সান্তাহার সাইলোর জানা-অজানা তথ্য || Santahar || Sailo
Автор: Santahar
Загружено: 2021-11-02
Просмотров: 10664
Описание:
এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি, সকল দেশের রাণী সে যে আমার জন্মভূমি।
সান্তাহার। আমাদের শহর। প্রাণের শহর প্রিয় শহর। পৌর ও জংশন শহর হিসাবে সান্তাহারের ঐতিহ্য ও গুরুত্ব প্রায় ১৩৫ বছরের অধিক সময় ধরে দেশব্যাপি বিস্তৃত। সান্তাহার নামে শহরটি পরিচিত হলেও এর পূর্ব নাম ছিল সুলতানপুর। মূলত তখন এটি রাজশাহী জেলার অন্তর্গত ছিল। ১৮০০ খৃষ্টাব্দের শেষ ভাগে ভারত উপমহাদেশে যে সামান্য কয়েকটি শহর দ্রুত আধুনিক হয়ে ওঠে সান্তাহার তার মধ্যে অন্যতম।
এবার আসা যাক সাইলো প্রসঙ্গে। সান্তাহারে ‘সান্তাহার সাইলো’ নামে এই খাদ্যগুদামটি অবস্থিত। উত্তরবঙ্গে যারা বসবাস করেন কিংবা যাদের ট্রেনে যাওয়া আসা রয়েছে তারা অনেকেই সান্তাহার জংশনের সাথে পরিচিত।
সান্তাহার শহর থেকে সামান্য দূরত্বে পৌর এলাকার আমঝুপিতে ১৯৬৫ সালে খাদ্যশস্য রক্ষনাগার সাইলো নির্মাণ করা হয়। এর মূল ভবনটির নির্মাণের দায়িত্ব পায় জার্মান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘ক্যানেস্কা কনস্ট্রাকশন’। দেশের মোট ৪টি সাইলোর একটি এই সান্তাহারে অবস্থিত, প্রায় ১৬ একর জমি অধিগ্রহণ করে এর নির্মাণকাজ করা হয়। সে সময় জমি কেনাসহ ২৩ তলার সমান উচ্চতার দুটি ও ২৫ তলার সমান একটি ভবনসহ সব অবকাঠামো নির্মাণে ব্যয় হয়েছিল ৪০ লাখ ৪০ হাজার ৬৫ মার্কিন ডলার।
মূল নির্মাণের দায়িত্বে জার্মানরা থাকলেও এলাকার শ্রমিকদের ঘামেই এই সুউচ্চ আধুনিক ভবন তৈরি হয়েছিল। রহিম বিহারীর মাটির কাজের ঠিকাদারী আর কাজিপুর গ্রামের ফরিদ উদ্দীনের অফুরন্ত বাঁশ সরবরাহ এই নির্মাণ কাজকে তরান্বিত করেছিল। সম্পূর্ণ রড, সিমেন্ট আর পাথরের ঢালাইয়ে নির্মিত এই ভবন তৈরি হতে সময় লেগেছিল ৫ বছর।
সুউচ্চ এই ভবনের মাটির নিচেও ২০ ফুট গভীর সংরক্ষনাগার আছে। এর ভেতরে যে গম সংরক্ষণের ব্যবস্থা তা সম্পূর্ন বীণ পদ্ধতিতে। সংরক্ষিত অবস্থায় গমগুলো কখনোই বস্তাতে থাকে না, কেবল বাইরে বের করার পর এগুলোকে বস্তাজাত করা হয়। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সড়ক, রেল ও নৌপথে আসা এই গম বীণের মধ্যে নেওয়া বা বাইর করা হয় বেল্টের মাধ্যমে।
বর্তমানে স্থানীয় কৃষকদের দাবির মুখে এবং খাদ্যশস্য সংরক্ষণের তাগিদে আধুনিক খাদ্য গুদামটি নির্মাণ করা হয়েছে। এর নির্মাণশৈলি যেকোনো মানুষের নজর কেড়ে নিতে সক্ষম, গোলাকার ভীমের এই স্থাপনাটি তাই পর্যটকদের কাছেও ব্যাপক জনপ্রিয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৭ সালে এই আধুনিক খাদ্য গুদামটির উদ্ভোধন করেন। আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এই খাদ্য গুদামে প্রায় ২৫ হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন। সান্তাহার খাদ্যশস্য সাইলো ক্যাম্পাসে নির্মিত এই মাল্টিস্টোরেজ ওয়্যারহাউজ গ্রেইন সাইলো নির্মাণে অর্থায়ন করে দাতা সংস্থা জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)।
আধুনিক এই গুদামটি কৃষকদের ব্যাপক লোকসানের হাত থেকে যেমন রক্ষা করে তেমনই বিদেশে রপ্তাতিতেও গুনগতমান রক্ষায় সহযোগিতা করে থাকে। তাছাড়া সৌর শক্তির মাধ্যমে এই খাদ্য শস্যটি ব্যবস্থাপনার জন্য সৌর প্যানেল বসানো হয়। গুদামের ছাদ জুড়ে শতাধিক সোলার প্যানেল স্থাপন থেকে মোট ৩৬০ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা রয়েছে।
মনে রাখবেন, সান্তাহার সাইলো সংরক্ষিত এলাকা। এখানে এলেও অনুমতি ছাড়া প্রবেশ করতে পারবেন না। তাই যদি কেউ এখানে আসেন তাহলে আগে থেকেই প্রবেশ এবং সাইলো ঘুরে দেখার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আপনাকে অনুমতি নিতে হবে।
ড্রোন ভিডিও: তানজীনা আফরোজ
#সান্তাহার_ডটকম #সান্তাহার #সাইলো #খাদ্যশস্যগুদাম #santahar #santahar_dotcom
Contact email address for sponsorship, affiliate or other business purpose: [email protected]
| Music Link |
ধন ধান্য পুষ্প ভরা (যন্ত্রসংগীত) | Dhono Dhanno Pushpo Bhora (Instrumental)
Video Link - • ধন ধান্য পুষ্প ভরা (যন্ত্রসংগীত) | Dhono D...
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: