"হাসিনার তেলবাজরাও উপদেষ্টা" | সারজিস আলম | উপদেষ্টা পরিষদ | অন্তর্বর্তী সরকার | bnanews24

Описание: ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে নিয়ে এবার প্রকাশ্যে ক্ষোভ ঝেড়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক এবং জুলাই শহিদ স্মৃতি ফান্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম।

সম্প্রতি সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল এবং আকার বাড়ানো প্রসঙ্গে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম এ সমন্বয়ক।

রোববার (১০ নভেম্বর) দিবাগত রাতে এক ফেসবুক পোস্টে অসন্তোষ প্রকাশ করেন সারজিস আলম।
ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, ‘শুধু ১টা বিভাগ থেকে ১৩জন উপদেষ্টা! অথচ উত্তরবঙ্গের রংপুর, রাজশাহী বিভাগের ১৬টা জেলা থেকে কোনো উপদেষ্টা নাই! তার উপর খুনি হাসিনার তেলবাজরাও উপদেষ্টা হচ্ছে!’

এর আগে রোববার উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল এবং আকার বাড়িয়েছে সরকার। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার পরে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন নতুন তিন উপদেষ্টাকে শপথ পাঠ করান। নতুন উপদেষ্টাদের মধ্যে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এবং শেখ বশিরউদ্দীনকে বাণিজ্য, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে । তবে এখনও কোনো দায়িত্ব দেয়া হয়নি মাহফুজ আলমকে।

তবে অন্তর্বর্তী সরকারের নতুন উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়া দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী আকিজ-বশির গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ বশীরউদ্দিনের বিরুদ্ধে বঙ্গভবনের সামনে মশাল মিছিল করেছে গণ-অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা।

মশাল মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা শেখ বশীরউদ্দিনকে আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে তাকে আখ্যায়িত করেন। তারা বলেন, উপদেষ্টা পরিষদে শেখ বশীরউদ্দিনের জায়গা পাওয়া মানে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া। অবিলম্বে উপদেষ্টা পরিষদ থেকে শেখ বশীরকে সরিয়ে দিতে হবে।

মূলত উপদেষ্টা পরিষদে বৃহত্তর চট্টগ্রামের ব্যক্তিদের প্রাধান্য দেওয়া নিয়ে শুরু থেকেই সমালোচনার মুখে ছিল অন্তর্বত্নীকালীন সরকার। শুধু আঞ্চলিকতাই নয়, সরকারি দপ্তর ও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোতে এককভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে অগ্রাধিকার দেওয়া নিয়েও ঢাকার বাইরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীরা একাধিকবার প্রতিবাদও জানিয়েছেন।

আর এবার প্রকাশ্যে উপদেষ্টা নিয়োগে বৈষম্য হয়েছে মর্মে অভিযোগ করলেন খোদ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনেরই সামনের সারিতে থাকা এক সমন্বয়ক।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সারজিসের এমন মন্তব্যের ফলে এটি স্পষ্ট — অন্তর্বর্তী সরকার এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের মধ্যে বিরোধ দেখা দিয়েছে। অথচ প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস একাধিকবার গণমাধ্যমে বলেছেন, ছাত্র-জনতার প্রেক্ষাপটেই তিনি এ দায়িত্ব নিয়েছেন।

সারজিসের এই পোস্টের পর নেটিজেনদের মনে প্রশ্ন—ড. ইউনূস সরকারকে তাহলে পেছন থেকে ফুয়েল দিচ্ছে কারা?