অগ্রমহাপন্ডিত প্রজ্ঞালোক মহাথের'র জীবনী নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা/Aggamahapanddita
Автор: The Buddhist Vlog BD
Загружено: 2023-12-31
Просмотров: 54
Описание:
অগ্রমহাপন্ডিত প্রজ্ঞালোক মহাথের'র জীবনী নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন কে.শ্রী জ্যােতিসেন মহাথের/Aggamahapanddita #Praggaloka Mahathera
সাহিত্যিক, কবি, প্রাবন্ধিক, দার্শনিক, অনুবাদক, সংগঠক, সমাজ সংস্কারক, কর্মবীর, বাগ্মী এবং সর্বোপরি সর্বত্যাগী সাধক, বহুমুখী ও বিরল প্রতিভা প্রজ্ঞালোক মহাস্থবির’র জন্ম ১৮৭৯ খ্রিষ্টাব্দের ৩১শে ডিসেম্বর, ২৪২৭ বুদ্ধাব্দ, ১৪ই পৌষ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালী থানার বৈদ্যপাড়া গ্রামে। তাঁর পিতার নাম নাগর চাঁদ বড়ুয়া ও মাতার নাম সুভদ্রাদেবী। ১৯০০ খ্রিষ্টাব্দের কার্তিকী পূর্ণিমায় সংঘরাজ পূর্ণাচার ধর্মাধারী চন্দ্রমোহন মহাস্থবিরের নিকট তিনি প্রব্রজিত হন এবং চন্দ্রমোহন ভান্তেরই উপাধ্যায়াত্বে উপসম্পদা লাভ করেন। ১৯০৩ খ্রিষ্টাব্দের অগ্রহায়ণ মাসে তিনি বার্মায় (বর্তমানে মিয়ানমার) মৌলমেন নগরের বিখ্যাত বৈজয়ন্ত বিহারের প্রধান অধ্যক্ষ উ. সাগর মহাস্থবিরের নিকট পুনঃ উপসম্পদা গ্রহণ করেন। বার্মায় ধর্মবিনয় শিক্ষান্তে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করে মহামুনি পাহাড়তলী গ্রামে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ‘সদ্ধর্মোদয় পালি বিদ্যালয়’। ১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দে নাইখাইনে গুরুর স্মরণে প্রতিষ্ঠা করেন ‘পূর্ণাচার পালি বিদ্যালয়’, বিহার, ভিক্ষু সীমা, ধাতুচৈত্য ও বোধিবৃক্ষ। এ সময় তিনি সংকলন করেন ‘পালি পঠমসিক্খা’। ১৯০৯-১০ খ্রিষ্টাব্দে তিনি গুরুর জীবনী ‘পূর্ণাচার চন্দ্রমোহন’, ১৯১০ খ্রিষ্টাব্দে ‘পালি কর্মবাচা’, ‘ভিক্ষু কর্তব্য’-সহ বেশ কিছু গ্রন্থ প্রণয়ন করেন। ১৯১৩ খ্রিষ্টাব্দে শ্রীলঙ্কার পানাদূরে সদ্ধর্মোদয় পরিবেণে মহাপন্ডিত আচার্য উপসেন মহাস্থবিরের নিকট অর্থকথাসহ ত্রিপিটক অধ্যয়ন করে। ১৯১৭ খ্রিষ্টাব্দে আকিয়াব প্রবাসী বৌদ্ধদের অনুরোধে তথাকার জাতীয় বৌদ্ধ বিহারে গমন করেন এবং সেখানে অনুবাদ ও রচনা করেন ধমসংহিতা (১ম-৪র্থ ভাগ) সানুবাদ, ভিক্ষু প্রাতিমোক্খং, দানমঞ্জুরী (পদ্য), শম্ভুমিত্র, নারকীয় দুঃখ বর্ণনা, দেবদূত সূত্র, সদ্ধর্ম রঞ্জিকা, বিশুদ্ধি মার্গ (শীল নির্দেশ), রত্নমালা বিশোধনী ও তেলকটাহ কথা (সানুবাদ)।
১৯২৮ খ্রিষ্টাব্দের ১২ই আগষ্ট ১৫ জন সদস্য নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন ‘বৌদ্ধ মিশন প্রেস’। মিশনের একমাত্র মুখপত্রের নামকরণ হয় ‘সংঘশক্তি’, যেটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নিজে এবং প্রধান সম্পাদক হন ২য় শিষ্য বিনয়াচার্য আর্যবংশ ভিক্ষু। ১৯৩১ খ্রিষ্টাব্দে কানাইমাদারী বিদর্শনারামে ১৫ দিন ব্যাপী ভিক্ষু পরিবাসব্রত উদযাপন করেন। একই বছরের ৩১শে ডিসেম্বর তাঁর জন্মদিন উপলক্ষ্যে বার্মায় এক হাজার ভিক্ষুসংঘকে সংঘদান করেন। এবং তথায় খ্যাতনামা ৭৫ জন সদস্যবিশিষ্ট সাংঘিক সদস্যদের সভায় তাঁকে ‘বুদ্ধশাসন বীর্যস্তম্ভ শাসনধ্বজ’ উপাধি প্রদান করা হয়। ১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দে দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের বোমার আঘাতে মিশনের ১০ লক্ষাধিক টাকার সম্পদ নষ্ট হয়, নষ্ট হয় বহু পান্ডুলিপি, ছাপানোর মেশিনসহ বহু গ্রন্থ। খ্রিষ্টাব্দে উল্লেখ্য যে, পূজ্য ভান্তের প্রতিষ্ঠিত ‘বৌদ্ধ মিশন প্রেস’ ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহর লাল নেহেরু, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রমুখ বিশ্বখ্যাত মনীষীদের সপ্রশংস দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সমর্থ হয়েছিল। ১৯৪৩ খ্রিষ্টাব্দে তেকোটা গ্রামে ৬ বিঘা জমির উপর সেবা সদন প্রতিষ্ঠা করে ১১টি বিভাগসম্পন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থার বিধান করেন। ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দে বার্মার ধর্মদূত বিহারে অবস্থান করে সতিপট্ঠান, পটিচ্চসমুপ্পাদ, বুদ্ধের যোগনীতি, চারি আর্যসত্য, আর্য-অষ্টাঙ্গিক মার্গ সাধনা, ষড়ায়তন সূত্র, বিদর্শন ভাবনা, বুদ্ধবাদ, ধম্মপদং (অনোমদর্শী ভিক্ষু সহযোগে), সুত্ত বিভঙ্গ, ভক্তিমালিকা ও হস্তমালিকা-গ্রন্থগুলো অনুবাদ ও রচনা করেন। অবশ্য এগুলোর পূর্বে রেংগুন বৌদ্ধ মিশন প্রেস হতে তৎলিখিত থেরগাথা (সানুবাদ), মিলিন্দ প্রশ্ন (বঙ্গানুবাদ), ভিক্ষু কর্তব্য (২য় সংস্করণ), সুত্ত দেশনা, দানমঞ্জুরী (পদ্য ও ২য় সংস্করণ), তেলকটাহ গাথা, প্রবাস সুহৃদ, গঙ্গামাল (নাটক) প্রকাশিত হয়। এ ছাড়াও তিনি সিংহল অভিযান, পঞ্চশীল, ছ-ছক্ক সুত্ত, গণক মো¹লায়ন সুত্ত, বহু ধাতুক সুত্ত, ধর্ম সংহিতা, বুদ্ধের ধর্ম পরিচয়, সংযুক্তনিকায়ো, অঙ্গুত্তর নিকায় গাথা, বিশাখোপোসথ সুত্ত, নামরূপ, গৃহী নীতি বুদ্ধ সংকীর্তন, পালি ত্রিপিটক,Buddhism in Brief প্রভৃতি গ্রন্থ রচনা করেন।
১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দে ৪ঠা জানুয়ারী তার অসামান্য কর্মপ্রতিভার স্বীকৃতি সরূপ তাঁকে বার্মঅ সরকার প্রদান করেন ‘অগ্রমহাপন্ডিত’ উপাধি। তাঁকে এ সম্মাননা প্রদান করেন তৎকালীন বার্মার রাষ্ট্রপতি উ. থিন মং এবং উপস্থিত ছিলেন বার্মার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী উ.নু। ১৯৫৪Ñ৫৬ খ্রিষ্টাব্দে বার্মার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী উ. নু’র পৃষ্টপোষকতায় অনুষ্ঠিত ৬ষ্ঠ মহাসংগীতিতে অংশ নিয়ে ত্রিপিটক বিশোধকের মতো পবিত্র ও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ১২ই মে এ মহামহিম প্রভুত প্রতিভাশালী মহাজন দেহত্যাগ করেন। এ মহামানবের পবিত্র স্মৃতির প্রতি সশ্রদ্ধ প্রণতি জানাই এ বলে, “স্থাপকায় সদ্ধর্মস্য মহাপ্রাজ্ঞ স্বরূপিনে, ভিক্ষুনাম চ গরিষ্ঠায় প্রজ্ঞালোকতে নমঃ”।
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: