বনেদি বাড়ির পুজো--শান্তিপুরের চাঁদুনিবাড়ির দুর্গাপুজো--শুভদীপ রায় চৌধুরী
Автор: The Koulal
Загружено: 2020-07-31
Просмотров: 1400
Описание:
বনেদিবাড়ির দুর্গাপুজো--শান্তিপুরের চাঁদুনিবাড়ির দুর্গাপুজো। শান্তিপুরের বনেদি মুখোপাধ্যায় পরিবার, যাদের পরিচিতি চাঁদুনীবাড়ি। বহুবছর ধরে দেবী কাত্যায়নীর আরাধনা হয়ে আসছে। এই বাড়ির পূর্বপুরুষ হলেন কাশীনাথ সার্বভৌম। তিনি ছিলেন শ্রীশ্রীচৈতন্যদেবের গৃহশিক্ষক। তৎকালীন সময় শান্তিপুর ছিল শৈবতীর্থ ও তন্ত্রসাধনার পীঠস্থান সাথে সাথে প্রাচীন যুগল বিগ্রহসেবাও অব্যহত ছিল। চাঁদুনীবাড়িতে বহুদিনের প্রাচীন কালীপুজো অনুষ্ঠিত হয়। পরিবারের সদস্যদের থেকেই জানা যায় যে এই পরিবারের দুর্গাপুজো তারও আগে শুরু হয়েছিল।
চাঁদুনি বাড়ির দুর্গাপুজো যে ঠাকুরদালানে অনুষ্ঠিত হয় অতীতে সেখানে হত না, আটচালায় পুজো হত আগে, প্রায় ২৫০বছর আগে এই মুখোপাধ্যায় বংশের সপ্তমপুরুষ যদুনাথ মুখোপাধ্যায় বাড়ির পেছনে জমি কেটে সেই মাটি দিয়ে তৈরি ইট থেকে দুর্গা ও কালী পুজোর জন্য আলাদা দুটি মন্দির তৈরি করেন। বর্তমানে সেই দুই পৃথক মন্দিরে পুজো হয়ে আসছে। পুজো শুরু হয় জন্মাষ্টমীর পরের দিন বাড়ির কুলপুরোহিত কর্তৃক দেবীর গায়ে মাটির প্রলেপ লাগানোর মধ্যদিয়ে। দুর্গাপুজোর ষষ্ঠীর দিন সকালে পরিবারের মহিলারা গঙ্গায় স্নান করে মায়ের তিনটি ঘট ভরে আনেন। সেই ঘট সন্ধ্যায় বসিয়ে মায়ের বোধন শুরু হয়। দুর্গাপুজোর সপ্তমীর দিন থেকে দশমী পর্যন্ত প্রতিদিন প্রথমে পরিবারের গোপাল ও চাঁদুনীমায়ের পুজো হয় তারপর দুর্গার পুজো হয়।
শান্তিপুরের চাঁদুনীবাড়িতে পুজোর দিনগুলিতে দেবীর ভোগে থাকে- খিচুড়ি, আট ধরনের ভাজা, সাদাভাত, শুক্তনি, ডাল, দুই রকমের তরকারি, চাটনি, পায়েস ইত্যাদি। তবে এই বাড়ির বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল পাকা কলার বড়া আর চালতার টক । শান্তিপুরের চাঁদুনীবাড়িতে সন্ধিপূজা অনুষ্ঠিত হয় না। এই বাড়িতে পুজোর একদিন অর্থাৎ মহানবমীর দিন আমিষভোগ দেওয়া হয় ইলিশমাছ দিয়ে। পরিবারের বিশ্বাস বছরে একবার তাদের বাড়ির মেয়ে আসেন শ্বশুড়বাড়ি থেকে তাই আমিষভোগের আয়োজন করা হয় মেয়ের জন্য। দশমীর দিন দেবীর জন্য পান্তা ভোগ ও ইলিশমাছের টক দিয়ে ভোগ দেওয়া হয় যেহেতু দশমীর দিন উমা আবার কৈলাসে ফিরবেন তাই বাড়ির সদস্যরা পান্তাভাতের সাথে দেন সমস্তরকম গোটা মশলা যাতে শ্বশুরঘরে ফিরে আবার রান্নার আয়োজন করতে না হয়।
দুর্গাপুজোর দশমীর দিন থেকেই কালীপুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায় অর্থাৎ দশমীর দিন পরিবারের বয়ঃজেষ্ঠ্যা সদস্যা চাঁদুনীমায়ের পাটে ও মায়ের গায়ে মাটি দেন। এইবাড়িতে বিজয়া দশমীর কোন অনুষ্ঠান পালন করা হয় না। বিকালে দেবীবরণের পর উমা কাঁধে করে বিসর্জনের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। বর্তমানে মুর্তি গড়ার কাজে রয়েছেন রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পী শ্রী সুধীর রঞ্জন পাল মহাশয়। এইভাবে ঐতিহ্যের সাথে এবং আভিজাত্যকে অক্ষুণ্ণ রেখে আজও নিষ্ঠার সাথে পুজো করে আসছেন শান্তিপুরের চাঁদুনীবাড়ির সদস্যরা।
সম্পাদনা--শুভঙ্কর সিনহা উদয়ন মজুমদার
আমাদের ওয়েবসাইট-https://bengali.koulal.com/
ফেসবুক পেজ- / thekoulal
Повторяем попытку...

Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: