প্রকৃত বুদ্ধিমান কারা?।মুফতি তাকি উসমানী।
Автор: Dbeener Nesha
Загружено: 2024-10-26
Просмотров: 60
Описание:
প্রকৃত বুদ্ধিমান কারা?
জ্ঞান-বুদ্ধি মানুষের অমূল্য সম্পদ। যে যত বেশি বুদ্ধিমান ও কৌশলী, মানুষ তাকে তত সফল ও অগ্রসর মনে করে। যার অঢেল ধনসম্পদ আছে এবং আনলিমিটেড ব্যাংক-ব্যালেন্স আছে, তাদেরকে মানুষ সুখী ভাবে। আর যারা বিভিন্ন স্বার্থ পূরণে কূটকৌশলী তাদেরকে আমরা বুদ্ধিমান মনে করি। মূলত আমাদের এ মনে করাটা কুরআন ও হাদিসের সম্পূর্ণ পরিপন্থি। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে ঘোষণা করেন, ‘প্রত্যেক প্রাণীকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। এবং নিশ্চয়ই উত্থান দিনে তোমাদেরকে পূর্ণ প্রতিদান দেওয়া হবে; অতএব যে ব্যক্তি নিজেকে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচাল এবং জান্নাতে প্রবেশ করাতে পারল সে-ই সফলকাম। আর দুনিয়ার জীবন ছলনাময় ভোগ ব্যতীত কিছুই নয়’ (সুরা আলে ইমরান : ১৫৮)। আমরা কি আমাদের মহান মালিকের সব আদেশ-নিষেধ মেনে নিজেদেরকে জাহান্নাম থেকে বাঁচাতে পেরেছি? জান্নাত পাওয়ার যোগ্য করে নিয়েছি? ঠিক এ মুহূর্তে যদি পৃথিবীর সব স্বাদ বিনষ্টকারী মৃত্যু এসে যায় তাহলে কী হবে তারপর? সফল কি হতে পারব আমরা?
আর বুদ্ধিমান বলি কাকে? কেউ কাউকে ঠকাতে পারলেই আমরা তাকে বুদ্ধিমান বলি। কিন্তু হাদিসে এসেছে ভিন্ন কথা। হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘একদা আমি রাসুলুল্লাহর (সা.) সঙ্গে ছিলাম। এমতাবস্থায় একজন আনসারী সাহাবি এসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সালাম দিলেন এবং বললেন, হে আল্লাহর রাসুল, মুমিনদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা উত্তম কে? তিনি বললেন, স্বভাব-চরিত্রে তাদের মধ্যে যে ব্যক্তি অধিক উত্তম। তিনি পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন, মুমিনদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা বুদ্ধিমান কে? তিনি বললেন, তাদের মধ্যে যারা মৃত্যুকে অধিক স্মরণ করে এবং মৃত্যু-পরবর্তী জীবনের জন্য উত্তমরূপে প্রস্তুতি গ্রহণ করে, তারাই সর্বাধিক বুদ্ধিমান’ (ইবনে মাজা : ৩৫৯১)
অথচ এই ক্ষণস্থায়ী জিন্দেগির জন্যই আমরা চিরস্থায়ী আখেরাতকে ভুলে যাচ্ছি। এদিকেই ইঙ্গিত করে মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে ঘোষণা করেন, ‘তোমরা তো পার্থিব জীবনকে প্রাধান্য দিয়ে থাকো। অথচ আখেরাতের জীবনই উত্তম ও অবিনশ^র। নিশ্চয়ই এ কথা (শুধু কুরআনেই নয়) পূর্ববর্তী গ্রন্থগুলোও বিদ্যমান আছে’ (সুরা আলা : ১৬-১৮)। এসব আয়াতে আল্লাহ আমাদেরকে স্পষ্ট বলে দিয়েছেন পরকালের তুলনায় ইহকালের জীবন নিতান্তই মূল্যহীন, ক্ষণস্থায়ী এবং অমর্যাদাকর। পক্ষান্তরে আখেরাতের জীবন হলো চিরস্থায়ী ও মর্যাদাময়। কোনো বুদ্ধিমান মানুষ অস্থায়ী জীবনকে স্থায়ী জীবনের ওপর প্রাধান্য দিতে পারে না। হজরত আবু মুসা আশআরী (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি দুনিয়াকে ভালোবেসেছে সে আখেরাতে কষ্ট পাবে, আর যে ব্যক্তি আখেরাতকে ভালোবেসেছে সে দুনিয়ায় ক্ষতির সম্মুখীন হবে। সুতরাং তোমরা যা চিরস্থায়ী থাকবে তাকে অস্থায়ীর ওপর প্রাধান্য দাও’ (মুসনাদে আহমাদ : ৪/৪১২)। সুতরাং আমাদের উচিত আমাদের জন্য কল্যাণকর বিষয়ের দিকে উত্তমরূপে এগিয়ে যাওয়া। হজরত মাহমুদ বিন লাবিদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘দুটি জিনিসকে আদম-সন্তান অপছন্দ করে। একটি হলো মৃত্যু। অথচ মুমিনের জন্য ফিতনা থেকে মৃত্যুই উত্তম। আর দ্বিতীয়টি হলো ধনস্বল্পতা। অথচ ধনস্বল্পতা হিসাবের জন্য কম’ (মিশকাতুল মাসাবিহ : ৫২৫১)। আল্লাহ সবাইকে প্রকৃত বুদ্ধিমান ও প্রকৃত সফল হিসেবে কবুল করুন।
#প্রকৃত_বুদ্ধিমান_কারা?
#মুফতি_তাকি_উসমানী
#দ্বীনের_নেশা
#dbeener_nesha
/ @dbeenernesha
Повторяем попытку...

Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: