লাউ গাছ ও মিষ্টি কুমড়া গাছে স্ত্রী ফুল আসবে দ্বিগুণ মাত্র 10 দিনে। Growing Bottle Gourd and Pumkin.
Автор: Krishi Jivan
Загружено: 2025-01-16
Просмотров: 656
Описание:
মিষ্টি কুমড়া চাষ পদ্ধতি নিম্নলিখিত ধাপগুলো অনুসরণ করে করা যেতে পারে:
১. জমি প্রস্তুতি
মিষ্টি কুমড়া উত্থাপন করতে ভালো জলবায়ু ও জমি প্রয়োজন। জমি প্রস্তুতির জন্য প্রথমে জমিতে আগাছা পরিষ্কার করে ফসলের জন্য উপযোগী একটি সমান স্তর তৈরি করুন। মিষ্টি কুমড়ার জন্য গভীর, সিল্কি ও ভাল পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা সম্পন্ন মাটির প্রয়োজন। জমি পলি মাটি অথবা দোআঁশ মাটিতে ভালোভাবে ফলন দেয়।
২. বীজ বপন
মিষ্টি কুমড়ার বীজ সাধারণত ৩-৪ সেন্টিমিটার গভীরে বপন করা হয়। মিষ্টি কুমড়ার জন্য সোজা সারিতে বা ডগায় বীজ বপন করা যেতে পারে। একক বীজের মধ্যে ৩০-৪০ সেন্টিমিটার দূরত্ব রেখে সারি তৈরি করা হয়। প্রতি সারিতে ৪-৬টি বীজ দিতে পারেন।
৩. সেচ ব্যবস্থাপনা
মিষ্টি কুমড়ার ভাল ফলন পেতে নিয়মিত সেচের প্রয়োজন হয়, বিশেষ করে যখন গাছের গুটি বের হতে থাকে এবং ফল তৈরি হতে শুরু করে। তবে মাটি যেন পিচ্ছিল না হয়ে যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
৪. সার প্রয়োগ
মিষ্টি কুমড়া গাছের প্রাথমিক পর্যায়ে ভালো বৃদ্ধি পেতে এনপিকে (Nitrogen, Phosphorus, Potassium) সার প্রয়োগ করতে হবে। সাধারণত ১২০ কেজি নাইট্রোজেন, ৫০ কেজি ফসফেট, এবং ৬০ কেজি পটাশ সার প্রতি একর জমির জন্য প্রযোজ্য।
৫. আগাছা পরিষ্কার করা
আগাছা গাছের বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত করে, তাই প্রতি ১৫-২০ দিনে একবার জমিতে আগাছা পরিষ্কার করা উচিত। এজন্য হাতে বা যান্ত্রিক উপায়ে আগাছা তুলে ফেলতে হবে।
৬. পোকার ও রোগ প্রতিরোধ
মিষ্টি কুমড়ার গাছে বিভিন্ন ধরনের পোকামাকড় ও রোগ হতে পারে, যেমন সাদা মাকড়, মাছি, পাতায় ছত্রাকজাত রোগ, ইত্যাদি। এইসব থেকে রক্ষা পেতে নিয়মিত পোকা নিধনকারী কীটনাশক ব্যবহার করতে পারেন।
৭. ফল সংগ্রহ
মিষ্টি কুমড়া সাধারণত ৯০-১২০ দিনের মধ্যে ফসল পরিপক্ক হয়। যখন ফলের রং ও আকার যথাযথ হয় এবং গাছের পাতা হলুদ হতে শুরু করে, তখন ফল সংগ্রহ করা যায়। গাছ থেকে ফল সংগ্রহ করতে সুতার সাহায্যে ফলটি সাবধানে কেটে নিন।
৮. ফল সংরক্ষণ
মিষ্টি কুমড়া সাধারণত ১-২ মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়। তবে দীর্ঘস্থায়ী সংরক্ষণের জন্য শীতল স্থানে রাখা ভাল, যাতে পচন না ঘটে।
এই পদ্ধতি অনুসরণ করে আপনি সফলভাবে মিষ্টি কুমড়া চাষ করতে পারবেন।
লাউ চাষ একটি সহজ এবং লাভজনক কৃষিকাজ। লাউ চাষের জন্য কিছু নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়, যাতে ভালো ফলন পাওয়া যায়। নিচে লাউ চাষের পদ্ধতি বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হল:
১. জমির প্রস্তুতি
লাউ চাষের জন্য উর্বর, দোআঁশ বা পলি মাটি সবচেয়ে উপযোগী। জমি ভালোভাবে পরিষ্কার করে আড়াআড়ি বা দীর্ঘ সারি তৈরি করুন। জমির pH স্তর ৬.০-৭.০ এর মধ্যে হওয়া উচিত। একর প্রতি ৫-৭ টন জৈব সার (কম্পোস্ট বা গোবর সার) প্রয়োগ করতে পারেন। এছাড়া, ফসফেট সারও প্রয়োগ করা উচিত।
২. বীজ বপন
লাউ চাষের জন্য বীজ সরাসরি জমিতে বপন করা হয়। সাধারণত বীজগুলি ২-৩ সেন্টিমিটার গভীরে বপন করতে হয়। বীজ বপনের জন্য প্রতি সারিতে ২৫-৩০ সেন্টিমিটার দূরত্ব রাখুন। লাউ চাষে বীজ বপনের সময় প্রতি গর্তে ২-৩টি বীজ দিতে পারেন এবং পরবর্তীতে এক বা দুটি ভালো গাছ রেখে বাকি গাছ তুলে ফেলুন।
৩. সেচ ব্যবস্থা
লাউ গাছের ভালো বৃদ্ধি ও ফলনের জন্য নিয়মিত সেচের ব্যবস্থা প্রয়োজন। বীজ বপনের পর প্রথমদিকে জমি আর্দ্র রাখতে হবে, কিন্তু অতিরিক্ত পানি জমে না যাওয়ার দিকে খেয়াল রাখতে হবে। ফুল আসা এবং ফল তৈরির সময় আরো বেশি পানি দিতে হবে, তবে অতিরিক্ত পানি জমে গেলে রুটের পচন হতে পারে, তাই সেচের সময় সামঞ্জস্য রাখা জরুরি।
৪. সার প্রয়োগ
লাউ গাছের জন্য মূলত তিনটি প্রধান পুষ্টির উপাদান—নাইট্রোজেন, ফসফরাস, এবং পটাশিয়াম দরকার। প্রথমে বীজ বপনের সময় কম্পোস্ট সার এবং এনপিকে সার প্রয়োগ করা উচিত। এরপর, ফুল আসা ও ফল তৈরির সময় নাইট্রোজেন সার আরো বেশি প্রয়োগ করা যেতে পারে, কারণ নাইট্রোজেন গাছের পাতা এবং শাখার বৃদ্ধি বাড়াতে সাহায্য করে।
৫. আগাছা পরিষ্কার
আগাছা গাছের পুষ্টির প্রতিযোগী হয়ে থাকে, তাই নিয়মিত আগাছা পরিষ্কার করতে হবে। বিশেষ করে গাছের প্রথমে বেড়ে ওঠার সময় আগাছা নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি।
৬. রোগ ও পোকামাকড় প্রতিরোধ
লাউ গাছে কিছু সাধারণ রোগ এবং পোকামাকড় হতে পারে, যেমন:
*ফুলে ও ফলের পচন:* ছত্রাকজনিত রোগের কারণে ফুল ও ফল পচে যেতে পারে। এর জন্য ছত্রাকনাশক ব্যবহার করা যেতে পারে।
*পিঁপড়ের আক্রমণ:* পিঁপড়া গাছের পাতায় আক্রমণ করতে পারে। এ ক্ষেত্রে কীটনাশক প্রয়োগ করা যেতে পারে।
৭. ফল সংগ্রহ
লাউ সাধারণত ৫০-৬০ দিনে পরিপক্ব হয়ে ওঠে। ফল যখন সবুজ রঙ ধারণ করে এবং আকারে বড় হয়, তখন সেগুলি সংগ্রহ করা যায়। ফল সংগ্রহ করার সময় খুব সাবধানে গাছ থেকে ছিঁড়ে নিন, যাতে গাছের শাখা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
৮. ফল সংরক্ষণ
লাউ তাজা অবস্থায় সংরক্ষণ করা কঠিন, কারণ এটি দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। তবে, আপনি লাউ শুকিয়ে বা ঘরোয়া পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করতে পারেন। এছাড়া, কিছু ক্ষেত্রে লাউকে কাটা বা চিড়াচিড়া করে ফ্রিজে রাখা যায়, যা দীর্ঘদিন ব্যবহার করা সম্ভব।
এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে আপনি ভালো ফলন পেতে সক্ষম হবেন।
Повторяем попытку...

Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: