মাগুরার সেই শিশু ধর্ষ/ণ ও হ/ত্যা মামলার রায় শনিবার, সর্বোচ্চ শাস্তির প্রত্যাশা
Автор: abcbangla71. com
Загружено: 2025-05-16
Просмотров: 29
Описание:
মাগুরায় শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলার অভিযোগপত্রে প্রধান আসামি হিটু শেখের যে ‘বীভৎসতার’ বর্ণনা দেওয়া হয়েছে, তাতে তার ‘বিকৃত ও পৈশাচিক মানসিকতাই’ প্রকাশ পেয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা মন্তব্য করেছেন।
৮ বছরের শিশুটিকে যৌন নিপীড়ন করতে গিয়ে প্রধান আসামি ধারালো ব্লেড ব্যবহার করেছেন- অভিযোগপত্রের এমন বিবরণ শুনে একজন নারীনেত্রী মন্তব্য করেছেন, “এটা শুধু একজন বিকৃত, পৈশাচিক আর জানোয়ারের পক্ষেই সম্ভব। একটা নিষ্পাপ শিশুর সঙ্গে এটা কল্পনাতীত পশুত্বের আচরণ করা হয়েছে।”
মাগুরার আলোচিত এই শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলার রায়ের জন্য শনিবার দিন রেখেছে আদালত। সারাদেশে সমালোচনার জন্ম দেওয়া এই মামলাটির বিচারকাজও খুব দ্রুত সম্পন্ন হতে চলেছে। ঘটনার মাত্র দুই মাস ১১ দিনের মাথায় এই মামলার রায় হতে চলেছে।
৬ মার্চ মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার শিশুটি তার বোনের বাড়ি বেড়াতে এসে ধর্ষণের শিকার হয়। সাত দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে ১৩ মার্চ ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতারে মারা যায়।
১৩ এপ্রিল মাগুরার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলাউদ্দিন। মামলা চার আসামি হচ্ছে- শিশুটির বড় বোনের শ্বশুর হিটু শেখ, মেয়ে জামাই সজীব শেখ, তার ভাই রাতুল শেখ ও তাদের মা রোকেয়া বেগম। তারা কারাগারে আছেন।
হিটু শেখ ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তবে তিনি মামলার সাক্ষ্য চলাকালে একাধিক দিন সাংবাদিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেছেন, তিনি এর সঙ্গে জড়িত নন।
যেভাবে ঘটে সেইদিন শিশু ধর্ষণ ও হত্যা
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে- ঘটনার আগে ১ মার্চ ৮ বছরের শিশুটি তার বড় বোনের সঙ্গে শ্রীপুর উপজেলার গ্রামের বাড়ি থেকে মাগুরা শহরতলীর নিজনান্দুয়ালী গ্রামে হিটু শেখের বাড়িতে আসে। ভগ্নিপতি সজীব শেখ ওরফে ইসমাইল তাদের নিয়ে আসে। পরের পাঁচটি দিন ভালই যায়।
৫ মার্চ রাত সাড়ে ১০টায় সবার সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া সেরে শিশুটি তার বোন ও ভগ্নিপতির সঙ্গে একই বিছানায় ঘুমায়। পরদিন ৬ মার্চ খুব সকালে বাড়ির লোকজন ঘুম থেকে উঠে পড়ে। সকাল ৬টায় হিটু শেখের স্ত্রী জাহেদা বেগম (৩৮) বাড়ির পাশের ওলিয়ারের ক্ষেতে মসুরির ডাল তোলার কাজে চলে যান।
হিটু শেখের মা রোকেয়া বেগম রান্নাবান্নার কাজে চলে যান। সকাল ৮টা থেকে সোয়া ৮টার মধ্যে খাওয়া-দাওয়া করে শিশুটির ভগ্নিপতি সজীব শেখও রাজমিস্ত্রির কাজে বাড়ির বাইরে চলে যান। এরপর রান্নাঘর থেকে ভাত ও তরকারি এনে বড় বোন শিশুটিকে খাওয়ায়। হাতমুখ ধুয়ে শিশুটি আবার বোনের ঘরেই বিছানায় শুয়ে থাকে।
হিটু শেখের মা রোকেয়া বেগম এর কিছু সময় পর বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার জন্য বাড়ির বাইরে চলে যান।
ফলে ওই সময় বাড়িতে হিটু শেখ, শিশুটি, তার বড় বোন এবং হিটু শেখের বড় ছেলে রাতুল শেখ বাড়িতে ছিল। হিটু শেখ, রাতুল শেখ তাদের নিজেদের ঘরে এবং শিশুটি তার বড় বোনের ঘরের বিছানায় শুয়ে ছিল। বড় বোন বাড়ির রান্নাঘরে আশপাশে কাজ করার পাশাপাশি মোবাইল ফোনে ব্যস্ত ছিল।
সকাল ৮টা ২০ মিনিটে হিটু শেখ ঘুম থেকে উঠে দেখেন তার পুত্রবধূ অর্থাৎ সজীবের স্ত্রী রান্নাঘরের পাশে বরই গাছের নিচে মোবাইল ফোনে কারও সঙ্গে কথা বলছেন। হিটু শেখ তখন সজীবের ঘরের বারান্দায় যায় এবং দেখতে পায়, সেই ঘরের দরজা খোলা। শিশুটি তার বোনের বিছানায় শুয়ে আছে।
হিটু শেখ তখন ‘যৌন কামনা চরিতার্থ করতে’ সজীবের ঘরে ঢুকে শিশুটির মুখ চেপে ধরে এবং বিছানা থেকে তাকে নামিয়ে ঘরের মেঝেতে রাখে। শিশুটি চিৎকার করলে হিটু শেখ পাশে থাকা একটি ওড়না দিয়ে শিশুটির গলায় চেপে ধরে। এরপরই শিশুটি অচেতন হয়ে যায়।
এই অবস্থাতেই হিটু শেখ শিশুটির বুকের উপর চেপে বসে। একপর্যায়ে বিছানা থেকে বালিশ টেনে এনে শিশুটির মুখ চেপে ধরে এবং শিশুটির উপর যৌন নিপীড়ন চালায়।
অভিযোগপত্রের বর্ণনায় বলা হয়েছে, যৌন নিপীড়নের একপর্যায়ে সময় হিটু শেখ তার নিজের ঘরে গিয়ে বিছানার তোষকের নিচ থেকে একটি পুরনো ব্যবহার করা ব্লেড নিয়ে আসে এবং শিশুটির যৌনাঙ্গ ও বুকে ব্লেড ব্যবহার করা হয়। যৌন নিপীড়ন শেষে হিটু শেখ সেই ব্লেডটি আবার নিজের ঘরের বিছানার তোষকের নিচে নিয়ে রেখে দেয়।
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: