বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিস জুলাই বিপ্লব: প্রত্যাশা,প্রাপ্তি ও ভবিষ্যতের পথরেখা শীর্ষক সেমিনার ২০২৫
Автор: কপোতাক্ষ টেলিভিশন
Загружено: 2025-07-31
Просмотров: 34
Описание:
৩০% কোটা পুনর্বহাল: ২০১৮ সালের সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের জন্য রিজার্ভ করা কোটা ব্যবস্থা বাঞ্ছিত ও সামঞ্জস্যপূর্ণ দাবি করে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট ৫ জুন ২০২৪-এ ওই কোটা পদ্ধতি পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত দেন।
ছাত্র আন্দোলনের সূচনা: জুন মাস থেকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা “কোটা না মেধা? মেধা- মেধা!” স্লোগানে শুরু করে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন যা দ্রুত বেগে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। জুন ৫ - জুলাই ১৫: কোটা আন্দোলনের উত্তরণ:
ছাত্রদের শান্তিপূর্ণ দাবিতে প্রথমদিকে সরকারের কোনো অর্থবহ প্রতিক্রিয় ছিল না, কিন্তু কার্যকর ভূমিকার অভাবে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায় ৷
জুলাই ১৬ থেকে আগস্ট ৫: “জুলাই গণহত্যা” ও রাজনৈতিক উত্তালতা: শাট ডাউন, কমপ্লিট শাট ডাউন, মার্চ ফর জাস্টিস, মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচীগুলো সফল করতে ছাত্রদের সাথে নেমে আসে শিশু থেকে বৃদ্ধ সর্বস্তরের জনতা। ছাত্র ও সাধারণ মানুষ সরকারের কঠোর হস্তক্ষেপের ফলে রাজপথে ব্যাপকভাবে নামলে ১৬ জুলাই পরবর্তী প্রায় ২ হাজার ছাত্র-জনতা নিহত হন।
হত্যার পর মৃতদেহ পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনাও ঘটিয়েছে ফ্যাসিস্ট সরকার। আহতের সংখ্যা ২০,০০০ এর অধিক ছিল ।
ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট: ১৮ জুলাই থেকে দফায় দফায় পুরো দেশব্যাপী ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়, যার ফলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যোগাযোগের সুযোগ কমে যায়।
৫ আগস্ট: গণ গ্রেফতার, হামলা, মামলা, খুন, গুম কিছুই রক্ষা করতে পারেনি। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করে
ভারতে পালিয়ে যায়।
৮ আগস্ট: নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনুস অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার শপথ গ্রহণ করেন ।
জুলাই বিপ্লবে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিসের অবদান:
কর্মসূচি - বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচির সাথে একাত্মতা ঘোষণা এবং অংশগ্রহণ।
১/ সারা দেশব্যাপী বিশেষ করে ঢাকা শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পয়েন্টে অবস্থান নেওয়া
২/ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস গুলোতে সমন্বয়কদের সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে মাঠ পর্যায়ে ভূমিকা পালন
৩/ আহত সমন্বয়ক ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের হাসপাতালে দেখতে যাওয়া, চিকিৎসা সহযোগিতা করা ।
৪/ বিশেষ করে যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের হল বন্ধ করে দেওয়া হয় তখন সাধারণ শিক্ষার্থীদের মজলিস অফিসে, বিভিন্ন
মসজিদে, মাদরাসায় থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করা ।
৫/ আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা। তাঁদেরকে উদ্বুদ্ধ করে আন্দোলনে সম্পৃক্ত করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন সংগঠনের দায়িত্বশীলবৃন্দ।
৬/ দায়িত্বশীলগন সকলেই সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করে।
৭/ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে ছাত্র মজলিসের শতাধিক জনশক্তি গুলিবিদ্ধ ও গুরুতর আহত হয়। এবং অনেকেই গ্রেফতারের শিকার হন ।
বিপ্লব পরবর্তী সময়ে
১/ শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন থেকে শুরু করে সংখ্যালঘুদের ঘরবাড়ি ও মন্দির পাহারা দেওয়া
হয়।
২/ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসিতে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের ব্যাপারে সমন্বয়কদের সাথে মিটিংয়ে কেন্দ্রীয় দায়িত্বশীলগন উপস্থিত
থেকে মতামত পেশ করেন।
৩/ পরবর্তীতে ছাত্র সমাজের ঐক্য ধরে রাখতে দেশব্যাপী জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহ পালন ও ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্র
সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দের সাথে ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
৪/ বিজয়ের পর সর্বপ্রথম ছাত্র মজলিস নিজস্ব ব্যানারে জুলাই বিপ্লবের হত্যাকান্ডের সাথে যারা সরাসরি জড়িত বিশেষ করে
আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবি করে ২৪ শে আগস্ট ২০২৪, শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ
সম্মেলনের মাধ্যমে। পরবর্তীতে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়।
প্রত্যাশা
বিপ্লবের প্রত্যাশাগুলো ছিল বহুমাত্রিক ও সমাজ কেন্দ্রিক:
১. গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা - একটি জনগণের সরকার, যেখানে মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে ।
২. সামাজিক ন্যায়বিচার ও সমতা প্রতিষ্ঠা, শ্রেণী বৈষম্য হ্রাস ও সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ।
৩. দমনমূলক রাষ্ট্রযন্ত্রের বিলুপ্তি, গোপন পুলিশ, সেনা-নির্ভর শাসন, ও রাজনৈতিক বন্দিত্বের অবসান ।
৪. অর্থনৈতিক সংস্কার, কর্মসংস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা ও দারিদ্র্য দূরীকরণে কার্যকর পদক্ষেপ।
৫. রাষ্ট্রের সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রের প্রতিটি ক্ষেত্রে জনগনের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
৬. অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান অথবা রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানকে অর্থনৈতিক ও বিচারিক প্রতিষ্ঠানে রুপান্তর করার
সুযোগ বন্ধ করা।
প্রাপ্তি
বিপ্লবের পরবর্তী পর্যায়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ অর্জন লক্ষ্য করা যায়:
১. নতুন সংবিধান বা আইন প্রবর্তন এবং জুলাই সনদের মাধ্যমে ভালো সম্ভাবনা তৈরী ।
২. রাজনৈতিক পরিবর্তন, পুরনো শাসকগোষ্ঠীর পরিবর্তে নতুন নেতৃত্বের উত্থান ।
৩. নাগরিক অধিকার বিস্তার, মুক্ত গণমাধ্যম, সংগঠন গঠন এবং আন্দোলনের অধিকার প্রতিষ্ঠা।
৪. জনসচেতনতার উত্থান, রাজনৈতিক ও সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি, বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে।
তবে প্রাপ্তির এই তালিকা আংশিক এবং অনেক ক্ষেত্রেই তা প্রত্যাশার তুলনায় কম ।
ভবিষ্যতের পথরেখা
জুলাই বিপ্লব থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে একটি কার্যকর ও ইনসাফপূর্ণ সমাজ বিনির্মারে জন্য নিচের
পদক্ষেপগুলো গুরুত্বপূর্ণ -
১. জুলাই গণহত্যার বিচার ও জুলাই সনদের কার্যকর বাস্তবায়নের জন্য ফ্যাসিবাদ বিরোধী সকল পক্ষকে ঐক্যবদ্ধ
থাকতে হবে ।
২. জুলাই বিপ্লবের শহীদদের যথাযথ মূল্যায়ন এবং আহতদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে ।
৩. ক্যাম্পাসে সুস্থ-ধারার ছাত্ররাজনীতি বিকাশে প্রতিটি ক্যাম্পাসে ছাত্র সংসদ চালু করতে হবে ।
৪. শিক্ষাঙ্গনে হল দখল, সিট বাণিজ্য ও আধিপত্য বিস্তার রোধে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সচেতনতার সাথে ঐক্যবদ্ধ
থাকতে হবে ।
৫. সুশাসন প্রতিষ্ঠা, দুর্নীতিমুক্ত ও জবাবদিহিমূলক প্রশাসনিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। দলীয়করণ ও ক্ষমতার দ্বন্দে জুলাই বিপ্লবের স্পিরিট যেন লক্ষ্যচ্যুত না হয় সে বিষয়ে ছাত্র সমাজকে সজাগ থাকতে হবে ।
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: