ভারতের আসামের বন্দিশিবিরে ২৮ অবৈধ অভিবাসীর মারা গেছেন
Автор: Dhaka Tv
Загружено: 2019-11-28
Просмотров: 5
Описание:
ভারতের আসাম প্রদেশের বন্দিশিবিরে আটক বন্দিদের মধ্যে অন্তত ২৮ জন মারা গেছেন। তবে নির্যাতনের কারণে কেউ মারা যায়নি বলে দাবি করেছেন দেশটির স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। সম্প্রতি সেখানে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি বা এনআরসি তালিকায় সন্দেহভাজন অবৈধ অভিবাসীদের বন্দিশিবিরগুলোতে আটক রাখা হয়েছিল। গত বুধবার দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় বন্দিদের নিহতের ঘটনা জানিয়েছেন।
তৃণমূলের এমপি শান্তনু সেনের এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ বলেন, ‘আসামের ছয়টি বন্দিশিবিরে ৯৮৮ জন ‘বিদেশি’ বন্দি রয়েছেন। রাজ্যসভায় সরকারের কাছে তৃণমূলের সাংসদ শান্তনু সেন বন্দিশিবিরগুলোতে বন্দিদের প্রাণহানি ঠেকাতে সরকার কি ব্যবস্থা নিয়েছে সে ব্যাপারে জানতে চান।’
তৃণমূলের এমপি শান্তনু বলেন, জাতীয় নাগরিক পঞ্জিকা (এনআরসি) আজ মৃত্যুর সমার্থক হয়ে উঠেছে। বন্দিশিবিরগুলোতে যারা মারা গেছেন, তাদের মৃত্যুর কারণ অতিরিক্ত উদ্বেগ।
কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই শান্তনু’র প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘বন্দিশিবিরে পর্যাপ্ত চিকিৎসা সুবিধা রয়েছে। তারপরও ২৮ জন মারা গেছেন। চাপ কিংবা ভয়ের কারণে একজনও মারা যাননি। তারা শারীরিক অসুস্থতার কারণে মারা গেছেন। এমনকি কোনো বন্দি অসুস্থ হয়ে পড়লে, সেখানে চিকিৎসক এবং চিকিৎসা সুবিধার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে।’
সম্প্রতি আসামে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি বা এনআরসি তালিকা প্রকাশ করা হয়। তালিকা থেকে প্রায় ১৯ লাখ বাসিন্দার নাম বাদ পড়ে। অবৈধ অভিবাসীদের আটক রাখার উদ্দেশ্যে ২০০৮ সালে বন্দিশিবিরগুলো নির্মাণ করা হয়।
স্থানীয় মানবাধিকার সংস্থা সিটিজেনস ফর জাস্টিস অ্যান্ড পিস (সিজেপি) দাবি করেছে, ২০১১ সাল থেকে বিভিন্ন কারণে প্রায় ১০০ জন মানুষ মারা গেছেন। অনেকে আশ্রয়কেন্দ্রে মারা গেছেন এবং অন্যরা আত্মহত্যা করেছেন। তবে বন্দিশিবিরগুলোতে চরম মানবাধিকারের লঙ্ঘন হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা অভিযোগ করে বলছে, বন্দিশিবিরে আটক বন্দিরা অমানবিক পরিবেশে বসবাস করছেন।
সিজেপির আসাম শাখার সমন্বয়ক জামশের আলী বলেন, সম্প্রতি গোয়ালপাড়া বন্দিশিবিরে নিখিল বর্মণ নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
তিনি বলেন, এই ২৯ জনের মধ্যে ২৬ জনই মারা গেছেন বিজেপির সর্বানন্দ সোনোওয়াল আসামের ক্ষমতায় আসার পর। ২০০৮ সাল থেকে বন্দিশিবিরগুলো চালু রয়েছে। আমরা আগের সরকারের আমলে এত মানুষের প্রাণহানির খবর পাইনি। কিন্তু এখন বিজেপির শাসনামলে মানুষের মৃত্যু কেন বাড়ছে?
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: