প্রিয়তমাসু। সুকান্ত ভট্টাচার্য। Priyotomashu - Sukanta Bhattacharya |মৃন্ময় মিজানের আবৃত্তি।
Автор: Mrinmoy Mizan
Загружено: 2021-08-15
Просмотров: 2219
Описание:
কবিতা: প্রিয়তমাসু
কবি: সুকান্ত ভট্টাচার্য
আবৃত্তি: মৃন্ময় মিজান।
সীমান্তে আজ আমি প্রহরী
অনেক রক্তাক্ত পথ অতিক্রম করে
আজ এখানে এসে থমকে দাঁড়িয়েছি
স্বদেশের সীমানায়।
ধূসর তিউনিসিয়া থেকে স্নিগ্ধ ইতালী,
স্নিগ্ধ ইতালী থেকে ছুটে গেছি বিপ্লবী ফ্রান্সে
নক্ষত্র নিয়ন্ত্রিত নিয়তির মত
দুর্নিবার অপরাহত রাইফেল হাতে;
ফ্রান্স থেকে প্রতিবেশী বর্মাতেও।
আজ দেহে আমার সৈনিকের কড়া পোষাক
হাতে এখনো দুর্জয় রাইফেল,
রক্তে রক্তে তরঙ্গিত জয়ের আর শক্তির দুর্বহ দম্ভ,
আজ এখন সীমান্তের প্রহরী আমি।
আজ কিন্তু নীল আকাশ আমাকে পাঠিয়েছে আমন্ত্রণ
স্বদেশের হাওয়া বয়ে এনেছে অনুরোধ
চোখের সামনে খুলে ধরেছে সবুজ চিঠি
কিছুতেই বুঝি না কী করে এড়াব তাকে,
কী করে এড়াব এই সৈনিকের কড়া পোষাক?
যুদ্ধ শেষ; মাঠে মাঠে প্রসারিত শান্তি,
চোখে এসে লাগছে তারই শীতল হাওয়া,
প্রতি মুহুর্তে শ্লথ হয়ে আসে হাতের রাইফেল
গা থেকে খসে পড়তে চায় এই কড়া পোষাক
রাত্রে চাঁদ ওঠে, আমার চোখে ঘুম নেই।
তোমাকে ভেবেছি কতদিন,
কত শত্রুর পদক্ষেপ শোনার প্রতীক্ষার অবসরে
কত গোলা ফাটার মুহূর্তে।
কতবার অবাধ্য হয়েছে মন, যুদ্ধ জয়ের ফাঁকে ফাঁকে,
কতবার হৃদয় জ্বলেছে অনুশোচনার অঙ্গারে
তোমার আর তোমাদের ভাবনায়।
তোমাকে ফেলে এসেছি দারিদ্র্যের মধ্যে,
ছুঁড়ে দিয়েছি দুর্ভিক্ষের আগুনে,
ঝড়ে আর বন্যায় মারী আর মড়কের দুঃসহ আঘাতে
বারবার বিপন্ন হয়েছে তোমাদের অস্তিত্ব।
আর আমি ছুটে গেছি এক যুদ্ধক্ষেত্র থেকে আর এক যুদ্ধক্ষেত্রে।
জানি না আজো আছো কি নেই,
দুর্ভিক্ষে ফাঁকা আর বন্যায় তলিয়ে গেছে কি-না ভিটে,
জানি না তাও।
তবু লিখছি তোমাকে আজ, লিখছি আত্মম্ভর আশায়,
ঘরে ফেরার সময় এসে গেছে।
জানি, আমার জন্যে কেউ প্রতীক্ষা ক’রে নেই,
মালায় আর পতাকায়, প্রদীপে আর মঙ্গল ঘটে
জানি সম্বর্ধনা রটবে না লোকমুখে,
মিলিত খুশীতে মিলবে না বীরত্বের পুরস্কার।
তবু ’ একটি হৃদয় নেচে উঠবে আমার আবির্ভাবে-
সে তোমার হৃদয়।
যুদ্ধ চাই না আর, যুদ্ধ তো থেমে গেছে;
পদার্পণ করতে চায় না মন ইন্দোনেশিয়ায়।
আর সামনে নয়,
এবার পেছন ফেরার পালা।
পরের জন্য যুদ্ধ করেছি অনেক,
এবার যুদ্ধ তোমার আর আমার জন্যে।
প্রশ্ন করো যদি এত যুদ্ধ করে পেলাম কী? উত্তর তার-
তিউনিসিয়ায় পেয়েছি জয়,
ইতালিতে জনগণের বন্ধুত্ব,
ফ্রান্সে পেয়েছি মুক্তির মন্ত্র;
আর নিষ্কণ্টক বর্মায় পেলাম ঘরে ফেরার তাগাদা।
আমি যেন সেই বাতিওয়ালা-
যে সন্ধ্যায় রাজপথে-পথে বাতি জ্বালিয়ে ফেরে
অথচ নিজের ঘরে নেই যার বাতি জ্বালার সামর্থ্য
নিজের ঘরেই জমে থাকে দুঃসহ অন্ধকার।
#Sukanto, #PriyoTomashu, #MrinmoyMizan,
আবৃত্তিশিল্পী সম্পর্কে:
আবৃত্তি বিশ্বজ্ঞানালয়ের প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য মৃন্ময় মিজান বাংলা কবিতা আবৃত্তির জগতে একটি পরিচিত নাম। বাংলাদেশে আবৃত্তির প্রথম স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর কোর্স চালুর চেষ্টা করে যাচ্ছেন তিনি।
দেশ সেরা আবৃত্তি সংগঠন আবৃত্তি একাডেমির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক পরিচালক মৃন্ময় মিজান এ পর্যন্ত নির্দেশনা দিয়েছেন কুড়িটিরও বেশি আবৃত্তি প্রযোজনায়। সম্প্রতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবর্ষে ফেসবুক লাইভে একশত কবিতা আবৃত্তি করে বাংলাদেশের আবৃত্তির ইতিহাসে একশত কবিতা আবৃত্তির মাইলফলক স্থাপন করেছেন তিনি।
মৃন্ময় মিজানের কণ্ঠে কথা বলে মহাকাল। সকল ভাব ও রসের কবিতা তার কণ্ঠে ফুটে ওঠে সহজাত দক্ষতায়। বৈচিত্রপূর্ণ কণ্ঠের ব্যবহার আর নির্মাণের মুন্সিয়ানায় সুধী মহলে একটি বিশেষ স্থান তৈরি করে নিয়েছেন তিনি।
মৃন্ময় মিজানের নির্দেশিত উল্লেখযোগ্য আবৃত্তি প্রযোজনাগুলো হল, শব্দের চোখে জল, তিরিক্ষি প্যাচাল, সাজাহান, চোখে আঙুল দাদা, মেঘলা আলাপের ঘোর, এই দেশ এই মৃত্তিকা, মহাকাল পরিব্রাজক, বারুদগন্ধী মানুষের গান, বৃষ্টি জলের কাব্য, পুড়িয়ে দিবো নীল কারুকাজ, মরিচঝাঁপি, আমি ছুঁয়েছি স্বাধীনতা, বৃশ্চিক লগ্ন, সংগ্রাম অনির্বাণ, রুপালী সিঁড়িতে স্বর্ণমাধুলি ও দাবায়ে রাখতে পারবা না।
বাংলা কবিতা আবৃত্তির প্রকৃত রসাস্বাদন করতে সাবস্ক্রাইব করুন এই চ্যানেলটি।
Повторяем попытку...

Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: