"আলো ফিরে এল খিঁচুনির অন্ধকারে"
Автор: ডাঃ উজ্জল মিয়া, এফসিপিএস, এমসিপিএস, এমআরসিপি
Загружено: 2025-05-22
Просмотров: 66
Описание:
"আলো ফিরে এল খিঁচুনির অন্ধকারে"
১১ বছরের এক নিষ্পাপ বালক, ছোটবেলা থেকেই মৃগী রোগে ভুগছে। ওর প্রতিটি দিন ছিল এক যুদ্ধ—কখন হঠাৎ খিঁচুনি শুরু হবে, কেউ জানে না। ওর বাবা-মা দিশেহারা হয়ে গিয়েছিলেন। কত ডাক্তার, কত ঔষধ—কিছুতেই কাজ হচ্ছিল না। শেষমেশ আশায় বুক বেঁধে নিয়ে গেলেন এক কবিরাজের কাছে… কিন্তু সেখানেও ব্যর্থতা।
সেই ছোট ছেলেটা একদিন আমার চেম্বারে এল।
ওর চোখে ছিল ভয়, বাবা-মায়ের চোখে আশা। সব শুনে ওকে উপযুক্ত চিকিৎসা শুরু করলাম। নিয়মিত ওষুধ, ভালোবাসা, আর যত্নে আজ সেই বাচ্চাটির মৃগী অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত!
আজ মাসখানেক খিঁচুনি হয়নি ওর। ওর বাবা-মা যখন কৃতজ্ঞতার অশ্রু চোখে বলল, "ডাক্তার সাহেব, আমাদের ছেলে এখন আগের চেয়ে অনেক ভালো," তখন মনটা ভরে উঠল।
একটি কবিতা এই ছোট্ট যোদ্ধার জন্যঃ
ছোট্ট একটি প্রাণ, যুদ্ধ করে বাঁচে,
মাথার ভিতর বাজে মেঘের গর্জন, ছায়া নেমে নাচে।
ঔষধে আর বিশ্বাসে মিলল মুক্তি পথ,
আশার আলো জ্বলে উঠুক, মুছে যাক সব ক্লান্তির শর্ত।
মৃগী (Epilepsy) কী?
মৃগী হলো মস্তিষ্কের এক ধরনের দীর্ঘমেয়াদি রোগ, যেখানে হঠাৎ করে মস্তিষ্কের বৈদ্যুতিক কার্যকলাপে অস্বাভাবিকতা দেখা দেয় এবং খিঁচুনির (seizure) জন্ম হয়। এটি শিশু থেকে বৃদ্ধ—সবারই হতে পারে।
লক্ষণসমূহ (Symptoms):
হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে যাওয়া
হাত-পা শক্ত হয়ে নড়াচড়া করা (tonic-clonic seizure)
কিছু সময়ের জন্য এক জায়গায় তাকিয়ে থাকা
হঠাৎ মুখ দিয়ে ফেনা আসা
খিঁচুনির সময় প্রস্রাব-পায়খানা হয়ে যাওয়া
অজ্ঞান হওয়ার পর কিছুক্ষণ ঘোরের মধ্যে থাকা
মৃগীর কারণসমূহ:
জন্মের সময় মস্তিষ্কে আঘাত
জ্বরের খিঁচুনি (febrile seizure) যেটি জটিল হয়ে যায়
মস্তিষ্কে টিউমার বা ইনফেকশন
পারিবারিক ইতিহাস (genetic predisposition)
মাথায় আঘাত বা দুর্ঘটনা
স্ট্রোক (বয়স বেশি হলে)
চিকিৎসা (Treatment):
১. ওষুধ (Anti-Epileptic Drugs – AEDs):
সবচেয়ে প্রচলিত এবং কার্যকর চিকিৎসা।
প্রতিদিন নির্দিষ্ট মাত্রায় ওষুধ খেলে খিঁচুনি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
যেমনঃ Sodium Valproate, Carbamazepine, Levetiracetam, Phenytoin, Lamotrigine ইত্যাদি।
২. নিয়মিত ফলোআপ:
ডাক্তার দেখানো ও EEG রিপোর্ট ফলোআপ করা জরুরি।
অনেক সময় ওষুধের মাত্রা বা পরিবর্তন প্রয়োজন হতে পারে।
৩. জীবনধারা পরিবর্তন:
ঠিকমতো ঘুম
অতিরিক্ত উত্তেজনা, স্ট্রেস ও টিভি/মোবাইলের ঝলকানো আলো থেকে বিরত থাকা
সময়মতো খাওয়া ও ওষুধ গ্রহণ
৪. সার্জারি (কিছু ক্ষেত্রে):
যদি ওষুধে কাজ না করে, তাহলে নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের অপারেশন করা হয়।
ভুল ধারণা থেকে বেরিয়ে আসুন!
মৃগী কোনো ভৌতিক বা অভিশাপজনিত রোগ নয়।
কবিরাজি বা ঝাড়ফুঁক নয়, বৈজ্ঞানিক চিকিৎসাই একমাত্র সমাধান।
শতকরা ৭০-৮০% রোগী নিয়মিত ওষুধ খেয়ে ভালোভাবে জীবনযাপন করতে পারে।
স্মরণীয়:
“সঠিক চিকিৎসা ও নিয়মিত ফলোআপে মৃগী পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। সময়মতো পদক্ষেপ নিন, শিশুর ভবিষ্যৎ বাঁচান।”
নিউরোলজি , বাত-ব্যথা ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ
ডা উজ্জল মিয়া
এমবিবিএস , বিসিএস (স্বাস্হ্য)
এমআরসিপি(মেডিসিন-ইউকে)
এমসিপিএস(মেডিসিন), এফসিপিএস( মেডিসিন )
এমডি(নিউরোলজি-পিবি), এমএসিপি( আমেরিকা )
ইউলার সার্টিফাইড ইন রিউম্যাটোলজি( সুইজারল্যান্ড )
ডি- এ্যাজমা(লন্ডন), সিসিডি (বারডেম)
মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
চেম্বার - নিউ পপুলার এক্সরে অ্যান্ড প্যাথলজি সেন্টার , সদর হাসপাতালের মূল গেইটের উত্তর পার্শ্বে , বাসস্ট্যান্ড, মানিকগঞ্জ
মোবাইল -০১৭৪৬৪৮১১৫৮
যদি আপনাদের ভালো লাগে আর অন্য কেও পড়লে তার কাজে লাগতে পারে বা সাধারণ মানুষের মাঝে একটু সচেতনতা বাড়তে পারে, বলে মনে করেন।তাহলে পোস্টটি শেয়ার করতে পারেন।
#EpilepsyAwareness #BangladeshHealthcare #ChildHope #RealStory #VictoryOfScience #মানবতারডাক
#মৃগীরচিকিৎসা
#মৃগীর_সচেতনতা
#বাংলাদেশের_চিকিৎসা
#রোগনিয়ন্ত্রণ
#ডাক্তারের_জয়
#বিশ্বাস_বিজ্ঞান_চিকিৎসা
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: