ভয়ংকর মেলখুমে যে কারণে পর্যটক প্রবেশ নিষিদ্ধ। মেলখুম। Melkhum। মেলাখুম। মেল্লারখুম। মেলখুম ট্রেইল।
Автор: Mirsarai24 Tv
Загружено: 2023-05-18
Просмотров: 2922
Описание:
মেলখুম ট্রেইল
মেলখুম, মীরসরাই
মেলখুম (Melkhum) চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড মিরসরাই রেঞ্জের একটি অফ-ট্রেইল। ট্রেইলটি মোটামুটি একদিনের ভ্রমনের জন্য যথেষ্ট।সীতাকুণ্ড মিরসরাই রেঞ্জে যতো ঝিরি রয়েছে তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন একটা ট্রেইল। স্থানীয়দের মতে মেল শব্দের অর্থ এক প্রকার লতা যা মাছের জন্য চেতনা নাশক হিসাবে কাজ করে। স্থানীয়রা খুমের মাঝে মাছ ধরতে এই গাছের সাদা রঙ্গের এই রস ব্যবহার করে থাকে। পানিতে ছিটার কিছুক্ষন পর খুমের পানিতে থাকা মাছ (বিশেষ করে চিংড়ি) ভেসে উঠে।
মেলখুম ট্রেইলে আপনি হয়তো কোন পাথর পাবেন না, তবে স্বচ্ছ পানিতে সূর্যের কিরণ লেগে সুন্দরীর সাদা পাথরের নাকফুলের মতো ঝিলিক দিয়ে আপনাকে বিমোহিত করবে পুরোটা পথ। আলো ছায়ার খেলায় স্বচ্ছ পানি কখনো কখনো গাঢ় নীল মনে হবে। চোখের সামনে উড়ে বেড়াবে রং বেরঙের ঘাস ফড়িং, প্রজাপতির ঝাঁক, পানিতে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকলে পায়ে এসে খুনসুটি খেলবে ঝিরির ছোট মাছ। আর এত্তসব কিছুর পরেই না দেখা মিলবে কাঙ্খিত গন্তব্য মেলখুম/মেলাখুম/মেল্লারখুম এর।
কারা যাবেন এই ট্রেইলে
আপনি যদি ট্রেকিং পছন্দ করেন তাহলে তো কথাই নেই। এছাড়া যাদের ভবিষ্যতে ট্রেকিং করার ইচ্ছে আছে কিন্তু এখনও কোন ট্রেকিং করা হয়ে উঠেনি তাহলে এই ট্রেইলে ট্রেক করে নিজে যাচাই করে নিতে পারেন। মেলখুম ঝিরিপথটাকে আপনার প্রথমিক প্র্যাকটিস গ্রাউন্ড হিসেবে নিতে পারেন।
মেলখুম যাওয়ার উপায়
চট্টগ্রাম হয়ে যাবেন যারা
বাংলাদেশের যেকোন জায়গা থেকে প্রথমেই আপনাকে চট্টগ্রামের একে খান মোড় পৌছাতে হবে। এ কে খান মোড় থেকে মীরসরাইগামী বাসে চেপে বসতে হবে। বাস ভাড়া পড়বে ৮০-১০০ টাকা। এক থেকে দেড় ঘন্টার বাস জার্নি শেষে আপনি পৌছে যাবেন সোনা পাহাড় বাজার।
ঢাকা থেকে সরাসরি যাবেন যেভাবে
ঢাকার সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড থেকে চট্টগ্রামগামী যেকোন বাসে আপনি যেতে পারেন। বাস থেকে আপনাকে নামতে হবে সরাসরি সোনাপাহাড় বাজারের সামনে। এই জায়গাটা খুব একটা পরিচিত না এখনও, তাই আগেই বাসের সুপারভাইজারের সাথে কথা বলে রাখবেন। নন এসি বাসের ভাড়া পড়বে ৬৮০ টাকা, তবে মনে রাখবেন ভাড়া সর্বদাই পরিবর্তনশীল। তবে সায়েদাবাদ থেকে বেশ কিছু লোকাল বাস যায়, ওগুলোতে দরদাম করে গেলে ৩০০-৪০০ টাকায় যেতে পারবেন। বাসে সোনাপাহাড় বাজারেই নামতে পারবেন। তবে বাস ভোর রাতে পৌঁছালে সোনাপাহাড় না নেমে আপনাকে বারৈয়ারহাট নামতে হবে। বারৈয়ারহাটে সকালের নাস্তা করে লেগুনায় সোনাপাহাড় বাজারে যাবেন, জনপ্রতি ভাড়া ২০ টাকা।
সোনাপাহাড় বাজার থেকে মেলখুম
সোনাপাহাড় বাজার থেকে পূর্বদিকে যে রাস্তা গেছে ওটাই মূল ট্রেইল। এই ট্রেইল ধরে দিয়ে হাঁটা শুরু করলে ৫ মিনিট হাটার পর রেললাইন পাওয়া যাবে। রেললাইন ক্রস করার পর আর পাকা রাস্তার দেখা মিলবে না। পুরোটাই মাটির পাহাড় কাটা মাটির রাস্তা। মাটির পথ ধরে ১৫ মিনিট হাটার পর ছোট একটি কালভার্টের দেখা মিলবে। কালভার্ট থেকে হাতের ডানে এগুলেই ছোট একটা বালুর ঝিরির দেখা পাবেন, যে ঝিরিতে কোন পাথর নাই। খুব সরু একটা ঝিরি এটা। ৬-৭ ফিটের মত পাশে। এই ঝিরি ধরে উজানে হাটা শুরু করুন। ৪৫-৫০ মিনিট হাঁটার পর মেলখুমের দেখা মিলবে। একটাই ঝিড়ি পথ, তাই পথ হারানোর ভয় নেই। পুরো ট্রেইল শেষ করে ঘুরে আসতে ৩-৪ ঘন্টা সময় লাগবে।
কোথায় খাবেন
যারা চট্টগ্রামের বাহির থেকে আসবেন তাঁরা খাবার ও থাকার হোটেল হিসেবে বেছে নিতে পারেন বারৈয়ার হাঁট পৌরসভার কিছু হোটেল রেস্তোরাঁ। এছাড়া মেলখুমে প্রবেশের আগে ঢাকা চট্টগ্রাম হাইওয়ের আধা কিলোমিটার উত্তরে পাবেন আরশিনগর ফিউচার পার্ক ও রেস্তোরাঁ এবং তিন কিলোমিটার দক্ষিণে পাবেন মহামায়া লেক ও হান্ডি রেস্তোরাঁ।
সতর্কতা ও প্রস্তুতি
যাদের ঠান্ডায় সমস্যা আছে তাদের সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।
সাঁতার না জানলে অবশ্যই খুমে নামবেন না।
ট্রেকিং সেন্ডেল/জুতা আবশ্যক এবং লাইফ জ্যাকেট থাকলে ভালো।
অবশ্যই কয়েকজন মিলে যাবেন।
বেশী ভারি ব্যাগ নিয়ে না যাওয়াটাই উত্তম।
মেলখুমের রাস্তায় ভালো খাবার দোকান নেই তাই আপনার পছন্দমতো খাবার নিয়ে যেতে পারেন।
কিছু কমন প্রশ্ন এবং তার উত্তর
মেয়েরা কি মেলখুম ট্রেকে যেতে পারবেন?
জ্বি, অবশ্যই মেয়েরা এই ট্রেইলে যেতে পারবেন। আপনার পরিচিতজন কিং বন্ধু-বান্ধবের সাথে দল বেঁধে আপনি নিশ্চিতে ঘুরে আসতে পারেন। তবে অবশ্যই হাঁটার অভ্যেস থাকতে হবে 🙂
কাদের জন্যে এই ট্রেইলটি উপযুক্ত নয়?
এক কথায় বলতে গেলে, যারা রিলাক্স ট্যুর পছন্দ করেন এবং ট্রেকিং যাদের অপছন্দ তাদের জন্যে এই গিরিপথ অবশ্যই নয়।
মেলখুম ভ্রমণের সেরা সময় কখন?
একমাত্র ভরা বর্ষা ছাড়া বছরের যে কোন সময় আপনি এই মেলখুম ট্রেকে যেতে পারেন। বর্ষাকালে ঝিরিপথ পিচ্ছিল এবং পানি বেশি থাকায় ট্রেকিং কষ্টসাধ্য হয়ে উঠে। তাছাড়া খুমেও পানির পরিমান বেড়ে যায়।
মেলখুম ট্রেইলটি একটি রিজার্ভ ফরেস্টের মধ্যে অবস্থিত হওয়ায় চট্টগ্রাম উত্তর বনবিভাগ এখানে সর্বসাধারনের প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষনা করেছে। তাই এই আদেশ অমান্য করে কেউ এখানে প্রবেশ করলে এবং জানমালের ক্ষতি সাধিত হলে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন দায়ী থাকবে না।
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: