজ্ঞাসা করতেন। হযরত ওমর (রা.)-এর খেলাফত আমলে হযরত ওসমান (রা.) রাদিফে নামে পরিচিত ছিলেন। রাদিফে এমন ব্যক্তিকে বলা হয় যিনি অন্য মানুষের প্রতিনিধিত্ব করেন। আরবী ভাষায় এমন ব্যক্তিকেও রাদিফ বলা হয় যার নাম, ক্ষমতাসীন খলীফার পরবর্তী সময়ে মনোনয়নের জন্য আলোচিত হয়। হযরত ওমর (রা.) এবং হযরত ওসমান (রা.) কোন বিষয়ে সিদ্ধান্তে উপনীত হতে সক্ষম না হলে হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.)-এর পরামর্শ নেয়া হতো।
রাসূলের (স.) একটি হাদীস শুনে হযরত ওমর (রা.) বিষণ্ণ হলেন
হাওয়াজেন গোত্রের নিকট থেকে যাকাত আদায়ের জন্য হযরত ওমর (রা.) বাশার ইবনে আসেমকে মনোনীত করলেন। আদেশ পাওয়ার পরও হযরত আসেম (রা.) ঘরে বসে রইলেন। হযরত ওমরা (রা.) তার সাথে দেখা
রাসূলের (স.) একটি হাদীস শুনে হযরত ওমর (রা.) বিষণ্ণ হলেন
হাওয়াজেন গোত্রের নিকট থেকে যাকাত আদায়ের জন্য হযরত ওমর (রা.) বাশার ইবনে আসেমকে মনোনীত করলেন। আদেশ পাওয়ার পরও হযরত আসেম (রা.) ঘরে বসে রইলেন। হযরত ওমরা (রা.) তার সাথে দেখা করে বললেন তুমি যাচ্ছ না কেন? আমার আদেশ পালন কি তোমার কর্তব্যের মধ্যে পড়ে না? বাশার ইবনে আসেম বললেন আপনার আদেশ শিরোধার্য। কিন্তু আমি রাসূল (স.) কে বলতে শুনেছি যাকে মুসলমানদের নেতা নির্বাচিত করা হয়েছে সে যদি সততার সাথে ন্যায় নীতির সাথে দায়িত্ব পালন করে তবে কেয়ামতের দিন নাজাত পাবে। আর তা যদি না করে তবে সেই কঠিন দিনে দোযখের উপর স্থাপিত একটি পুলের উপর তাকে দাঁড় করানো হবে। সেই পুল ফেটে যাবে এবং সে ব্যক্তি দোযখের দিকে ৭০ বছর যাবত পতিত হতে থাকবে। সেই দোযখ গভীর অন্ধকারে পরিপূর্ণ।
হযরত ওমর (রা.) কেন অমর
হযরত ওমর (রা.) এই হাদীস শোনার পর বিষণ্ণ মনে হযরত আসেমের গৃহ থেকে ফিরে যাচ্ছিলেন। পথে হযরত আবু যর গেফরী (রা.)-এর সাথে দেখা হলো। আবু যর (রা.) বিষণ্ণতার কারণ জানতে চাইলে হযরত ওমর (রা.) আসেমের নিকট শোনা হাদীসের কথা জানালেন। হযরত আবু যর (রা.) বলেন, আপনি কি এই হাদীস শোনেননি? হযরত ওমর (রা.) বললেন না শুনিনি। হযরত আবু যর (রা.) তখনই সেই হাদীস হযরত ওমর (রা.) কে শোনালেন। হযরত ওমর (রা.) বললেন, কেউ কি আছে যে আমার নিকট থেকে খেলাফতের এই দায়িত্ব গ্রহণ করাবে? হযরত আবু যর (রা.) বললেন, এই দায়িত্ব সেই ব্যক্তিই গ্রহণ করবে আল্লাহ যার নাক কেটে দিয়েছেন। তবে আমার জানা মতে আপনার জন্য এই খেলাফতের দায়িত্ব পালনে কল্যাণ রয়েছে। যদি আপনি অনুপযুক্ত কারো উপর এ দায়িত্ব ন্যস্ত করেন তবে সেজন্য আপনি পাপের ভাগী হবেন।
নিযুক্ত গবর্নরদের বিষয়ে হযরত ওমর (রা.)-এর খবরদারি
হযরত ওমর (রা.) কোন গবর্নর নিযুক্ত করার পর সেই এলাকা থেকে আগত প্রতিনিধি দলের নিকট সেই গবর্নর সম্পর্কে খোঁজ খবর নিতেন। তিনি জানতে চাইতেন তোমাদের গবর্নর কেমন? তিনি কি ক্রীতদাসদের প্রতি সেবা ও সহানুভূতি প্রকাশ করেন। জানাযার পেছনে যান? তার দরোজার অবস্থা কেমন? নরম নাকি গরম? যদি জিজ্ঞাস্য বিষয়ে, সেই গবর্নর সম্পর্কে প্রশংসনীয় কথা বলা হতো তবে গবর্নরকে স্বপদে বহাল রাখতেন অন্যথা তাকে বরখাস্ত করার আদেশ সম্বলিত চিঠি তৈরি করে পত্রবাহককে পাঠাতেন।
গবর্নর নিয়োগের সময় হযরত ওমর (রা.) দেয়া শর্তাবলী
মনোনীত গবর্নরদের কর্মক্ষেত্রে প্রেরণের আগে হযরত ওমর (রা.) নিম্নোক্ত শর্তাবলী পালনের ব্যাপারে তাদের নিকট থেকে অঙ্গীকার গ্রহণ করতেন। শর্তাবলী হচ্ছে- (১) তুর্কী ঘোড়ায় আরোহণ করবে না। (২) চালুনিতে ছানা আটার রুটি খাবে না। (৩) মিহিন পোশাক পরিধান করবে না। (৪) নিজেদের প্রয়োজনে কেউ দেখা করতে এলে দরজা বন্ধ রাখবে
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: