নাটোরের রাজবাড়ি (রাণী ভবানী কেন্দ্রীয় উদ্যান) Natore Rajbari || Rani vhobany uddan
Автор: HMF
Загружено: 2021-01-05
Просмотров: 4080
Описание:
নাটোরের রাজবাড়ি (রাণী ভবানী কেন্দ্রীয় উদ্যান)
রাজা রামজীবন নাটোর রাজবাড়ির প্রথম রাজা হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন ১৭০৬ মতান্তরে ১৭১০ খ্রিস্টাব্দে। তিনি ১৭৩০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত রাজত্ব করেন এবং সে বছরেই মৃত্যুবরণ করেন। সম্ভবত ১৭০৬ -১৭১০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে ৪৯.১৯২৫ একর জমির ওপর নাটোর রাজবাড়ি নির্মিত হয়েছে। রাজা রামজীবনের মৃত্যুর পর রাজা রামকান্ত ১৭৩৪ খ্রিস্টাব্দে নাটোরের রাজা হন। অনেকের মতে, ১৭৩০ থেকে ১৭৩৪ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত রাজা রামজীবনের দেওয়ান দয়ারাম নাটোরের তত্ত্বাবধান করতেন। রাজা রামকান্ত ১৭৩৪-১৭৪৮ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত নাটোরের রাজত্ব করেন।
পণ্ডিতবর্গ সেই স্থানেই রাজধানী নির্মাণের পরামর্শ দেন। রাজা এই স্থানে রাজবাড়ি নির্মাণ করবেন বলে স্থির করেন। রাজবাড়ি নির্মাণ করার পর রাজ-আমলা, কর্মচারী বহুবিধ লোকের সমাগমে অল্পদিনের মধ্যে বিলটি একটি শহরে পরিণত হয়। সেই পরিণত শহরই নাটোর, সেই রাজবাড়িটিই নাটোর রাজবাড়ি।
১৭৪৮ সালে রাজা রামকান্তের মৃত্যুর পরে নবাব ‘আলীবর্দি খাঁ’ রাজা রামকান্তের স্ত্রী রাণী ভবানীর ওপর জমিদারি পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করেন। রামজীবনের দত্তক পুত্র রাজা রামকান্তের স্ত্রী রাণী ভবানী বিভিন্ন জনহিতকর কাজের মধ্য দিয়ে এ রাজবংশকে ইতিহাসে স্থান করে দেন।
১৭৮৬ সাল পর্যন্ত নাটোর রাজ্য ছিল ভারতবর্ষের মধ্যে বৃহত্তম জমিদারি। রাণী ভবানীর রাজত্বকালে তার জমিদারি বর্তমান রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, কুষ্টিয়া, যশোর, রংপুর, পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, মালদহ জেলা পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।
ওই সময় রাণী ভবানীর রাজ্য ভ্রমণ করতে প্রায় ৩৫ দিন সময় লাগতো। আর তখন বার্ষিক রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছিল প্রায় দেড় কোটি টাকা। মহারাণী রাণী ভবানীর দত্তক পুত্র রামকৃষ্ণের মৃত্যুর পর বিশাল এ জমিদারি তার দুই পুত্র বিশ্বনাথ ও শিবনাথ রায়ের মধ্যে ভাগাভাগি হয়ে বড় তরফ ও ছোট তরফ নামে দুটি আলাদা জমিদারির উত্থান ঘটে।
অপরূপ কারুকার্যখচিত বিশাল এই রাজবাড়ির মোট আয়তন ১২০ একর। রাজবাড়ির চত্বরে ছোট-বড় মিলিয়ে ১৫টি ভবন রয়েছে। বাইরের শত্রুর হামলা থেকে রক্ষাকল্পে রাজবাড়ির চতুর্দিকে রয়েছে চৌকি বা পরিখা।
একতলা বিশিষ্ট মূল রাজপ্রাসাদে কক্ষ রয়েছে ১৫টি। এছাড়া এখানে দুইটি গভীর পুকুর ও পাঁচটি ছোট পুকুর আছে। রাজবাড়ি বেষ্টন করে আছে দুই স্তরের বেড় চৌকি। পুরো এলাকা বিভক্ত করা রয়েছে দুইটি অংশে। যথা, ছোট তরফ ও বড় তরফ।
রাজবাড়ির উল্লেখযোগ্য মন্দিরগুলো হলো- শ্যামসুন্দর মন্দির, আনন্দময়ী কালীবাড়ি মন্দির, তারকেশ্বর শিব মন্দির।
১৯৮৬ সাল থেকে রাজবাড়ির পুরো এলাকাটি রাণী ভবানী কেন্দ্রীয় উদ্যান বা যুব পার্ক হিসেবে নাটোর জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এই রাজভবনে রাজা রামজীবন, রামকান্ত ও অর্ধ-বঙ্গেশ্বরী রাণী ভবানী প্রশাসনিক কার্যক্রম চালাতেন।
Повторяем попытку...

Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: