তামাদি আইন কি ২৮ ধারা বাতিল হয়েছে কি
Автор: Ashraf Amin
Загружено: 2024-01-29
Просмотров: 543
Описание:
#আশরাফ_আমিন
Ashraf_Amin
তামাদি আইন ১৯০৮
তামাদি আইন সর্ব প্রথম ১৭৯৩ সালে ইংরেজিতে প্রবর্তন করা হয়। ১৮৫৯ সালে পূনাঙ্গ আইন করা হয়।১৮৬৩ সালে এটিকে নতুন করে বিধিবদ্ধ করা হয়।পরবর্তীতে ১৮৫৯ সালের তামাদি আইনের পরিবর্তে ১৮৭১ সালে তামাদি আইন প্রবর্তন করা হয়।
১৮৭১ সালের তামাদি আইনে সরকার কর্তৃক যে কোন মোকদ্দমা দায়েরের সময় ছিল ৬০ বৎসর। পরবর্তীতে ১৮৭১ সালের তামাদি আইনের পরিবর্তে ১৮৭৭ সালে তামাদি আইন প্রবর্তন করা হয়। সর্বশেষ ১৯০৮ সালে তামাদি আইন প্রবর্তন করা হয়।
বর্তমান তামাদি আইনঃ-
তামাদি আইন ১৯০৮ সালের ৯ নং আইন । আইনটি ১৯০৮ সালের ৭ ই আগস্ট প্রণীত হয়।এটি কার্যকর হয় ১৯০৯ সালের ১ লা জানুয়ারী। এটি একটি পদ্ধতিগত আইন।তামাদি আইনের মোট ধারা ৩২ টি , ৩ টি ধারা বাতিল করা হয়েছে এবং বলবৎ রয়েছে ২৯ টি ধারা।তামাদি আইনের মোট অনুচ্ছেদ রয়েছে ১৮৩ টি। মোট তফসিল ৩ টি ( ২য় ও ৩য় তফসিল বাতিল করা হয়েছে।বর্তমানে বলবৎ আছে ১ টি তফসিল।
বি:দ্র: [ মনে রাখতে হবে বাতিল আর বিলুপ্ত এক নয় সুতরাং যদি বলা থাকে ওমুক নম্বর ধারা বাতিল করা হয়েছে তার পরেও কিন্তু মোট ধারা গণনা করার সময় সেই ধারাকে গণনা থেকে বাদ দেওয়া যাবে না সে হিসেবে তামাদি আইনের ৩২ টি ধারার মধ্যে ৩ টি ধারা বাতিল করার পরেও বলতে হবে তামাদি আইনের মোট ধারা ৩২ টি। যদি সেই ৩ টি ধারা বিলুপ্ত করা হতো তাহলে আমরা মোট ধারা বলতাম ২৯ টি।
তামাদি আইন ১৯০৮এর বিস্তারিত আলোচনাঃ-
অধ্যায়-০১
ধারা-১ সংক্ষিপ্ত শিরােনাম, কার্যকারিতার সীমা ও প্রবর্তন (Short title, extent and Commencement); ধারার মূলকথাঃ
প্রাথমিক বিষয়(Preliminary) ধারা ১ থেকে ২ পর্যন্ত।এটি ১৯০৮ সালের ৯ নং আইন।এটি কার্যকর হয় ১৯০৯ সালের ১লা জানুয়ারী। আইনটি সমগ্র বাংলাদেশে প্রযােজ্য।
ধারা-২ : সংজ্ঞাসমূহ (Definitions): এই ধারায় নিম্নলিখিত বিষয়গুলাের সংজ্ঞা:
অধ্যায়-০২
ধারা: (৩-১১) (মামলা, আপীল ও দরখাস্তের তামাদি)
ধারা-৩। তামাদি মেয়াদ শেষে দায়েরকৃত মামলা ইত্যাদি খারিজ (Dismissal of suits, etc, Instituted, etc, after period of Limitation): তামাদির মেয়াদ শেষে দায়ের কৃত দেওয়ানী মােকদ্দমা খারিজ হবে। বিবাদী পক্ষ প্রশ্ন উত্থাপন না করলেও খারিজ হবে। এই ধারা অনুযায়ী তামাদির বিষয়বস্তু ৩ টি। যথাঃ ১) মামলা; ২) আপীল ও। ৩) আবেদনপত্র ।। [নােটঃ এই ধারার বিধান আদালতের জন্য বাধ্যতামূলক।
ধারা-৪। আদালত বন্ধ থাকা অবস্থায় যখন তামাদির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয় (Where court is closed when period expires): তামাদির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার দিন আদালত বন্ধ থাকলে পুনরায় খােলার দিন মামলা, আপীল বা আবেদনপত্র দায়ের করা যাবে।
ধারা-৫। ক্ষেত্র বিশেষে মেয়াদ বৃদ্ধিকরণ:-
অলীল, রিভিউ, রিভিশন ইনি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মায়ের করতে না পারলে সরকারী ৫ ধারার বিধান মতে বিজ্ঞ আদালতকে লম্বা করার মতো কারণ উল্লেখ পূর্বক মেয়াদ বৃদ্ধি বা বিলম্ব মওকুফের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
যে ক্ষেত্রে ৫ ধারার বিধান প্রযােজ্য। ক) আপীলের দরখাস্তে। খ) আশীল করার অনুমতি প্রার্থনার সৱখাস্তে। গ) রিভিউ এর দরখাস্তে। ঘ) রিভিশনের দরখাস্তে। এবং ও) অন্য কোন আইনের যেখানে তাখাদিৱ ৫ ধাৱা প্ৰযোজ্য করা হয়েছে ।
লিমিটেশন এ্যাক্ট ১৯৫৮ এর ৫ ধারা স্যূটের বা মূল মামলা যেমন স্বত্ব ঘােষণা, চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্য সম্পাদন, স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দায়ের
করার মেয়াদের ইত্যাদির ক্ষেত্রে প্রযােজ্য হবে না।
৫ ধারায় তামাদি মওকুফের জন্য আবেদন মঞ্জুর করা আদালতের স্বেচ্ছোধীন ক্ষমতা। অর্থাৎ তামাদি মওকুফ করতে আদালত বাধ্য নয়।
ধাৱা ৬ থেকে ৯ আইনগত অপারগতা :-
তামাদি আইনের ৬, ৭, ৮ এবং ১৯ ধারায় আইনগত অপারগতার নিয়ম বর্ণনা করা হয়েছে। যে ব্যক্তির মামলা করার অধিকার সৃষ্টি হয়েছে সে যদি উক্ত সময় মামলা করতে আইনগতভাবে অপরাগ থাকে, তাহলে তার মামলা করার তামাদির মেয়াদ কিভাবে গণনা করা হবে তা ৬ থেকে ৯ ঘাৱা পর্যন্ত উল্লেখ করা হয়েছে।
ধারা-৬। বৈধ অপারগতা
আইনগত অপারগতা বলতে নিমর্নিত ৩ টি বিষয়কে বুঝায় । যথা
১) নাবালক; ২) উনাদ বা পাগল; ও ৩) জড়বুদ্ধ বা নির্বোদ।
ধারা-৭: কতিপয় বাদী অথবা দরখাস্তকারীর একজনের অপারগতা (Disability of one of several plaintiffs of applicants):
যৌথভাবে অধিকারী কয়েক ব্যক্তির একজন যদি অপারােগ হয় এবং ঐ একজনকে বাদ দিয়ে যদি দায়িত্ব সম্পাদনে
বি:দ্র:- তামাদি আইনের ২৮ টাকা দেয়া হলো।
ধারা-২৮:- সম্পত্তির অধিকার বিলুপ্তি (Extinguishment of right to property):
কোন সম্পত্তিতে দখল লাভের জন্য মামলা করার বিষয়ে এই আইনে যে সময়সীমা করে দেয়া হয়েছে, তা অতিবাহিত হবার পর উক্ত সম্পত্তিতে বাদীর অধিকার নষ্ট হয়ে যাবে।
তামাদি আইনের ২৮ ধারায় বিরুদ্ধ দখল (Adverse Possession) নিয়ে আলােচনা করা হয়েছে।বিরুদ্ধ দখল (adverse possession) বা ১২ বৎসর দখলে থাকার কারণে স্থাবর সম্পত্তিতে যে স্বত্ব তৈরী হয় তা দখলি (Possession title) নামে পরিচিত।
তামাদি আইনের ২৮ ধারায় বিরুদ্ধ দখল (Adverse Possession) নিয়ে আলােচনা করা হয়েছে। ২৮ ধারায় বলা হয়েছে কোন সম্পত্তিতে দখল উদ্ধারের জন্য মোকদ্দমা দায়েরের যে তামাদির মেয়াদ আইনে উল্লেখ করা হয়েছে, তা উত্তীর্ণ হওয়ার পর সেই সম্পত্তিতে বাদীর অধিকার বিলুপ্ত হবে।
তামাদি আইনের ১ তফসিলের ১৪২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, স্থাবর সম্পত্তি বেদখলের তারিখ হতে ১২ বৎসরের মধ্যে দখল উদ্ধারের জন্য সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৮ ধারায় মামলা দায়ের করতে হয়। যদি বাদী এই নির্ধারিত সময়ে মামলা দায়ের না করে তাহলে ৩ আইনের ২৮ ধারা অনুযায়ী সম্পত্তিতে তার অধিকার সম্পর্ণকলৈ বিলুপ্ত হবে এবং বিবাদীর অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে।
সম্পত্তিতে বিবাদীর এরুপ দখল লাভ বিরুদ্ধে দখল (Adverse Possession) বলে পরিচিত। অথাৎ বিবাদা ১২ বৎসর যাবৎ স্থাবর সম্পত্তিতে নিরবিচ্ছিন্ন ও বাধাহীনভাবে দখলে থাকলে এবং বাদী ১২ বৎসরের মধ্যে দখল উদ্ধারে কোন আইনগত কার্যক্রম গ্রহণ না করলে বিবাদী উক্ত সম্পত্তিতে বিরুদ্ধে দখল (Adverse Possession) অর্জন করে।
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: