রামেশ্বরম সেতু (Pamban Bridge) ও শেষ দুর্ঘটনা || The Rameswaram Bridge and the Last Accident
Автор: Kotha O Kahani (কথা ও কাহিনি) by Nandini
Загружено: 2025-05-26
Просмотров: 219
Описание:
রামেশ্বরম সেতু, যাকে পাম্বান ব্রিজ নামেও পরিচিত, ভারতের একটি ঐতিহাসিক এবং গুরুত্বপূর্ণ রেলসেতু। এটি তামিলনাড়ু রাজ্যের উপকূলীয় শহর মাণ্ডপমকে পাম্বান দ্বীপ এবং রামেশ্বরম শহরের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে। এই সেতু শুধু একটি পরিবহণ ব্যবস্থার অংশ নয়, বরং ভারতীয় রেল এবং স্থাপত্য কৌশলের এক যুগান্তকারী নিদর্শন হিসেবেও বিবেচিত।
এই সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয় ১৯১১ সালে এবং এটি ১৯১৪ সালে উদ্বোধন হয়। প্রায় ২.৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতু ভারতের প্রথম সমুদ্রের ওপর নির্মিত রেলসেতু। সেতুটির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো “Scherzer rolling lift span”, যা ওপরে তুলে দেওয়া যায়, যাতে বড় জাহাজগুলি অনায়াসে যাতায়াত করতে পারে। এটি প্রযুক্তিগত দিক থেকে একটি চমৎকার উদাহরণ।
তবে, সেতুটি বর্তমানে খুবই পুরনো এবং অনেকাংশেই ঝুঁকিপূর্ণ। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে এই সেতুর সঙ্গে জড়িয়ে ঘটে যায় একটি মারাত্মক দুর্ঘটনা। একটি পুরনো রেল ইঞ্জিনকে পরীক্ষামূলকভাবে চালনা করার সময়, সেটি রেললাইন থেকে বিচ্যুত হয়ে সাগরে পড়ে যায়। ইঞ্জিনচালক সময়মতো লাফিয়ে পড়ে নিজের জীবন রক্ষা করেন এবং সৌভাগ্যবশত, এই দুর্ঘটনায় কোনও প্রাণহানি ঘটেনি। দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে ধরা হয় সেতুর বার্ধক্য, দুর্বল কাঠামো, এবং রক্ষণাবেক্ষণের অভাবকে। এছাড়া খারাপ আবহাওয়াও একটি সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
এই ঘটনাটি সেতুর ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে ভাবার দরজা খুলে দেয়। ভারত সরকার ইতিমধ্যে একটি আধুনিক, দ্রুতগামী ট্রেন চলাচলের উপযোগী নতুন পাম্বান সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করেছে। এই নতুন সেতুটি আরও নিরাপদ এবং প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত হবে বলে আশা করা হচ্ছে, এবং এটি ২০২৫ সালের মধ্যে চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
রামেশ্বরম সেতু কেবলমাত্র একটি রেলসেতু নয়, বরং ভারতের প্রযুক্তিগত অগ্রগতির এক জীবন্ত সাক্ষী। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এর ক্ষয়প্রাপ্ত কাঠামো আমাদের মনে করিয়ে দেয়, যে কোনও প্রযুক্তিরই রক্ষণাবেক্ষণ অত্যন্ত জরুরি। ভবিষ্যতের জন্য নতুন সেতুর নির্মাণ এই অঞ্চলের উন্নয়ন ও নিরাপদ যাত্রার দিকেই আমাদের নিয়ে যাবে
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: