পাহাড়ি অঞ্চল অশান্ত করতে সশস্ত্র গোষ্ঠী গুলোর পাশে বিদেশী শক্তি? Army
Автор: গ্লোবাল বাংলা নিউজ
Загружено: 2025-11-09
Просмотров: 529
Описание: খাগড়াছড়ির বর্মাছড়ির দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চল যে ভাবে কালো মেঘে ঢেকে গেলো পুরো আকাশ। দূর পাহাড়ে কখনো ক্ষীণ আলো জ্বলে ওঠছে। এ আলো কি আগুন? নাকি চোখেরই বিভ্রম? ঠিক তখনই কানে আসতে শুরু করে একর পর এক গুলির শব্দ, গ্রামের মাটি কেঁপে ওঠছে বিস্ফোরণের শব্দে। শিশুরা ভয়ে কান্না করছে। বৃদ্ধরা আতঙ্কিত ফিসফাস "ওরা এসেছে অস্ত্র নিয়ে ! তবে পাহাড়ে এমন দৃশ্য এখন আর নতুন নয়। বরং এ অদৃশ্যের গভীরে লুকিয়ে আছে দীর্ঘদিনের সংগঠিত ষড়যন্ত্র। বর্মাছড়ি ইউনিয়ন খাগড়াছড়ি সদর থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরত্ব। তবে বাস্তবে এটি যেন এক ধূসর সীমারেখা, যেখানে প্রশাসনের চোখ পৌঁছায় না আর আইন হারিয়ে ফেলে তার নিজ অস্তিত্ব। এই এলাকাটি যুক্ত রাঙ্গামাটি ও চট্টগ্রামের সীমান্ত পথের সাথে। অর্থাৎ সশস্ত্র গোষ্ঠী গুলোর জন্য এক আদর্শ ট্রানজিট করিডর। স্থানীয় সূত্র গুলো বলছে ইউপিডিএফ এখন এখানেই গড়ে তুলেছে তাদের অস্ত্রের মজুদ, প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ও কৌশল পরিচালনার করার প্রধান ঘাঁটি । ভারত মিয়ানমার সীমান্ত ঘেঁষা চোরাপথ দিয়ে ঢুকছে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র। এ অস্ত্র কিনছে শুধু পাহাড়িরা নয় সমতলের অপরাধীরাও। অপহরণ। চাঁদাবাজি। খুন। সবই এখন নিত্যদিনের ঘটনা। চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, সাঁওতালসহ নানা জাতিগোষ্ঠীর সাধারণ মানুষ এখন দাঁড়িয়ে আছে দুই আগুনের মাঝখানে। সেনা অভিযান গুলো প্রাথমিক সাফল্য আনলেও স্থায়িত্ব পায়নি। কারণ পাহাড়ের দুর্গম রাস্তাঘাট কারনে সঠিক সময়ে হস্তক্ষেপ প্রায় সময় অসম্ভব হয়ে পড়ে । সেনা অভিযান শুরু হতে না হতেই ইউপিডিএফ নিয়েছে নতুন কৌশল। গুজবের যুদ্ধ। সোশ্যাল মিডিয়া যুদ্ধ। ফেসবুক পেজে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে সেনাবাহিনী দখল করেছে বনবিহার । ধর্মীয় নিপীড়ন শিক্ষার হচ্ছে পাহাড়ে মানুষ । কিন্তু সরকারি নথিতে পরিষ্কার এটি একটি খাস জমি। যেটি ১৯৩৪ সালের কলকাতা গেজেটে উল্লেখিত এক সংরক্ষিত বনাঞ্চল। বিহার নয়। ধর্মীয় স্থাপনা নয়। সেনাবাহিনী সেখানে শুধু অস্থায়ী টহল ক্যাম্প স্থাপন করতে চায়। তবে গুজব ছড়িয়ে জনগণকে ভুল পথে ঠেলে সেনা উপস্থিতিকে অবৈধ দেখানোর অপচেষ্টা চলছে। এমনকি নারী ও শিশুকে মানবঢাল হিসেবে ব্যবহারের প্রমাণও মিলেছে। বিশ্ব ইতিহাস বলেছে যেখানে রাষ্ট্র তার সেনা উপস্থিতি কমিয়েছে, সেখানেই সশস্ত্র গোষ্ঠী গড়ে তুলেছে নিজস্ব প্রশাসনিক রাষ্ট্র কাঠামো। যার অন্যতম উদাহরণ পূর্ব তিমুর। দক্ষিণ সুদান। কসোভো। প্রতিটি অবহেলাই জন্ম দিয়েছে নতুন এক সীমান্তের। অধ্যাপক শহিদুজ্জামান সতর্ক করে বলেন সেনারা যদি পাহাড় ছাড়ে, কয়েক বছরের মধ্যেই এখানে গড়ে উঠবে এক ডি-ফ্যাক্টো স্বাধীন প্রশাসন। একজন সিনিয়র সেনা কর্মকর্তা বলেন অস্ত্র আমাদের আছে তবে নির্দেশনা নেই। কৌশল গত পরিকল্পনা নেই। আমরা শুধু পাহাড় পাহারা দিচ্ছি। আর ইউপিডিএফ ধীরে ধীরে শক্তিশালী হচ্ছে । এ কথা স্পষ্ট বুঝা যাই রাষ্ট্রের নীতিতে অস্থিরতা চলছে । আর সেই শূন্যস্থানেই রোপন হচ্ছে বিদ্রোহের শিকড়। এটা শুধু পাহাড়ের সমস্যা নয়। এটা ভূ রাজনৈতিক সংঘাতের নতুন ফ্রন্টলাইন। চীন। ভারত। মিয়ানমার। এবং যুক্তরাষ্ট্র চায় এই অঞ্চলকে কৌশলগত নিয়ন্ত্রণে রাখতে। চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্প। মিয়ানমার চীন পাইপলাইন। ভারতের উত্তর পূর্ব বিচ্ছিন্নতাবাদ। সবকিছু মিলিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম হয়ে উঠেছে দক্ষিণ এশিয়ার গোপন যুদ্ধক্ষেত্রের ময়দান। #banglanews #latestnews #updatenews #breakingnews #worldnews #newstoday #bangladesh #army #
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: