ক্যাডার ও নন ক্যাডার নির্ধারণে করণীয় || How Do I Choose A Cadre in BCS
Автор: একটা চাকরি
Загружено: 2022-12-14
Просмотров: 122
Описание:
#ক্যাডার #ননক্যাডার #বিসিএস
বিসিএসে জেনারেল ও টেকনিক্যাল/প্রফেশনাল—এই দুই ক্যাটাগরিতে মোট ২৬টি ক্যাডার রয়েছে। পছন্দক্রমে ক্যাডার ও নন-ক্যাডার তালিকার ক্রম ঠিকঠাক সাজাতে না পারলে বা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করলে পরে আফসোস করতে হতে পারে। এ ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছেন ৩৫তম বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা রবিউল আলম লুইপা।
এদিকে এমবিবিএস করা একজন প্রার্থী ৪৫তম বিসিএসে মোট ১৪টি ক্যাডারে আবেদন করতে পারবেন (১২টি জেনারেল ক্যাডার+স্বাস্থ্য ক্যাডার+পরিবার পরিকল্পনা টেকনিক্যাল কাডার)। আবার পুরকৌশল (সিভিল) বিষয়ে স্নাতক সম্পন্ন করা একজন প্রার্থী মোট ১৬টি ক্যাডারে আবেদন করতে পারবেন (১২টি জেনারেল ক্যাডার+গণপূর্ত ক্যাডার+সড়ক ও জনপথ ক্যাডার+রেলওয়ে প্রকৌশল ক্যাডার+কারিগরি শিক্ষা ক্যাডার)।
ক্যাডার চয়েসের বিবেচ্য বিষয়
৪৫তম বিসিএসে প্রথমবারের মতো ক্যাডারের পাশাপাশি নন-ক্যাডার চয়েস দেওয়ার সুযোগ থাকছে। বিসিএস আবেদনের ‘ক্যাডার চয়েস’ পূরণ করার আগে ক্যাডারগুলোর দায়িত্ব, পদায়ন, পদোন্নতি, সুবিধা-অসুবিধা এগুলো জেনে নেওয়া জরুরি। ক্যাডার চয়েস দেওয়ার আগে প্রার্থীর ব্যক্তিগত আগ্রহ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আগ্রহের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ক্যাডার তালিকাই হতে পারে তাঁর জন্য সবচেয়ে সেরা পছন্দক্রম। এর পাশাপাশি যে বিষয়গুলো দেখা যেতে পারে সেগুলো হলো—
পদায়ন
চাকরির ধরন অনুযায়ী কিছু ক্যাডারে নিজ জেলায় কখনো পদায়ন হয় না, আবার কিছু ক্যাডারে শূন্য পদ সাপেক্ষে নিজ জেলায় পদায়ন সম্ভব। পরিবারকে সময় দেওয়াসহ নিজ জেলায় কর্মস্থলকে অগ্রাধিকার মনে করলে সেই সার্ভিসগুলোকেই বেছে নিতে হবে। কিছু ক্যাডারে উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে পদায়ন হতে পারে আবার কিছু ক্যাডারে বিভাগের বাইরে পদায়ন নেই। অনেকেই নাগরিক সুবিধার জন্য বিভাগীয় শহরে পদায়ন পছন্দ করে আবার অনেকেই বড় শহরের যানজট এড়িয়ে মফস্বল শহরে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। তাই ক্যাডারের পদায়নস্থল জেনে ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ মিলিয়ে নিতে হবে।
পদোন্নতি
চাকরিজীবনে পদোন্নতি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সঠিক সময়ের পদোন্নতি যেমন একজন কর্মীকে উজ্জীবিত করে; অন্যদিকে অনিয়মিত পদোন্নতি কর্মীকে হতাশায় নিমজ্জিত করে। অনেক সার্ভিসে গ্রেড-১/২ পর্যন্ত অনায়াসে যাওয়ার সুযোগ আছে আবার অনেক সার্ভিসে গ্রেড-৩/৪ থেকেই বিদায় নিতে হয়। তাই একটি সার্ভিসে প্রবেশের আগে সেই সার্ভিসের সর্বোচ্চ পদোন্নতির সুযোগ বা সম্ভাবনা সম্পর্কে জেনেই ক্যাডার চয়েস দেন অনেকেই।
কর্মপরিবেশ ও সুযোগ-সুবিধা
চাকরি ক্ষেত্রে কর্মপরিবেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটিও সার্ভিস টু সার্ভিস ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। আবার চাকরির ধরনের ওপর নির্ভর করে অনেক সময় সার্ভিসগুলোতে গাড়ি, কোয়ার্টার, সাপোর্টিং স্টাফ, আর্থিক প্রণোদনা, বৈদেশিক প্রশিক্ষণের সুযোগ ইত্যাদিরও তারতম্য হয়। কর্মপরিবেশ আর সুযোগ-সুবিধার ওপর একটি সার্ভিসের সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে ওঠে।
একাডেমিক জ্ঞানের সঙ্গে সম্পর্ক
অনেক প্রার্থী কর্মক্ষেত্রে একাডেমিক জ্ঞান প্রয়োগ করতে পছন্দ করেন। আবার অনেকে একাডেমিক বৃত্ত থেকে বের হয়ে ভিন্ন ক্ষেত্রে নিজেকে প্রতিষ্ঠার ব্যাপারেও কৌতূহলী থাকেন। ক্যাডার চয়েসের আগে সংশ্লিষ্ট ক্যাডারের সার্বিক বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন।
কাজের সুযোগ ও কাজের চাপ
কাজের ক্ষেত্রে বৈচিত্র্য চাকরিজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাপ্তি। বিভিন্ন দপ্তরে কাজের সুযোগ, বিভিন্ন ধরনের কাজের সুযোগ কর্মক্ষেত্রকে উপভোগ করতে শেখায়। কাজের সুযোগের সঙ্গে কাজের চাপ সামঞ্জস্যপূর্ণ। কাজের সুযোগ বেশি থাকলে কাজের চাপও বেশি হবে। যাঁরা তুলনামূলক কম চাপ বা কিছুটা আরামের চাকরি পছন্দ করেন, তাঁদের জন্য সেসব পদ উপযুক্ত যেগুলোতে দাপ্তরিক ক্ষমতা বা দায়িত্বের পরিধি কম। ক্যাডার তালিকা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে সব ক্রাইটেরিয়া বা মানদণ্ডকে তুলনাযোগ্য করার জন্য তুলনামূলক ক্যাডার ছক তৈরি করতে পারেন। এই ছকে প্রতিটি ক্যাডারের ক্রাইটেরিয়া গ্রেড নির্দিষ্ট করে তুলনা করলেই বুঝে যাবেন, আপনার চাহিদার সঙ্গে কোনটি বেশি সামঞ্জস্যপূর্ণ।
‘তুলনামূলক ক্যাডার ছক’ খেয়াল করুন। প্রশাসন ক্যাডারদের নিজ জেলায় পদায়ন হয় না। নির্দিষ্ট সময় পর পর কর্মস্থল পরিবর্তন করতে হয়, পদোন্নতি খুব ভালো, সুযোগ-সুবিধাও অনেক ভালো, একাডেমিক জ্ঞান কাজে লাগানোর সুযোগ তুলনামূলক কম, কাজের সুযোগ ও বৈচিত্র্য যেমন বেশি, কাজের চাপও অনেক বেশি। অন্যদিকে কৃষি ক্যাডারে একাডেমিক জ্ঞান কাজে লাগানোর সুযোগ অনেক বেশি আবার পদায়ন, পদোন্নতি, সুযোগ-সুবিধা, কাজের সুযোগ ও কাজের চাপ মোটামুটি। শিক্ষা ক্যাডারের নিজ জেলায় পদায়ন সুবিধা আছে, একাডেমিক জ্ঞান কাজে লাগানোর সুযোগ প্রচুর, কাজের চাপ তুলনামূলক কম, কিন্তু পদোন্নতি, সুযোগ-সুবিধা, কাজের সুযোগ তুলনামূলক কম।
নন-ক্যাডার চয়েসের বিবেচ্য বিষয়
আগে নন-ক্যাডার তালিকা থেকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের চাহিত তালিকা অনুযায়ী বিভিন্ন নন-ক্যাডারে সুপারিশ করা হতো। সে ক্ষেত্রে দেখা যেত মেধাতালিকায় প্রথম দিকে থাকা অনেক প্রার্থীকে এমন একটি নন-ক্যাডারে সুপারিশ করা হয়েছে, যেটি সামাজিক মূল্যায়নে পেছনের দিকে। আবার মেধাতালিকায় শেষের দিকে থাকা অনেক প্রার্থীকে এমন একটা নন-ক্যাডারে সুপারিশ করা হয়েছে, যেটি সামাজিক মূল্যায়নে অনেক এগিয়ে। নন-ক্যাডারের সুপারিশের এই ত্রুটি দূর করার জন্য পিএসসি ৪৫তম বিসিএসের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি থেকেই নন-ক্যাডার তালিকা প্রকাশ করেছে এবং প্রার্থীদের পছন্দক্রম দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হতে পারে। ক্যাডার চয়েসের মতো নন-ক্যাডারের তালিকায় থাকা চাকরির পদ ও দপ্তর সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে হবে। কোন দপ্তরের কী কাজ, কোন পদের কী কাজ, উক্ত পদের সুযোগ-সুবিধা কী কী আছে, প্রমোশন গ্রোথ কেমন সব তথ্য জেনে নন-ক্যাডার চয়েস তালিকা তৈরি করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির আলাদা আলাদা তালিকা তৈরি করার সুযোগ থাকবে।
নন-ক্যাডারেও দুই ধরনের চাকরি
১. জেনারেল (এই পদগুলোতে সব ডিসিপ্লিনের প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়া হয়)
২. টেকনিক্যাল (চাকরির পদসংশ্লিষ্ট শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়া হয়)।
Повторяем попытку...

Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: