ঈমান ভঙ্গের মৌলিক দশটি কারণ || যে আকিদা পোষণ করলে ঈমান ভেঙে যায়।
Автор: MD Kawsar Habib
Загружено: 2023-11-27
Просмотров: 14
Описание:
[ঈমান ভঙ্গের মৌলিক দশ কারণ এবং সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা]
[১] আল্লাহর ইবাদতে কাউকে শরীক স্থাপন করা।
•ইবাদতের ক্ষেত্রে শিরক সিজদাহ,দুআ ইত্যাদি করার দ্বারা হতে পারে।
•আবার ইবাদতে শিরক মানবরচিত আইন মান্য করার দ্বারাও হতে পারে। কেননা আইন প্রণয়নের অধিকার একমাত্র আল্লাহরই রয়েছে। আল্লাহ তায়ালা বলেন- ❝বিধান দেয়ার অধিকার একমাত্র আল্লাহর।❞ [সূরা ইউসুফ:৪০]
আল্লাহ তায়ালা আরো বলেন - ❝আল্লাহ তাঁর নিজ কর্তৃত্বে কাউকে শরীক স্থাপন করেন না।❞ [সূরা কাহফ:২৬]
খ্রিস্টানরা তাদের ধর্মযাজকদের আইন মান্য করার দ্বারা তাদেরকে রব হিসেবে গ্রহণ করেছিল। আল্লাহ তায়ালা বলেন- ❝তারা আল্লাহ ব্যতীত তাদের পন্ডিত ও ধর্মযাজকদেরকে তাদের রব হিসেবে গ্রহণ করেছে৷❞ (সূরা তাওবাহ:৩১)
কেননা তাদের ধর্মযাজকরা আল্লাহ যেটিকে হারাম করেছেন তারা তা হালাল ঘোষণা করতো,আবার আল্লাহ যা হালাল করেছেন তারা তা হারাম ঘোষণা করতো, আর তাদের অনুসারীরাও এটি মেনে নিত। আর এই মেনে নেওয়াই হচ্ছে ইবাদত
[২] আল্লাহ ও বান্দার মাঝে কাউকে মাধ্যম তৈরী করে ডাকা, তাদের নিকট দুআ এবং শাফায়াত কামনা করা। যেমন-আল্লাহর নিকট সাহায্য কামনা করার জন্য বিভিন্ন পীরকে মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করা এবং তাদের নিকট শাফায়াত কামনা করা, যাতে করে তার পীর তার হয়ে আল্লাহর নিকট দুআ করে এবং তার জন্য আল্লাহর নিকট সুপারিশ কামনা করে।
[৩] কাফির মুশরিকদের কাফির মনে না করা
•আসলি কাফির যেমন হিন্দু,বৌদ্ধ,ইহুদি,খ্রিস্টান,অগ্নিপূজারী। এসকল কাফিরকে কাফির মনে না করা কুফরি। কেননা এর দ্বারা কুরআন সুন্নাহর অকাট্য দলিলকে অস্বীকার করা হয়।
•কোনো ব্যক্তি ইসলাম ত্যাগের ঘোষণা দিয়ে তার সুস্পষ্ট কুফরকে প্রমাণ করেছে, এমতাবস্থায় এমন ব্যক্তিকেও কাফির বলা আবশ্যক। এমন ব্যক্তিকে কাফির না বললে সে নিজেই কাফির হয়ে যাবে
[৪]রাসুল (সাঃ) এর আনিত জীবন বিধানের চাইতে অন্য কোনো মতবাদ বা জীবনব্যবস্থাকে উত্তম কিংবা সমান মনে করা। যেমন-
•ইসলামি আইনের চেয়ে মানবরচিত আইনকে উত্তম মনে করা, একবিংশ শতাব্দীতে শরীয়াহ আইন প্রণয়ন করা মানানসই নয় এমন মন্তব্য করা।
•আল্লাহ যেসকল বিষয়ে বিধান নাজিল করেছেন সেসকল বিষয়ে বিধান রচনা করা। যেমন- আল্লাহ তায়ালা চোরের শাস্তি হিসেবে হাত কাটার বিধান নাজিল করেছেন, কোনো শাসক বা নেতা-নেত্রী যদি এই আইন বাতিল করে নতুন কোনো আইন প্রণয়ন করে তাহলে তা শিরক কেননা আল্লাহ বলেন - ❝আল্লাহ তাঁর নিজ কর্তৃত্বে কাউকে শরীক স্থাপন করেন না।❞ [সূরা কাহফ:২৬]
•আল্লাহ যে বিষয়গুলোকে হারাম করেছেন সেগুলোকে হালাল ঘোষণা করা। যেমন- পতিতালয় এবং মাদকের লাইসেন্স দিয়ে যিনা-ব্যভিচার এবং মাদকের অনুমোদন দেওয়া ইত্যাদি।
[৫] রাসুল (সাঃ) যে দীন বা জীবনব্যবস্থা নিয়ে এসেছেন তার সামান্য কিছুও অপছন্দ করলে বা বিদ্বেষ পোষণ করলে সে কাফির হয়ে যাবে, যদিও সে ঐ বিষয়ে আমল করে। যেমন- ইসলামি আইনে চোরের শাস্তি হাত কাটা, পর্দা করা, একের অধিক বিবাহ ইত্যাদি বিধানকে কেউ ঘৃণা বা অপছন্দ করলে সে কাফির হয়ে যাবে যদিও সে ঐ বিষয়ে আমল করে।
শাইখ আলি আল খুদাইর বলেন- কোনো নারী যদি ইসলামে একের অধিক বিবাহ বৈধ,এই বিধানকে অপছন্দ বা ঘৃণা করে তাহলে সেই নারী কাফির হয়ে যাবে। কিন্তু কোনো নারী যদি ইসলামের এই বিধানকে অপছন্দ না করে বরং তার স্বামীর ক্ষেত্রে একের অধিক বিবাহ করাকে অপছন্দ করে তাহলে এমতাবস্থায় সেই নারী কাফির হবে না
[৬] ইসলামের কোনো বিধানকে কটুক্তি করা,হাসিঠাট্টা করা। যেমন- জিহাদকে উগ্রবাদ বলা, নারীর পর্দার বিধান নিয়ে হাসিতামাশা করা ইত্যাদি
[৭] যাদু-টোনা করা কিংবা এর প্রতি সন্তুষ্ট থাকা। যেমন- স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে ভাঙন সৃষ্টি করা বা তাদের মাঝে সম্পর্ক তৈরি করার উদ্দেশ্যে কিংবা যেকোনো কারণে যাদু-টোনা করা হলে কিংবা এর প্রতি সন্তুষ্ট থাকলেও সে ব্যক্তি কাফির হয়ে যাবে
[৮] মুসলিমদের বিরুদ্ধে কাফির-মুশরিকদের সহায়তা করা। ইসলাম এবং কুফরের মাঝে যখন যুদ্ধ সংঘটিত হয়,সেই যুদ্ধে মুসলিমদের বিরুদ্ধে কাফিরদের সমর্থন করা,তাদের নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কাজ করা,তাদের আর্থিক সহায়তা করা কিংবা তাদের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করলে একজন ব্যক্তি মুরতাদ কাফির হিসেবে সাব্যস্ত হবে। যেমন: জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী বা ন্যাটোতে যোগ দিয়ে মুসলিমদের বিরুদ্ধে কাফিরদের সহায়তা করা
[৯]কেউ শরীয়তের উর্ধ্বে থাকতে পারে এমন বিশ্বাস করা। যেমন- কেউ কেউ বিশ্বাস করে তার পীর বা আলিম এমন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে যে তাকে ইসলামের বিধিবিধান মান্য না করলেও চলে
[১০] আল্লাহর দীন থেকে সম্পূর্ণভাবে মুখ ফিরিয়ে নেয়া, দীনের ইলম অর্জনে অনীহা এবং এর উপর আমল করা থেকে বিমুখ হওয়া। অর্থাৎ একজন ব্যক্তি মুখে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ পাঠ করে অথচ দীনের অন্যান্য ফরজ বিধান যেমন সালাত, হজ্ব,সিয়াম,যাকাত ইত্যাদি আদায় করা থেকে মুখে ফিরিয়ে নেয়। এমন বিমুখতা কুফরি।
আবার ইসলামে টিকে থাকার মৌলিক জ্ঞানটুকুও না থাকা,আকিদার ফরজে আইন পরিমাণ ইলম অর্জনে অনীহা এবং এর উপর আমল করা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়া,এমন বিমুখতাও কুফরি। ইসলামে টিকে থাকতে হলে একজন ব্যক্তিকে বাধ্যতামূলক তাওহিদ,তাগুতের প্রকারভেদ,শিরক-কুফর,ঈমান ভঙ্গের কারণসমূহ জানতে হবে। এই জ্ঞান অর্জন করা প্রত্যেক মুসলিমের উপর ফরজে আইন।
তাগুত অস্বীকার করা ইমান আনার পূর্বশর্ত, আপনি যদি তাগুত সম্পর্কে না-ই জানেন তাহলে তাগুতকে অস্বীকার করবেন কীভাবে? আপনি যদি শিরক-কুফর এবং ঈমান ভঙ্গের কারণ সম্পর্কে না-ই জানেন তাহলে আপনি নিজের ঈমান হেফাজত করবেন কীভাবে? তাই এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা প্রত্যেক মুসলিমের উপরই ফরজে আইন। এই মৌলিক বিষয়গুলোতে ইলম অর্জন এবং এর আমল থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়া ঈমান ভঙ্গের কারণ।
উপরে উল্লিখিত কারণগুলোর কোনো একটিতেও যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে,মজা করে কিংবা ভয় পেয়েও লিপ্ত হয় তাহলে সে ব্যক্তি কাফির হয়ে যাবে যদিও সে মুখে শাহাদাহ পাঠ করে। তবে কাউকে যদি বাধ্য করা হয় প্রাণনাশ বা অঙ্গহানির ভয় দেখিয়ে এবং তার অন্তরে কুফরি না থাকে তাহলে তার কথা ভিন্ন।
#ঈমান_ভঙ্গের_কারণ #ঈমান_ভঙ্গের_মৌলিক কারণ #ঈমানের_ব্যাক্ষা #ঈমানের_আলোচনা #ঈমান
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: