Ayfel tower detailsআইফেল টাওয়ার (Eiffel Tower)
Автор: Masud Tetulia
Загружено: 2025-06-11
Просмотров: 1
Описание:
আইফেল টাওয়ার (Eiffel Tower) ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে অবস্থিত একটি বিশ্ববিখ্যাত লৌহ কাঠামো। এটি কেবল প্যারিস বা ফ্রান্সের প্রতীকই নয়, বরং বিশ্বজুড়ে প্রকৌশল, স্থাপত্য এবং রোমান্সের এক অনন্য নিদর্শন হিসেবে পরিচিত।
ইতিহাস (History)
নির্মাণের উদ্দেশ্য: ১৮৮৯ সালের বিশ্ব মেলার (Exposition Universelle) প্রবেশদ্বার হিসেবে আইফেল টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছিল। এই মেলাটি ফরাসি বিপ্লবের শতবার্ষিকী স্মরণে আয়োজন করা হয়েছিল।
ডিজাইন ও নির্মাণ: বিখ্যাত ফরাসি প্রকৌশলী গুস্তাভ আইফেলের (Gustave Eiffel) কোম্পানি এটি ডিজাইন ও নির্মাণ করে। যদিও মূল নকশাটি তাঁর কোম্পানির দুই প্রকৌশলী মরিস কোয়েচলিন (Maurice Koechlin) এবং এমিল নুগিয়ে (Émile Nouguier) তৈরি করেছিলেন।
নির্মাণের সময়কাল: এর নির্মাণ কাজ শুরু হয় ১৮৮৭ সালের ২৬শে জানুয়ারি এবং মাত্র দুই বছর, দুই মাস, পাঁচ দিনের মধ্যে ১৮৮৯ সালের ৩১শে মার্চ শেষ হয়, যা সেই সময়ের জন্য একটি অসাধারণ কীর্তি ছিল।
প্রাথমিক বিরোধিতা: নির্মাণের সময় প্যারিসের অনেক শিল্পী ও বুদ্ধিজীবী এর কঠোর বিরোধিতা করেন। তাঁরা এটিকে শহরের সৌন্দর্যের ওপর একটি "অপ্রয়োজনীয় এবং ভয়ংকর" কালো দাগ হিসেবে অভিহিত করেছিলেন। টাওয়ারটি মাত্র ২০ বছরের জন্য অস্থায়ীভাবে নির্মাণের কথা ছিল। কিন্তু এর উচ্চতার কারণে এটি রেডিও যোগাযোগের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠায় এটিকে রেখে দেওয়া হয়।
গঠন ও নকশা (Structure and Design)
উপাদান: এটি পেটা লোহা (Wrought Iron) দিয়ে তৈরি। প্রায় ১৮,০৩৮টি লোহার খণ্ডকে প্রায় ২৫ লক্ষ রিভেট (rivet) দিয়ে একত্রিত করে এর কাঠামো তৈরি করা হয়েছে।
উচ্চতা: অ্যান্টেনা সহ টাওয়ারটির বর্তমান উচ্চতা প্রায় ৩৩০ মিটার (১,০৮৩ ফুট)। তবে আবহাওয়ার পরিবর্তনের সাথে এর উচ্চতার সামান্য তারতম্য হয়; গ্রীষ্মকালে উত্তাপে এর উচ্চতা প্রায় ৬ ইঞ্চি পর্যন্ত বাড়তে পারে।
ওজন: টাওয়ারটির মোট ওজন প্রায় ১০,১০০ টন।
স্তর: পর্যটকদের জন্য এতে তিনটি স্তর রয়েছে। প্রথম এবং দ্বিতীয় স্তরে রেস্তোরাঁ ও দোকান রয়েছে এবং তৃতীয় স্তরটি সর্বোচ্চ পর্যবেক্ষণ ডেক। পর্যটকরা লিফট বা সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে পারেন।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও পরিসংখ্যান
সিঁড়ি: নিচ থেকে সর্বোচ্চ স্তর পর্যন্ত মোট সিঁড়ির সংখ্যা ১,৬৬৫টি।
রঙ: টাওয়ারকে মরিচা থেকে রক্ষা করার জন্য প্রতি সাত বছরে একবার সম্পূর্ণ রঙ করা হয় এবং এতে প্রায় ৬০ টন রঙ লাগে।
পরিদর্শক: এটি বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রগুলোর মধ্যে অন্যতম। প্রতি বছর প্রায় ৭০ লক্ষ মানুষ এটি পরিদর্শন করতে আসেন।
আলোকসজ্জা: প্রতি সন্ধ্যায় সূর্যাস্তের পর থেকে রাত ১টা পর্যন্ত, প্রতি ঘণ্টার শুরুতে ৫ মিনিটের জন্য টাওয়ারটি ২০,০০০ বাল্বের সাহায্যে ঝিকমিক করে জ্বলে ওঠে, যা এক মনোমুগ্ধকর দৃশ্য তৈরি করে।
সাংস্কৃতিক গুরুত্ব
আইফেল টাওয়ার আজ কেবল একটি স্থাপত্য নয়, এটি ফরাসি সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং প্যারিস শহরের ভালোবাসার প্রতীক। অসংখ্য চলচ্চিত্র, সাহিত্য এবং শিল্পকর্মে এর উপস্থিতি রয়েছে। এটি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ছবি তোলা স্থাপত্যগুলোর মধ্যে একটি।
সংক্ষেপে, আইফেল টাওয়ার মানব ingenuity এবং শৈল্পিক দৃষ্টিভঙ্গির এক চমৎকার উদাহরণ, যা সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে আজও কোটি কোটি মানুষকে মুগ্ধ করে চলেছে।
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: