ycliper

Популярное

Музыка Кино и Анимация Автомобили Животные Спорт Путешествия Игры Юмор

Интересные видео

2025 Сериалы Трейлеры Новости Как сделать Видеоуроки Diy своими руками

Топ запросов

смотреть а4 schoolboy runaway турецкий сериал смотреть мультфильмы эдисон
Скачать

পহেলা ফাল্গুনে আইলো ধলের মেলা।শাহ্ আব্দুল করিম। ভাবানন্দ। কন্ঠঃ শিপন।

Автор: ভাবানন্দ

Загружено: 2024-06-07

Просмотров: 359

Описание: ধলমেলার একাল-সেকাল
প্রায় আড়াই দশক আগে প্রথমবার ধলমেলায় গিয়েছিলাম আমি। তখন সম্ভবত ১৯৯৮ সাল। এরপর আরও অন্তত ছয় থেকে সাতবার যাওয়া হয়েছে। তবে সময় যত গড়িয়েছে, চার শ বছরের পুরোনো ধলমেলা হারিয়েছে ঐতিহ্য। আশির দশকেও যেখানে কয়েক লাখ মানুষের সমাগত হতো, এখন সেখানে পঞ্চাশ হাজার মানুষ হয় কি না সন্দেহ। এই বদলে যাওয়াকে 'প্রযুক্তির কুফল' হিসেবে উল্লেখ করেছেন পরমেশ্বরী মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক দুলন চৌধুরী। এ কমিটিই মূলত ধলমেলার আয়োজন করে থাকে। দুলন জানান, একটা সময়ে গ্রামাঞ্চলে বিনোদনের সবচেয়ে বড় উপলক্ষ ছিল বান্নি অর্থাৎ মেলা। এ কারণেই প্রতিবছরের মাঘ, ফাল্গুন ও চৈত্র মাসে হাওরাঞ্চলে কয়েক শ মেলা হতো। এখনো হয়। এখন প্রযুক্তির কারণে বিনোদনের ক্ষেত্রেও পরিবর্তন এসেছে। তবে গ্রামীণ মানুষের কাছে আবেগ আর ভালোবাসায় ধলমেলা এখনো স্বমহিমায় উজ্জ্বল। এ সময়ে প্রতি বাড়িতেই নাইওরি আসেন।

সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে আবদুল করিমের গ্রাম উজানধলের পাশ দিয়ে প্রবহমান কালনী নদীর তীরবর্তী পরমেশ্বরী মন্দিরে দেবীরূপী 'তিন থেকে চারটি শিলাকে' ঘিরে প্রতি ফাল্গুন মাসের প্রথম বুধবার ধলমেলা অনুষ্ঠিত হয়। যদিও আগের দিন মঙ্গলবার বেল-কুইশ্যাইলের (ইক্ষু) মেলা হয়। আবার দ্বিতীয় বুধবারেও পৃথকভাবে 'মেয়েলোকের মেলা' বসে। হাওরাঞ্চলের কৃষকদের একমাত্র বোরো ফসল যেন খরা কিংবা অকালবন্যায় বিনষ্ট না হয়, সে জন্য হিন্দুধর্মাবলম্বীরা নির্দিষ্ট তিথি-ক্ষণে পরমেশ্বরীর শিলাকে পূজা করতেন। সেই পূজার সূত্র ধরেই ধলমেলার উৎপত্তি। ধর্মীয় মেলা হলেও শেষ পর্যন্ত এটি নির্দিষ্ট ধর্মের অনুসারীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি। পরমেশ্বরীর পূজা ঘিরে যে মেলা হয়, সেটা হাওরাঞ্চলের হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষদেরও মিলনমেলায় পরিণত হয়। মন্দির ঘিরে একদিকে মহা–উৎসাহে হিন্দুধর্মাবলম্বীদের কীর্তন-লুট আর মানতের পাঁঠা বলিদান পর্ব চলে, অন্যদিকে হাজারো দোকানে চলে বিকিকিনি।



সুনামগঞ্জের ধলমেলায় চলছে কেনাকাটা। এই মেলাটিই পরিপুষ্ট করেছিল বাউলশিল্পী শাহ আবদুল করিমকে।ছবি: দুলন চৌধুরীর সৌজন্যে

ধলমেলা যে ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সবার কাছে মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে, এর বড় উদাহরণ বাউলসাধক আবদুল করিমের রচিত পুস্তিকা ধলমেলা (১৯৯০)। করিমের আত্মার আত্মীয় এই ধলমেলা। বলা যেতে পারে, এই প্রাচীন মেলার আনন্দগীতের মধ্যেই তিনি পরিপুষ্ট হয়েছেন। তাই ধলমেলাকে তিনি অভিহিত করেছেন 'আনন্দমেলা' আর 'তীর্থমেলা' বলে। কবে থেকে মেলার উৎপত্তি, তা করিমের জানা না থাকলেও তাঁর দেখা ৫০ বছর আগের মেলার সঙ্গে এই সাধক শেষজীবনে যে মেলা দেখেছেন, তার সাদৃশ্য-বৈসাদৃশ্য করিম প্রণীত পুস্তিকায় অনেকটা ঐতিহাসিকের বর্ণনার মতোই উঠে এসেছে। তার মানে, ১৯৪০ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল করিমের ধলমেলা পুস্তিকার বিষয়বস্তু। করিম তখনই হতাশা প্রকাশ করেছিলেন, 'ওরে মেলা দিতে জ্বালা কার মন্ত্রণা পাইলে/ এই দেশে কেন বা তুমি আইলে ॥//মেলা তোরে করি মানা এই বেশে তুই আর আসিস না/ গরিবরে দুঃখ দিস না আবদুল করিম বলে'। সে হিসাবে ৩১ বছর পর ২০২১ সালে ধলমেলার বর্তমান অবস্থা কোন পরিস্থিতিতে পৌঁছেছে, সেটা সহজেই অনুমান করে নেওয়া যায়।

আবদুল করিম ধলমেলা পুস্তিকায় জানিয়েছিলেন, 'নদীপথে যোগাযোগ ছিল পরিষ্কার/ কালনী নদী দিয়া তখন চলত ইস্টিমার।/ ঢাকা হতে সার্কাস দল আসিত নৌকায়/ যোগদান করিত এই আনন্দ মেলায়।/ হাতি ঘোড়া বাঘ ভাল্লুক সঙ্গে নিয়া আইত/ মেলাতে ঘর বাঁধিয়া খেলা দেখাইত।' মুর্শিদের এ বর্ণনার সূত্র ধরে উজানধল গ্রামেরই বাসিন্দা রণেশ ঠাকুর আমাকে বলেছিলেন, 'আমার জন্ম ১৯৬০ সালে। বয়স যখন বারো অথবা তেরো, তখনো সার্কাস দলকে মেলায় আসতে দেখেছি। এরপর ধীরে ধীরে নদীতে পলি জমে ভরাট হয়ে গেছে। সার্কাস দলের আসার পথও রুদ্ধ হয়ে গেছে।' তিনি আরও জানিয়েছিলেন, একটা সময়ে ধলমেলায় অনুষ্ঠিত যাত্রাগান মানুষজন টিকিট কেটে দেখতেন। পরে বেশি মুনাফা লাভের আশায় আয়োজনকারীরা যাত্রার পাশাপাশি অশ্লীল নৃত্যও চালু করে দেয়। এ অবস্থায় আশির দশকের দিকে যাত্রাগানের আয়োজন বন্ধ হয়ে পড়ে। আগের মতো বাউলগান কিংবা পুতুলনাচও হয় না। তবে কয়েক বছর ধরে জুয়াখেলা বন্ধ আছে।


সুনামগঞ্জের ধলমেলার একাংশছবি: দুলন চৌধুরীর সৌজন্যে

ধলমেলায় সেসব সামগ্রীই পাওয়া যায়, যেসব সামগ্রী সচরাচর পাওয়া যায় অন্যান্য গ্রামীণ মেলায়ও। যেমন দা, কুড়াল, ছেনি, খন্তি, কাঁচি, কোদাল, কোচা, ডেগ, ঘটি, বাটি, কলস, জালের কাঠি, লাঙলের ফাল, বাঁশের ছাতা, চাটি, পাটি, পলো, মাটির তৈরি সামগ্রী, ছানার মিষ্টি, চিড়া, মুড়ি, দধি-দুগ্ধ, তেল, সাবান, চুলের কাঁটা, চিরুনি, টিপ, গলার মালা, হাতের বালা, চুড়ি, পাউডার, নেলপালিশ, লিপস্টিক, কসমেটিকস, জুতা, কাপড়, শিশুদের খেলনা, অ্যালুমিনিয়ামের বাসন ইত্যাদি। আগের মতো মেলার পরিসর হয়তো এখন আর নেই, তবে এসব সামগ্রী ঠিকই কিনতে পাওয়া যায়। অনেক ঐতিহ্য হারিয়ে গেলেও ধলমেলায় অতিবিখ্যাত বেল-ইক্ষু ঠিকই এখনো মেলায় পাওয়া যায়। বলা দরকার, এসব কিনতে মানুষের ভিড় থাকে বেশি। দিনে দিনে ধলমেলার পরিসর ছোট হয়ে পড়ার বিষয়ে করিম লিখেছেন, 'ব্রিটিশ আমলে মেলার পূর্ণরূপ ছিল/ দেশ বিভক্ত হয়ে যখন পাকিস্তান এল।/ ধনী-মানী-জ্ঞানী-গুণী হিন্দু ছিল যারা/ ধীরে ধীরে গ্রাম ছেড়ে চলে গেল তারা।' মূলত এরপর থেকেই আস্তে আস্তে ধলমেলা বিবর্ণ হতে থাকে। আর অন্ত্যমিলে লেখা করিমের এ বয়ান থেকে এটি বোঝা যাচ্ছে যে ধলমেলাটি ব্রিটিশ আমলে যথেষ্ট রূপ-যৌবনবতী ছিল।
#ভাবানন্দ#abdulkareem #vairalvideo #song #Bhavananda#khepa_mamun#উজান_ধল

Не удается загрузить Youtube-плеер. Проверьте блокировку Youtube в вашей сети.
Повторяем попытку...
পহেলা ফাল্গুনে আইলো ধলের মেলা।শাহ্ আব্দুল করিম। ভাবানন্দ। কন্ঠঃ শিপন।

Поделиться в:

Доступные форматы для скачивания:

Скачать видео

  • Информация по загрузке:

Скачать аудио

Похожие видео

© 2025 ycliper. Все права защищены.



  • Контакты
  • О нас
  • Политика конфиденциальности



Контакты для правообладателей: [email protected]