কিভাবে TRADING শুরু করে ছিলাম ☠️ শুরু টা খুব খারাপ ছিল তবুও হার মানি নাই 😎
Автор: Trader Rajon
Загружено: 2025-11-25
Просмотров: 555
Описание:
কিভাবে ট্রেডিং শুরু করেছিলাম — আমার নিজের অভিজ্ঞতার দীর্ঘ বর্ণনা
ট্রেডিং শব্দটা আমি প্রথম শুনেছিলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়। আশেপাশের অনেকেই তখন ক্রিপ্টোকারেন্সি, ফরেক্স, স্টক—এসব নিয়ে কথা বলত। কিন্তু সত্যি বলতে কী, তখন এগুলো আমার কাছে বেশ জটিল আর দূরের কোনো জগতের মতো মনে হতো। তবে মানুষের স্বভাবই এমন—যে জিনিসটা বারবার চোখে পড়ে, কানেও বারবার আসে, সেখানে কৌতূহল তৈরি হবেই। আমার ক্ষেত্রেও তেমনটাই হলো। একদিন লাইব্রেরিতে বসে হঠাৎই ইউটিউব-এ একটা ভিডিও দেখলাম—“How to Start Trading With No Experience।” ভিডিওটা খুবই সাধারণভাবে ট্রেডিং-এর বুনিয়াদি বিষয়গুলো ব্যাখ্যা করছিল। সেই ভিডিওটাই যেন আমার জীবনে নতুন একটি দরজা খুলে দিল।
প্রথমে আমি বুঝতে পারলাম, ট্রেডিং মানে শুধু “দাম বাড়লে কিনব, কমলে বেচব”—এমন একটি সরল বিষয় নয়। এখানে বাজার বিশ্লেষণ, অর্থনীতি, মানুষের মনস্তত্ত্ব, ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ—সবকিছু একসঙ্গে মাথায় রাখতে হয়। তাই সরাসরি লাফ দিয়ে ঝাঁপানোর চেয়ে আমি সিদ্ধান্ত নিলাম আগে কয়েক মাস শুধু শিখব। ইউটিউবে নানা টিউটোরিয়াল দেখলাম, অনেক ব্লগ পড়লাম, আর কয়েকজন অভিজ্ঞ ট্রেডারের পডকাস্ট শুনতাম। প্রতিদিনের নিউজ-এ চোখ রাখতাম—বিশ্ববাজার, সুদের হার, রাজনৈতিক প্রভাব—এসব কিভাবে দামের ওপর প্রভাব ফেলে সেগুলো দেখতাম।
এই শেখার পর্যায়ে আমি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় বুঝলাম—ট্রেডিং আসলে ৭০% মানসিক খেলা এবং ৩০% টেকনিক্যাল স্কিল। কারণ চার্ট পড়তে শেখার চেয়ে নিজের লোভ ও ভয়কে নিয়ন্ত্রণ করা অনেক কঠিন। অনেকে শেখার আগেই বাস্তব টাকায় ট্রেড করে বসে, আর তারপর প্রথম ক্ষতিতেই ধাক্কা খায়। তাই আমি প্রথম থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলাম—বাস্তব টাকায় নামার আগে ডেমো অ্যাকাউন্টে প্র্যাকটিস করব।
তারপর শুরু হলো আমার ডেমো ট্রেডিং যাত্রা। একটা ব্রোকার নির্বাচন করলাম, তাদের ডেমো অ্যাকাউন্ট খুললাম। সেই প্রথম আমি ক্যান্ডেলস্টিক চার্ট, মুভিং অ্যাভারেজ, সাপোর্ট-রেজিস্ট্যান্স—এসব ব্যবহার করা শিখলাম। দেখতে দেখতে আমার চার্ট বিশ্লেষণ করার হাত বেশ পোক্ত হয়ে উঠলো। ডেমো ট্রেডিং-এ অনেক সময় লাভ হতো, কখনো ক্ষতিও হতো, কিন্তু ভালো দিক হলো—ক্ষতি হলেও মানসিক চাপ থাকত না, কারণ আসল টাকা তো নয়! তাই ভুলগুলো ঠান্ডা মাথায় ঠিক করার সুযোগ ছিল।
প্রায় তিন মাস ডেমো অ্যাকাউন্টে প্র্যাকটিস করার পর আমার ভেতরে একটু আত্মবিশ্বাস তৈরি হলো—সম্ভবত এবার বাস্তব ট্রেডিং-এ নামা যায়। কিন্তু বাস্তব টাকায় ট্রেড করাটা যে ডেমো-র চেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা—এটা তখনো বুঝিনি। আমি খুব সাবধানে আমার সঞ্চিত টাকার সামান্য একটা অংশ—মোটামুটি ১০ হাজার টাকা—ট্রেডিং অ্যাকাউন্টে জমা করলাম। মনে মনে ভাবলাম—যে যাত্রাই শুরু হোক, হারালে যেন বড় ক্ষতি না হয়। ট্রেডিং-এ অন্যতম বড় নিয়ম হলো: হারালে যে টাকা নিয়ে ঘুম নষ্ট হবে, সেই টাকা কখনো ট্রেডিং-এ লাগানো যাবে না।
প্রথম ট্রেডটা আজও ভুলতে পারি না। আমি EUR/USD পেয়ারে একটা ছোট ট্রেড নিই। চার্ট দেখে মনে হচ্ছিল, দাম উপরের দিকে উঠবে। তাই ‘Buy’ দিলাম। কয়েক মিনিট পর দেখি দাম আস্তে আস্তে বাড়ছে। আমার লাভও বাড়ছে। মনে মনে আমি দারুণ উত্তেজিত, হাত-পা ঠান্ডা হয়ে আসছে—যেন যুদ্ধ জিতছি! দাম একটু উপরে যেতেই আমি ট্রেডটা বন্ধ করে দিলাম। লাভ হলো মাত্র ৩০ টাকা। কিন্তু আনন্দ যেন ৩০ হাজার টাকার! কারণ এটা ছিল আমার প্রথম বাস্তব লাভ।
কিন্তু আনন্দ বেশিক্ষণ টিকল না। পরদিন একটা ভুল বিশ্লেষণের জন্য বড় ক্ষতি হলো। চার্টে একটা ভুল ব্রেকআউট সিগন্যাল দেখে তাড়াহুড়ো করে এন্ট্রি নিয়ে ফেলেছিলাম। কিছুক্ষণের মধ্যেই দাম উল্টো দিকে চলে গেল। আমি হতবাক—কি করব বুঝতে পারছিলাম না। কিছুক্ষণ পর ট্রেড বন্ধ করি, ক্ষতি হলো প্রায় ৫০০ টাকা। তখনই বুঝলাম—বাস্তব টাকায় ট্রেডিং মানে হচ্ছে আবেগ নিয়ন্ত্রণের পরীক্ষা।
সেই দিন থেকেই আমি আরও শৃঙ্খলাবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা শুরু করলাম। প্রতিটি ট্রেডের আগে নোট করতাম—কেন এন্ট্রি নিচ্ছি, কোথায় স্টপ লস রাখছি, কোথায় টেক প্রফিট। ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা শিখলাম—একটি ট্রেডে মোট ব্যালেন্সের ২%-এর বেশি ঝুঁকি নেব না। ধীরে ধীরে বুঝলাম—ট্রেডিং মানে ভবিষ্যত অনুমান করা নয়, বরং সম্ভাবনা ও ঝুঁকির সমন্বয় করা।
আমি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে একটি নিজস্ব ট্রেডিং রুটিন গড়ে তুললাম। সকালের দিকে চার্ট দেখি, গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক খবর চেক করি, কোন কোন পেয়ার বা স্টক আজ ট্রেড করার মতো—সেগুলো তালিকাবদ্ধ করি। তারপর গেম প্ল্যান তৈরি করি—আজ কোন দামে এন্ট্রি নেব, কোন দামে বের হব। ট্রেডিং পরিকল্পনা ছাড়া করা মানে হলো নৌকা নিয়ে ঝড়ের মধ্যে সাগরে নামা—যেখানেই ঢেউ ভাসাবে, সেখানেই যাব।
ধীরে ধীরে আমার ট্রেডিং-এ ধারাবাহিকতা আসতে শুরু করল। প্রতিদিন নয়, তবে সপ্তাহে কিছু ভালো লাভ করতে লাগলাম। ক্ষতি হতো—এটা স্বাভাবিক। কিন্তু ক্ষতির পর আর মানসিকভাবে ভেঙে পড়তাম না, বরং নোটবুকে লিখে রাখতাম—ভুলটা কোথায় হয়েছে। এই অভ্যাসটা আমাকে দ্রুত উন্নতি করতে সাহায্য করেছে।
এভাবে ট্রেডিং আমার কাছে শুধু উপার্জনের একটা মাধ্যম নয়—একটা শেখার জগত হয়ে উঠল। ট্রেডিং আমাকে ধৈর্য শিখিয়েছে, আবেগ নিয়ন্ত্রণ শিখিয়েছে, বিশ্লেষণী মন তৈরি করেছে। আজ যখন পিছন ফিরে দেখি, মনে হয়—ভালোই হয়েছে ধীরে শুরু করেছিলাম, না হলে হয়তো শুরুতেই বড় ক্ষতি হয়ে ট্রেডিং ছেড়ে দিতাম।
এখনো আমি শিখছি—ট্রেডিং এমন একটি ক্ষেত্র যেখানে শেখার শেষ নেই। প্রতিটি দিন নতুন কিছু শেখায়, প্রতিটি ভুল নতুন অভিজ্ঞতা দেয়, প্রতিটি লাভ নতুন আত্মবিশ্বাস তৈরি করে।
ট্রেডিং শুরু করার যাত্রাটা যতটা চ্যালেঞ্জিং ছিল, ঠিক ততটাই আনন্দদায়কও ছিল। আর এই যাত্রা এখনো চলছে…
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: