আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হওনা | আল্লাহ তোমার অপেক্ষায় কখন তুমি অনুতপ্ত হয়ে ফিরে আসবে🥺।
Автор: THE THOUGHTFUL MUSLIM
Загружено: 2022-10-19
Просмотров: 119
Описание:
আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হও না | আল্লাহ তোমার অপেক্ষায় কখন তুমি অনুতপ্ত হয়ে ফিরে আসবে 🥺।
আল্লাহ তায়ালা নিজ বান্দাদের আশান্বিত করেছেন তাঁর দয়ায়। উদ্বুদ্ধ করেছেন তাঁর ক্ষমা পেতে। ঝুলিয়ে দিয়েছেন তাঁর মাগফিরাতের প্রত্যাশা।
আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহর রহমত থেকে কাফের সম্প্রদায় ব্যতীত অন্য কেউ নিরাশ হয় না।’ (সূরা ইউসুফ : ৮৭)।
তিনি আরো বলেন, ‘পালনকর্তার রহমত থেকে পথভ্রষ্টরা ছাড়া কে নিরাশ হয়?’ (সূরা হিজর : ৫৬)
আল্লাহ তায়ালা এখানে স্পষ্ট করে দিয়েছেন, হতাশা ও নিরাশ হওয়া মোমিনের জন্য শোভন নয়। বরং মোমিন সর্বদা থাকে ভয় ও আশার মাঝামাঝি। সে ভয় করে নিজের পাপের অপরাধ ও অবাধ্যতার পরিণতিকে আবার সঙ্গে সঙ্গে নিজ আনুগত্য ও আমলের সুবাদে রবের দয়া, ক্ষমা ও অনুগ্রহের আশা রাখে।
আল্লাহ তায়ালার এরশাদ‘বলুন, হে আমার বান্দারা যারা নিজেদের ওপর জুলুম করেছ তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহ সব গোনাহ মাফ করেন। তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ (সূরা যুমার : ৫৩)।
তিনি আরো এরশাদ করেন, ‘আর আমার দয়া তা তো প্রত্যেক বস্তুকে ঘিরে রয়েছে। কাজেই আমি তা লিখে দেব তাদের জন্য যারা তাকওয়া অবলম্বন করে, জাকাত দেয় এবং আমার আয়াতগুলোতে ঈমান আনে।’ (সূরা আরাফ : ১৫৬)।
আবু জর গিফারি (রা.) কর্তৃক বর্ণিত হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘হে আদম সন্তান, তুমি যতদিন আমাকে ডাকতে থাকবে এবং আমার কাছে আশা করতে থাকবে, তোমার দ্বারা যা কিছু গোনাহ হয়েছে আমি তা ক্ষমা করে দেব। আর এ ব্যাপারে আমি কোনো পরোয়া করি না।
হে আদম সন্তান, তোমার গোনাহ যদি আকাশের মেঘমালায়ও উপনীত হয়, এরপর তুমি যদি আমার কাছে ক্ষমা চাও, তবুও আমি তোমাকে ক্ষমা করে দেব; এতে আমার কোনো পরোয়া নেই।
হে আদম সন্তান, তুমি যদি জমিন পরিমাণ গোনাহ নিয়েও আমার কাছে এসে উপস্থিত হও, আর আমার সঙ্গে যদি কিছু শরিক না করে থাক, তবে আমিও সে পরিমাণ মাগফিরাত (ক্ষমা) নিয়ে তোমার কাছে আসব।’
একইভাবে আবু হুরায়রা থেকে বর্ণিত হয়েছে : নবী (সা.) বলেন, হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন, ‘আমি আমার প্রতি আমার বান্দার ধারণার কাছাকাছি থাকি।’
জাবের বিন আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (সা.) মৃত্যুর তিন দিন আগে এরশাদ করেন, ‘তোমাদের কেউ যেন আল্লাহর প্রতি সুধারণা রাখা ছাড়া মৃত্যুবরণ না করে।’ (মুসলিম)।
আল্লাহর বান্দারা, মালিকের প্রতি গোলামের সুধারণা কোনো নির্দিষ্ট অবস্থা, নির্ধারিত ঘটনা কিংবা ক্ষণিকের কোনো সময়ের জন্য প্রযোজ্য নয়। বরং যেমন সুধারণা রাখতে হবে আল্লাহর প্রতি ধাবিত হওয়া, তাঁর ক্ষমা ও মাগফিরাত লাভের ক্ষেত্রে, অনুরূপ তাঁর প্রতি সুধারণা রাখতে হবে এ দুনিয়ায় সব ধরনের বিপদ ও সংকটে। তাই যখন কোনো রোগ আক্রমণ করে, ঋণের বোঝা আঁকড়ে ধরে বা প্রিয় কিছুর বিয়োগ ঘটে; তখনও তার কর্তব্য হবে, হতাশ না হওয়া এবং আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ না হয়ে পড়া। বরং দৃঢ় বিশ্বাস রাখতে হবে, বিপদ যা এসেছে, নিশ্চয় তাতে কোনো মঙ্গল নিহিত রয়েছে।
আল্লাহ এর দ্বারা মর্যাদা বাড়াবেন কিংবা গোনাহ মাফ করবেন অথবা এর চেয়ে বড় কোনো বিপদ থেকে রক্ষা করবেন কিংবা যা হারিয়েছে তার উত্তম বিকল্প কিছু দেবেন। সেটা দ্রুত হোক বা দেরিতে।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহর যার মঙ্গল চান, তাকে বিপদ দেন।’
আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেন‘নিশ্চয় বড় প্রতিদান বড় বিপদের সঙ্গে। আল্লাহ তায়ালা যখন কোনো জাতিকে ভালোবাসেন, তাদের পরীক্ষা করেন। এ পরীক্ষায় যে খুশি থাকে তার জন্য আল্লাহও খুশি হয়ে যান, আর যে রাগান্বিত হয়, তার জন্য তিনিও রেগে যান।’ (তিরমিজি)।
সর্বোপরি আমাদের সর্বদা মনে রাখতে হবে, আল্লাহর প্রতি মন্দ ধারণা মোমিনের চরিত্র নয়। আল্লাহর বিনীত বান্দার চরিত্র নয়। আল্লাহ তায়ালা কত ভয়কে নিরাপত্তায়, কত দারিদ্র্যকে প্রাচুর্যে পরিবির্তত করেছেন। বরং আল্লাহর প্রতি সুধারণা বহাল রাখতে হবে। তাঁর কাছে উত্তম বিনিময়ের প্রত্যাশা করে যেতে হবে।
পাশাপাশি এও মনে রাখতে হবে, আমাদের ওপর যেসব বিপদ বা সংকট আসে তা আমাদেরই কর্মের প্রতিফল। যদিও আল্লাহ তায়ালা অনেক পাপই মাফ করে দেন।
আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন‘আমি মানুষকে নেয়ামত দান করলে সে মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং অহংকারে দূরে সরে যায়; যখন তাকে কোনো অনিষ্ট স্পর্শ করে, তখন সে একেবারে হতাশ হয়ে পড়ে। বলুন, প্রত্যেকেই নিজ রীতি অনুযায়ী কাজ করে। অতঃপর আপনার পালনকর্তা বিশেষরূপে জানেন, কে সর্বাপেক্ষা নির্ভুল পথে আছে।’ (সূরা ইসরা : ৮৩-৮৪
@La-ilahailAllahu
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: