ইফতারের গুরুত্ব ও তা্ৎপর্য: ইফতারের পূর্বের ও ইফতারের পরের দোয়া।। ড. এ. এস. এম. ইউসুফ জিলানী
Автор: I M Tv
Загружено: 2019-05-16
Просмотров: 185
Описание:
ইফতারের গুরুত্ব ও তা্ৎপর্য: ইফতারের পূর্বের ও ইফতারের পরের দোয়া
ইফতার অর্থ রোযা ভঙ্গ করা। সূর্য অস্ত যাওয়ার পর পানাহারের মাধ্যমে রোযা ভঙ্গ করাকে বলে ইফতার। ইফতার করা সুন্নাত। সুর্যাস্তের পর পরই খোরমা বা মিষ্টিজাত দ্রব্য দ্বারা ইফতার করা মুস্তাহাব। হাদীসে পাকে ইফতারের আনন্দকে মহান আল্লাহ তায়ালার সাথে সাক্ষাতের সাথে তুলনা করা হয়েছে।
প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: রোযাদারের জন্য দু’টি আনন্দ রয়েছে:- ১. ইফতারের মুহুর্তে। ২. রবের সাথে সাক্ষাতের মুহুর্তে।
রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন: যতোদিন পর্যন্ত সময় হওয়া মাত্র ইফতার করবে ততোদিন কল্যাণের সাথে থাকবে।
তিনি আরো ইরশাদ করেন: যতোদিন পর্যন্ত সময় হওয়া মাত্র ইফতার করবে ততদিন দ্বীন বিজয়ি থাকবে। কেননা, ইহুদি ও খৃষ্টানগণ ইফতারে দেরি করে।
সেহরি ও ইফতারে সুন্নাত
সেহেরি ও ইফতারের মধ্যে সুন্নাত তরিকা হলো, সময় হওয়ার সাথে সাথে ইফতার করা ও সাহরির শেষ ওয়াক্তে সাহরি খাওয়া সুন্নাত।
হযরত সাহল বিন সাদ বলেন, রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন: আমার উম্মতের লোকেরা কল্যাণের উপর থাকবে যতোদিন তারা রোযায় তাড়াতাড়ি ইফতার করবে।
হাদিসে কুদসিতে আছে: আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, আমার বান্দাদের মধ্যে সে বান্দাই আমার কাছে সবচেয়ে প্রিয় যে ইফতারের মধ্যে দ্রæত করে।
হযরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমাকে রোযায় দ্রæত ইফতার ও দেরিতে সেহেরি করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ইফতারের সময় দোয়া কবুল হয়
রোযাদারের দোয়া কবুল হয়ে থাকে। বিশেষত ইফতারের সময়। এ মুহুর্তটি আল্লাহর জন্য বিনয় ও ধৈর্যধারণের চরম মুহুর্ত। ইফতারের সময় হওয়ার কিছু পূর্বেই দস্তরখানে বসা এবং বেশি বেশি দোয়া ও ইস্তেগফার করা উচিত।
রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন: ইফতারের সময় রোযাদারের দোয়া ফিরিয়ে দেয়া হয় না।
রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন: ইফতারের সময় আল্লাহ তায়ালা অগণিত লোককে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিয়ে থাকেন। আর এটা রমজানের প্রতি রাতে হয়ে থাকে। প্রত্যেক রোযাদার ব্যক্তির দোয়া কবুল হয়ে থাকে।
রমজান মাসের প্রতি দিন ইফতারের সময় আল্লাহ তায়ালা হাজার হাজার জাহান্নামীকে মুক্তি দান করেন।
হযরত জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: প্রতিদিন ইফতারের সময় অসংখ্য জাহান্নামিকে মুক্তি দেয়া হয়।
ইফতারের পুর্ব মুহর্তের দোয়া
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস ইফতারের পূর্ব মুহুর্তে এ দোয়া পড়তেন:
اَللَّهُمَّ اِنِّيْ اَسْئَلُكَ بِرَحْمَتِكَ الَّتِيْ وَسِعْتَ كُلُّ شَيْءٍ اَنْ تَغْفِرْ لِيْ-
হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আপনার ঔ রহমতের ওসিলায় প্রার্থনা করছি যা সকল বস্তুতে পরিব্যাপ্ত, আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন।
ইফতারের দোয়া :
সূর্যাস্থের পর বিলম্ব না করে তাড়াতাড়ি ইফতার করা সুন্নাত।
ইফতারের সময় এ দোয়া পাঠ করা সুন্নাত:
اَللَّهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَ عَلَي رِزْقِكَ اَفْطَرْتُ-
আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু ওয়া আলা রিযকিকা আফতারতু।
ইফতার করার পর এ দোয়াটি পাঠ করা সুন্নাত:
ذَهَبَ الظَّمْأُ وَابْتَلَّتِ الْعُرُوْقُ وَ ثَبَتَ الْاَجْرُ اِنْ شَاءَ اللهُ-
উচ্চারণ: জাহাবায যাম্য়ু ওয়াবতাল্লাতিল ‘উরুকু ওয়া সাবাতাল আজরু ইনশা আল্লাহ।
অর্থ: পিপাসা নিবারণ হলো। শিরা-উপশিরা সিক্ত হলো আর আল্লাহর ইচ্ছায় পুরুস্কার নির্ধারিত হলো।
ইফতারের পূর্বের দোয়া:
ইফতারের পূর্বের দোয়া সম্পর্কে হয়রত আবদুল্লাহ ইবনে থেকে বর্ণিত হয়েছে। তিনি ইফতারের পূর্ব মুহুর্তে এ দোয়া পাঠ করতেন:
اللهم اني اسألك برحمتك التي وسعت كل شيء ان تغفرلي
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা বিরাহমাতিকাল্লাতি ওয়াসআত কুল্লা শায়ইন আন তাগফিরালি।
অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমি তোমার বিশ্বময় প্রশস্ত রহমতের উসিলায় তোমার কাছে নিবেদন করি তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও। [ইবনে মাজা, 1753]
ইফতারের পূর্বে আরো একটি সুপ্রসিদ্ধ দোয়া: আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু ওয়া আলা রিযকিকা আফতারতু।
ইফতারের পরের দোয়া:
হযরত ইবনে ওমর হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম যখন ইফতার করতেন তখন এ দোআ পাঠ করতেন:
ذهب الظمأ وابتلت العروق وثبت الاجر إن شاء الله
যাহাবায যামউ, ওয়াবতাল্লাতিল উরুকু, ওয়াছাবাতাল আজরু ইনআআল্লাহ। [আবু দাউদ, হা. নং 2359]
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: