সপ্তমী অষ্টমী নবমী দশমী 4দিন আমরা কি ভাবে কাটালাম!!!🪷🌸🌸
Автор: IshuRimuSonu's life
Загружено: 2025-10-11
Просмотров: 44
Описание:
পশ্চিমবঙ্গের দুর্গাপূজা শুধু একটি ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব ও সংস্কৃতির প্রতিচ্ছবি
আপনার জানতে চাওয়া সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী ও দশমী— এই চারদিনের মাহাত্ম্য নিচে তুলে ধরা হলো:
১. মহা সপ্তমী (Maha Saptami)
মাহাত্ম্য: এই দিন থেকে দেবী দুর্গার মূল পূজা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, দেবী দুর্গা এই দিনেই তাঁর সন্তান-সন্ততিদের (লক্ষ্মী, সরস্বতী, গণেশ, কার্তিক) নিয়ে মর্ত্যে (পৃথিবীতে) অবতরণ করেন।
প্রধান আচার:
নবপত্রিকা স্থাপন: ভোরে কলাবউ স্নান করানো হয় (সাধারণত গঙ্গার ঘাটে)। নয়টি গাছের পাতা ও ডাল (যেমন - কলা গাছ, কচু গাছ, হলুদ, জয়ন্তী, বেল, অশোক, মান, ধান, ডালিম) একসাথে বেঁধে এটিকে দেবীর নয়টি রূপের প্রতীক হিসেবে মনে করা হয় এবং এটিকে শাড়ি পরিয়ে প্রতিমার পাশে স্থাপন করা হয়। নবপত্রিকাকে "কলাবউ" বা দুর্গা ঠাকরুণ বলে ডাকা হয়।
২. মহা অষ্টমী (Maha Ashtami)
মাহাত্ম্য: দুর্গাপূজার দিনগুলির মধ্যে মহাষ্টমীকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও পবিত্র দিন হিসেবে মনে করা হয়। এই দিনেই দেবী দুর্গা চামুণ্ডা রূপে মহিষাসুরের প্রধান সহযোগী শুম্ভ ও নিশুম্ভকে বধ করার জন্য আবির্ভূত হয়েছিলেন বলে পুরাণে বর্ণিত আছে।
প্রধান আচার:
পুষ্পাঞ্জলি: সকালে ভক্তরা নতুন পোশাকে মণ্ডপে ভিড় করেন দেবীর চরণে অঞ্জলি দেওয়ার জন্য। এটি এই দিনের প্রধান আচার।
কুমারী পূজা: অনেক জায়গায় এই দিনে নয় বছরের কম বয়সী কুমারী মেয়েদের দেবী দুর্গার রূপে পূজা করা হয়। এটি 'কুমারী পূজা' নামে পরিচিত এবং এটি নারী শক্তির প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের প্রতীক।
সন্ধি পূজা: মহাষ্টমী তিথির শেষ ২৪ মিনিট এবং মহা নবমী তিথির প্রথম ২৪ মিনিট— এই মোট ৪৮ মিনিট সময়কালকে বলা হয় 'সন্ধিক্ষণ' বা 'সন্ধিপূজা'। এই মাহেন্দ্রক্ষণেই দেবী দুর্গা মহিষাসুরকে বধ করার আগে অসুর শুম্ভ ও নিশুম্ভকে বিনাশ করেছিলেন। এই সময়ে ১০৮টি প্রদীপ জ্বালানো এবং ১০৮টি পদ্মফুল দিয়ে দেবীর পূজা করার রীতি প্রচলিত।
৩. মহা নবমী (Maha Navami)
মাহাত্ম্য: মহা নবমী হলো দুর্গাপূজার শেষ দিনের পূজা। পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, এই দিনেই দেবী দুর্গা মহিষাসুরের সঙ্গে ৯ দিন ও ৯ রাত্রি ধরে যুদ্ধ করার পর অবশেষে তাকে বধ করে জয় লাভ করেন। এই কারণেই দেবী 'মহিষাসুরমর্দিনী' নামে পরিচিত। এই দিন অশুভ শক্তির ওপর শুভ শক্তির চূড়ান্ত বিজয়ের প্রতীক।
প্রধান আচার:
নবমীর পুজোয় বিশেষ আহুতি (হোম) করা হয়।
এই দিনে দেবীর কাছে শেষ ভোগ নিবেদন করা হয়।
বিভিন্ন জায়গায় রাতভর নানা ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
৪. বিজয়া দশমী (Vijaya Dashami)
মাহাত্ম্য: বিজয়া দশমী উৎসবের সমাপ্তি ও বিজয়ের দিন। এই দিনেই দেবী দুর্গা মহিষাসুরকে বধ করে পৃথিবীতে শান্তি ফিরিয়ে এনেছিলেন, এবং এই দিনই দেবী কৈলাসে তাঁর স্বামীর কাছে ফিরে যান। এটি বিজয়ের উদযাপন এবং একই সঙ্গে দেবীকে বিদায় জানানোর বিষাদের দিন।
প্রধান আচার:
দেবী বরণ ও সিঁদুর খেলা: প্রতিমা বিসর্জনের আগে বিবাহিত মহিলারা দেবীকে পান ও মিষ্টি নিবেদন করে বরণ করেন এবং দেবীর পায়ে সিঁদুর পরিয়ে সেই সিঁদুর নিজেদের কপালে ও একে অপরের কপালে লাগিয়ে 'সিঁদুর খেলা'য় মেতে ওঠেন। এটি সৌভাগ্য ও বিবাহিত জীবনের শুভ কামনার প্রতীক।
বিসর্জন: এরপর দেবীর প্রতিমা শোভাযাত্রার মাধ্যমে নদী বা অন্য কোনো জলাশয়ে বিসর্জন করা হয়, যা তাঁর কৈলাসে প্রত্যাবর্তনের প্রতীক।
বিজয়ার শুভেচ্ছা: বিসজর্জনের পর সকলে একে অপরের বাড়িতে যান, গুরুজনদের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে আশীর্বাদ নেন এবং মিষ্টিমুখ ও কোলাকুলি করেন। এর মাধ্যমে নতুন করে সম্পর্ক স্থাপন ও ভালোবাসার বার্তা দেওয়া হয়।
দুর্গাপূজার মূল নিয়মাবলী ও আচার-অনুষ্ঠানগুলি নিচে দেওয়া হলো:
১. ষষ্ঠীর নিয়মাবলী (পূজার সূচনা)
কল্পারম্ভ: এই দিন পূজার সংকল্প করা হয়। এর অর্থ হলো, আগামী দিনগুলিতে সমস্ত নিয়ম মেনে দেবীর পূজা করার প্রতিজ্ঞা করা। এই দিনেই মূলত ঘট স্থাপন করা হয়।
বোধন: শরৎকালে যেহেতু দেবীর পূজা করা হয় (যা মূলত অকালবোধন নামে পরিচিত, রামচন্দ্র রাবণ বধের জন্য এই পূজা করেছিলেন)
২. সপ্তমী পূজার নিয়মাবলী
নবপত্রিকা স্থাপন ও স্নান (কলাবউ): সপ্তমী তিথিতে এই বিশেষ প্রথাটি পালিত হয়। এটি বাংলার কৃষিভিত্তিক সমাজের প্রতীক। একটি ছোট কলাগাছের সঙ্গে আরও আটটি গাছের পাতা বেঁধে (যা দেবীর নয়টি রূপকে তুলে ধরে) সেটিকে নদী বা জলাশয়ে নিয়ে গিয়ে স্নান করানো হয়। এরপর সেটিকে লাল পাড় সাদা শাড়িতে মুড়িয়ে গণেশের পাশে স্থাপন করা হয়। অনেকে এটিকে কলাবউ বলে থাকেন।
মহাস্নান: দেবীর প্রতিমা বা ঘটকে বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে স্নান করানো হয়।
পুষ্পাঞ্জলি: অষ্টমীর পুষ্পাঞ্জলিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়।
কুমারী পূজা: অষ্টমীর দিনে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। এই দিন সাধারণত এক থেকে ষোলো বছরের কুমারী মেয়েদের দেবী দুর্গার রূপে পূজা করা হয়।
সন্ধিপূজা: অষ্টমী তিথি শেষ এবং নবমী তিথি শুরুর সন্ধিক্ষণে এই বিশেষ পূজা হয়। এই সময় দেবীর চামুণ্ডা রূপের পূজা করা হয়। এই পূজায় সাধারণত ১০৮টি প্রদীপ জ্বালানো হয়
নবমী পূজা: এই দিনে দুর্গাপূজার মূল পর্ব সমাপ্ত হয়।
হোম: দেবীর কাছে আহুতি বা হোম নিবেদন করা হয়।
ধুনুচি নাচ: অনেকেই এই দিনে ঢাকের তালে তালে ধুনুচি হাতে বিশেষ নৃত্য পরিবেশন করেন।
৫. দশমীর নিয়মাবলী (বিসর্জন ও বিজয়া দশমী)
বিসর্জন: দশমীর দিনে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে দেবী তাঁর শ্বশুরবাড়ি কৈলাসে ফিরে যান।
অপরাজিতা পূজা: অনেকে বিজয়া দশমীর দিনে দেবীর অপরাজিতা রূপের পূজা করে থাকেন।
সিঁদুর খেলা: বিসর্জনের আগে বিবাহিত মহিলারা দেবীর চরণে সিঁদুর অর্পণ করেন এবং সেই সিঁদুর পরস্পরকে মাখিয়ে দেন। এটি সিঁদুর খেলা নামে পরিচিত।
বিজয়া দশমী কৃত্য: প্রতিমা বিসর্জনের পর গুরুজনদের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে আশীর্বাদ নেওয়া হয় এবং ছোটদের শুভেচ্ছা জানানো হয়। মিষ্টিমুখ করা এবং একে অপরের বাড়িতে গিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করার প্রথাও রয়েছে
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: