এরকম বিভিন্ন কুর’আনের আয়াতে বোঝা যাচ্ছে যে ইসলামে জোর জবরদস্তি করে ধর্ম চাপানোর কোন নিয়ম নেই।
Автор: Amar bangla
Загружено: 2017-08-30
Просмотров: 66
Описание:
এরকম বিভিন্ন কুর’আনের আয়াতে বোঝা যাচ্ছে যে ইসলামে জোর জবরদস্তি করে ধর্ম চাপানোর কোন নিয়ম নেই। এসব আয়াতের সাপেক্ষে সূরা তাওবা-র এই আয়াতটি অন্যরকম বা বিপরীতধর্মী লাগতে পারে, যেখানে যেন বলা হচ্ছে সকল আহলে কিতাবদের (খ্রিস্টান ও ইহুদীদের) সাথে ইসলাম গ্রহণ না করা পর্যন্ত যুদ্ধ করতে হবে। আর না হয় অপমান স্বরূপ যুদ্ধপণ দিয়ে নিজেদের জীবন বাঁচাতে হবে। কিন্তু অন্য সব আয়াতের সাথে এটি পুরোপুরি কন্ট্রাডিকটরি লাগতে পারে। এভাবে দেখলে ইসলামকে খুব নিষ্ঠুর ধর্ম মনে হতে পারে। কিন্তু এই আয়াতের কনটেক্সট টা ভিন্ন। তৎকালীন সময়ে আরবের উত্তরে খ্রিস্টান সম্প্রদায় বসবাস করতো, যেখানে মহানবী (স) ইসলাম প্রচারের জন্য দূত পাঠিয়েছিলেন। সেখানে জাত-উ-তালাহ নামক স্থানে ১৫ জন দূতকে হত্যা করে, কা’ব বিন উমায়র গিফারী (রা) কোনরকমে পালিয়ে আসেন। এরকম দূত হত্যা সেই সময়ের আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসারে ভীষণ অন্যায় কাজ ছিল। এছাড়া আরেক খ্রিস্টান গভর্নর মহানবী (স) এর দূত হারিতলি বিন উমায়রকে হত্যা করে। আর সেসময়ে সেই খ্রিস্টানরা রোমানদেরকে যুদ্ধে আহবান করতে থাকে এবং যার ফলশ্রুতিতে শুরাহবিল ও সিজারের এক বিরাট সৈন্যবাহিনীর সাথে মুসলিমদের যুদ্ধ হয়, যা মূতা-র যু্দ্ধ নামে পরিচিত। পরবর্তী সময়ে রোমানদের এক কমান্ডার ফারবাহ বিন আমরাল যুজুমি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন, যাকে সিজারের সৈন্যরা পরে ধরে নিয়ে যায় এবং ইসলাম ছেড়ে না দিলে হত্যা করা হবে, এমন বলার পরও ইসলাম না ছাড়াও সেই কমান্ডারকে সিজার হত্যা করে।
মূতার যুদ্ধে পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে পরবর্তীতে সিজার নিজে সৈন্যবাহিনী প্রস্তুত করে যুদ্ধ করার জন্য। সেসময় পারস্যের সাথে যুদ্ধে সিজার জয় লাভ করায় সিজারের অনেক প্রতিপত্তি ছিল, ও ইসলামের রক্ষায় এই যুদ্ধের গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। এই যুদ্ধের প্রিপারেশনে অনেক সাহাবী অনেক ধন সম্পদ ব্যয় করেন। উমার (রা) তার সম্পত্তির অর্ধেক দান করেন, আবু বকর (রা) দান করেন সম্পূর্ণ সম্পত্তি। এই তাবুকের যুদ্ধে হাজার হাজার মুসলিম সমবেত হয়, নিজেদের প্রাণ দেওয়ার জন্য মানসিক প্রস্তুতি নেয়। ত্রিশ হাজার যোদ্ধা নিয়ে মহানবী (স) নিজে নেতৃত্ব দিয়ে তাবুকের প্রান্তরে এসে উপস্থিত হন। কিন্তু এর আগে মূতার যুদ্ধে পরাজয়ের অভিজ্ঞতায় মুসলিমদের এই সেনাবাহিনীর কারণে এবার সিজার শেষ মুহূর্তে এসে যুদ্ধ না করে ফেরত চলে যায়। সেই তাবুক যুদ্ধের সময়ই সূরা তাওবার এই আয়াত নাজিল হয়, যেখানে ওখানকার আশেপাশে অবস্থিত খ্রিস্টান অধ্যুষিত অঞ্চলগুলোতে মুসলিমরা রোমান আধিপত্যের বদলে মুসলিম আধিপত্য স্থাপন করে, যাতে ওই স্টেটগুলো ব্যবহার করে পরে রোমানরা অতর্কিত আক্রমণ না করতে পারে। ওই স্টেটগুলো এমনিতেই রোমানদেরকে কর দিতো, তো সেই হিসেবে মুসলিমদেরও কর দেবার কথা, আর এই কর দেবার ফলে রোমানদের যে কোন আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য মুসলিমরা দায়বদ্ধ হয়, এভাবেই জিযিয়ার ব্যাপারটা এসেছে। আর যদি এই স্টেটগুলো ইসলাম গ্রহণ করে, তখন জিযিয়া কর সেখান থেকে উঠিয়ে নেওয়া হয়।
২৯ নং আয়াতের পরবর্তী ৩০ নং আয়াতটি হচ্ছে:
“ইহুদীরা বলে “ওযাইর আল্লাহর পুত্র” এবং খ্রিস্টানরা বলে “মসীহ আল্লাহর পুত্র™। এ হচ্ছে তাদের মনগড়া কথা। এরা পূর্ববর্তী কাফেরদের মত কথা বলে। আল্লাহ এদের ধ্বংস করুন, এরা কোন উল্টা পথে চলে যাচ্ছে।“
অর্থাৎ, এরা একদিকে আল্লাহ্র উপাসনা করার কথা বলে, কিন্তু আল্লাহ্র প্রেরিত ধর্মকে তারা নিজের মত করে পরিবর্তন করে ফেলেছে। এই দু’টি আয়াত ছিল মুসলিম সেনাবাহিনীকে উজ্জীবিত করার আয়াত। কিন্তু এই আয়াতের উপর ভিত্তি করে পুরো সামগ্রিক ভাবে যত অমুসলিম আছে, সবার সাথে যুদ্ধ করার কথা বলা হয় নি। যদি তাই হত, তাহলে এটি কুর’আনের অন্য সব আয়াতের সাথে সাংঘর্ষিক হয়ে যেত। এই আয়াতটি একটা নির্দিষ্ট অভিযানের সাপেক্ষে এসেছে। এরকম কনটেক্সট বেইসড আয়াত কুর’আনে আরও আছে। তাই, আমরা মুসলিমরা যদি কোথাও এই আয়াতটি নিয়ে কোন ইসলাম বিরোধীদের প্রচারণা দেখি, যেন মনের মাঝে কোন দ্বিতীয় চিন্তা না আসে। এজন্যই এই নোটটা লেখা
Повторяем попытку...

Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: