🔥 হাশর-কেয়ামত || Sufi Delwar Hossain Chisti Comilla || November 26, 2025
Автор: Muktir Sopan
Загружено: 2025-11-25
Просмотров: 119
Описание:
#muktirsopan হাশর কেয়ামত || Sufi Delwar Hossain Chisti Comilla || November 26, 2025
সূরা বাকারা ১৩৪+১৩৫। হজরত ইব্রাহীম (আ) ও তাঁহার পরিশুদ্ধ ধর্মাদর্শকে কেন্দ্র করিয়া যে বিশিষ্ট উম্মত তৈরী হইয়াছিল এবং তাহা হইতে যে সকল মহাপুরুষ ও জ্ঞানী লোক সৃষ্টি হইয়াছিল তাহা অতীত হইয়াছে। তাহারা যেমন কর্ম করিয়াছিলেন তেমনই মহত্ত্ব অর্জন করিয়াছিলেন।
তাহাদের আদর্শ হইতে বিচ্যুত হইয়া তাহাদের
নামের উপর দল সৃষ্টি করিলে সেই দল জগতকে কোন কল্যাণ দান করিতে পারিবে না। ধর্ম জগত হইতে সত্যের আদর্শ যে যেমন পালন করিবে সে তেমন ফল পাইবে। শুধু মহৎ নামকে ধরিয়া রাখিলে চলিবে না। তাহা দ্বারা কৃতিত্ব বা মুক্তি অর্জন করা যাইবে না।
উপস্থিত একজন মহাপুরুষের নিকট আত্মসমর্পণ করিয়া তথা মুসলমান হইয়া তাঁহার শিক্ষানুযায়ী ধর্মজগতের সকল অংশীবাদ হইতে আত্মশুদ্ধির ব্যবস্থা অবশ্যই করিতে হইবে, নতুবা ত্রাণ পাওয়া যাইবে না।
______________________________________
৩৯। শিরিকের যে সকল কলুষ-কালিমা আপন সত্তা হইতে মুছিয়া ফেলিবার ইচ্ছা অর্থাৎ চেষ্টা অবিরামভাবে করা হয় আল্লাহ তাহা চরিত্র হইতে মুছিয়া ফেলেন এবং প্রচেষ্টা গ্রহণকারীকে সৃষ্টির মোহবন্ধন হইতে মুক্ত করিয়া বাকা'র পর্যায়ে প্রতিষ্ঠা দান করেন। জন্ম-মৃত্যুর ধ্বংসাত্মক আবর্তে আর ফেলেন না। এবং তাঁহারই নিকটে অর্থাৎ আল্লাহর নিকটে রহিয়াছে আল-কেতাবের মা, অর্থাৎ সিদ্ধপুরুষদের মা-নূর মোহাম্মদ বা মোহাম্মদী স্তরের ব্যক্তি। মানব জীবনের উচ্চতম পর্যায় হইল মোহাম্মদ পর্যায়। এই পর্যায় কোন এক নির্দিষ্ট ব্যক্তির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। সর্বযুগেই মোহাম্মদ আছেন আলে- মোহাম্মদরূপে। তিনি সকল সিদ্ধপুরুষদের মা। এই মায়ের সন্ধান আল্লাহর নিকটেই প্রাপ্তব্য।
৪০। মানুষ আপন কর্মকাণ্ডের ফলাফল সম্বন্ধে একেবারেই উদাসীন। সৃষ্টির মধ্যে মানুষ তাহার আপন অবস্থান জানে না। সালাতের মাধ্যমে যখন আল্লাহ তাহাকে ধর্মরাশির মধ্যে মানুষের বিপদজনক অবস্থান দেখাইয়া দেন তখন সেই মানুষের কর্তব্য হইয়া পড়ে এই তথ্য মানুষের নিকট পৌছাইয়া দেওয়া, যদিও মানুষ ইহা বুঝিতেই চায় না। সালাতের ধ্যান ব্যতীত ইহা উপলব্ধি করাও যায় না।
অথবা যদি কাহাকেও মরার আগে মৃত্যু দান করা হয় তবে তিনিও এই বিষয়ে অর্থাৎ মানুষের বিপদজনক পরিস্থিতি বিষয়ে স্পষ্টদ্রষ্টা হইয়া যান এবং মানুষের নিকট এই গুরুত্বপূর্ণ সত্য পৌছাইয়া দিবার জন্য ব্যস্ত হইয়া পড়েন। সত্যদ্রষ্টাদের কর্তব্য হইল মানুষের দুর্গতিজনক পরিস্থিতির সম্যক স্বরূপ তাহাদের নিকট পৌছাইয়া দেওয়া এবং আল্লাহর করণীয় কাজ হইল। ধর্মরাশির উপর মানুষের সালাত প্রক্রিয়ার হিসাব লওয়া। এবং তদনুযায়ী কর্মফল দান করা।
৪১। মানবদেহকে মাতৃগর্ভের মাধ্যমে যেভাবে সৃষ্টির মধ্যে আনয়ন করিতেছেন তাহা তো আমরা দেখিতেই আছি। তারপর দেহের মধ্যে ক্রমশ যে সকল চিন্তা-চেতনার বিস্তার ও বৃদ্ধি হইয়া থাকে সেই বিস্তারগুলিও উহাদের প্রান্তদেশ হইতে সংকুচিত করিয়া একেবারে হীন-দুর্বল করিয়া ফেলা হয়। এই বিষয়ে তাহার যে সূক্ষ্ম ন্যায়-বিচারের বিধান প্রতিষ্ঠিত রাখিয়াছেন তাহা অপ্রতিহতভাবে চলিয়া আসিতেছে; কাহারও সাধ্য নাই তাহা রোধ করিতে পারে। প্রতিটি মানুষের কর্মকাণ্ডের ত্বরিৎ হিসাব গ্রহণ করা বিষয়ে তিনি অত্যন্ত তৎপর। কাহারও প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপ করিবার সঙ্গে সঙ্গে তাহার পাপ-পুণ্যের হিসাব আল্লাহর নিকট জানা হইয়া যায়।
৪২। সব জাতি সব যুগেই নিজেদের কৌশল অনুসারে জীবন যাপন করে কিন্তু মানবীয় সকল কৌশল আল্লাহর কৌশলের নিকট হার মানিতে বাধ্য হয়, ইহার কারণ সৃষ্টি রহস্যের সকল কৌশল আল্লাহর জন্য তৈরি করা হইয়াছে। অর্থাৎ তাহার পথের পথিক হওয়ার জন্য তৈরি করা হইয়াছে। সুতরাং মানুষের রচিত জীবন পদ্ধতি আল্লাহর পদ্ধতির সঙ্গে সমন্বিত হওয়া উচিত। সুতরাং মানুষের যে কৌশল তাহা আল্লাহর কৌশলের দিকে সহায়ক না হইলে পরিণামে তাহা ব্যর্থ হইতে বাধ্য। মানবীয় নফসের প্রতিটি যাহা কিছু অর্জন করে অর্থাৎ মস্তিষ্কে মোহরূপে জমাইয়া রাখে আল্লাহ তাহা জানেন। কাফেরগণ যদিও নফসের কর্মকাণ্ডের ফলাফল এবং তাহার অর্জন জীবদ্দশায় জানে না তথাপি তাহারা মৃত্যু দ্বারা শীঘ্রই তাহা জানিবে, এবং শেষ আবাস অর্থাৎ মুক্ত অবস্থা কাহাদের জন্য তাহাও জানিতে পারিবে।
সূরা রা’দ-এর ব্যাখ্যা সূফী
সদর উদ্দিন আহমদ চিশতী খাজা বাবা। 🙏🍂
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: