পাহাড় থেকে ঝাড়ুর ফুল সংগ্রহ করলাম||কত কষ্ট একবার দেখুন| পাহাড়িকা #02 by Real Pro Of Rahi☞subscribe
Автор: Nahidul Islam
Загружено: 2022-02-14
Просмотров: 1530
Описание: ফুলঝাড়ু গাছ সাধারণত বাংলাদেশে খাড়া পাহাড়ের ঢালে, বনজঙ্গলে জন্মে। নদীর তীরের বালুমাটিতে, আদ্র খাড়া গিরিখাতের কিনারেও ভালো জন্মে। এই গাছগুলো অপেক্ষাকৃত কম উর্বর জমিতে এবং মারজিনাল ল্যান্ডেও হয়। বাংলাদেশে পূর্বাঞ্চলীয় পাহাড়ী এলাকায় এই গাছ সহজলভ্য। বাংলাদেশে ফুলঝাড়ু গাছের চাষ করার প্রয়োজন পড়ে না, পাহাড়ি অঞ্চলে প্রাকৃতিকভাবে জন্মায় এই গাছ। রাইজোম থেকে নতুন গাছ জন্মায় মে অথবা জুন মাসের দিকে। কাণ্ড সহ শাখান্বিত পুষ্পমঞ্জুরী ঝাড়ু হিসেবে ব্যবহৃত হয়। পুষ্পমঞ্জুরী ম্যাচিউর করলে ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত শুরু হয় ফুল সংগ্রহ করা। শীতের সময়ে ফুল সবুজ রঙের থাকে। এরপর বসন্তে এই মঞ্জুরী বাদামী বর্ন ধারন করে ধীরে ধীরে। তারপর ফুল কেটে ঝাড়ু বানানো হয়। বনের পাশে, নদী ধারে, নিবিড় অরন্যে এবং পাহাড়ের ঢালে গাছগুলোকে বেশ সুন্দর দেখা যায়।আমাদের দেশে খাগড়াছড়ির পানছড়ি, দীঘিনালা, মাটিরাঙ্গা, গুইমারা ও পাশের জেলা রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি ও সাজেকের বিভিন্ন এলাকা থেকে ফুলঝাড়ু সংগ্রহ করা হয়। বাংলাদেশে এই ফুলঝাড়ু বিক্রি করে চলে সহস্রাধিক পরিবার। পাহাড়ে ফুলঝাড়ুর চাহিদা বাড়ছে দিনদিন, কারণ অন্যান্য ঝাড়ুর চেয়ে এটি সহজে ব্যবহার করা যায় এবং বেশী কার্যকরী। দেশের সব জায়গায় এই ফুলের ঝাড়ু বেশ ব্যবহার হয়। এই ঝাড়ুগুলো দেখতে সুন্দর, দাম কম এবং টেকে বেশিদিন। পাহাড়ি এলাকার শিশুরাও বড়দের মতো এই গাছ থেকে ঝাড়ু বানাতে বেশ দক্ষ হয়ে উঠেছে। এই সমস্ত এলাকায় সপ্তাহে গড়ে ৫ থেকে ১০ লাখ টাকার ফুলঝাড়ু বিক্রি হয়। ফুলঝাড়ু বিক্রির মাধ্যমে বন বিভাগের রাজস্ব আয় হয়েছে ৪ লাখ ৬৪ হাজার টাকা।পাহাড়ের মানুষের বাড়তি আয়ের পথ খুলে দিয়েছে ফুলঝাড়ু। বন থেকে ফুল সংগ্রহ করার জন্য কোনো অনুমতির প্রয়োজন হয় না কারণ এটি বনাঞ্চলের একটি ক্ষুদ্র পণ্য। তবে জেলার বাইরে নিতে গেলে প্রতি আটিতে ৩৫ পয়সা কর ধরা হয়। সম্প্রতি এ পেশার সঙ্গে পাহাড়ি ছাড়াও অন্যান্য বাঙালি জনগোষ্ঠীর লোকজনও জড়িয়ে পড়েছেন। দিনে দিনে পাহাড়ের ফুলঝাড়ুতে সমৃদ্ধ হচ্ছে পাহাড়ের অর্থনীতি। বিভিন্ন হাত ঘুরে পাহাড়ের ফুলঝাড়ু রফতানি হচ্ছে নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, ঢাকা ও টাঙ্গাইলের মতো বড় বড় শহরে। পাহাড়ের ফুলঝাড়ুর কদরও অনেক বেশি সমতলের জেলাগুলোতে বলে মনে করেন পাইকাররা।ফুলঝাড়ু (Broom grass) গাছের বৈজ্ঞানিক নাম থাইসানোলিনা ল্যাটিফোলিয়া (Thysanolaena latifolia)। এটি ঘাস পরিবারের একটি উদ্ভিদ। ফুলঝাড়ু গাছ Poaceae (Gramineae) গোত্রের লম্বা গাছ। উচ্চতা প্রায় ৪ মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। তৃণকান্ড মসৃণ, গোলাকার ও পেনসিলের মতো পুরু। পাতা বড়, চওড়া, অনেকটা বাঁশপাতার মতো। মঞ্জরি ৩০-৪০ সেমি লম্বা। অজস্র ছোট ছোট ফুলে ঘনবদ্ধ মঞ্জুরী কাশফুলের মতো ফোলানো। থাইসানোলিনা জেনাসে থাইসানোলিনা ল্যাটিফোলিয়া একমাত্র পরিচিত উদ্ভিদ। এটা দেখতে অনেকটা বাঁশ গাছের মত বলে এটা বাঁশের বিকল্প হিসেবে লাগানো হয়। আসলে বাঁশের সাথে এর কোনো সম্পর্ক নেই।এদের বংশবিস্তার হয় বীজ ও রাইজোমের মাধ্যমে। বীজ থেকে যথেষ্ট চারা গজালেও মাটির নিচের রাইজোম থেকেই এদের সংখ্যা বৃদ্ধি হয়। এপ্রিল-মে মাসে নতুন ডালপালা গজায়, ফুল ফোটে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে। ডিসেম্বর-জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ফুলের গোছা তোলা যায়। আগাছামূক্ত এবং আবর্জনা মুক্ত উর্বর জমিতে ফুলঝাড়ু গাছ চাষ করলে ভালো ফলন পাওয়া যায় ও একই সাথে উন্নত মানের ফুল পাওয়া যায়। এই গাছ সাধারণত মে জুন মাসে রোপন করা যায়। এই সময় মাটিতে ভালো আদ্রতা থাকে। লাগানোর পর খুব বেশী যত্নের প্রয়োজন পড়ে না। প্রথম বছরে ৩-৪ বার আগাছা পরিষ্কার করার দরকার হয়। দ্বিতীয়বার আগাছা পরিষ্কার করার পর সার দিলে প্রথম বছরে ফলন ভালো হয়। পুষ্ট ফুলের ছড়া বা মঞ্জুরী যা সবুজ বা লালচে থাকে তাদেরকে সংগ্রহ করা হয় জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে। সঠিক সময়ে ফুল সংগ্রহ করলে ফলন ভালো হয় এবং ফুলের মানও উন্নত থাকে। প্রথম এবং পঞ্চম বছরে ফলন ভালো থাকে না। তৃতীয় বছরে সবচাইতে বেশী ফলন হয়।নেপালে ফুলঝাড়ু একটি ভালো ব্যবসায়িক পণ্য। নেপালে খুব বিস্তৃত ভাবে জন্মে। ২০০০ মিটার অলটিচিউডে হয় এই গাছ। প্রধাণত মহিলারাই এই কাজটি করে থাকে সেখানে। আর্থিক উন্নয়নের পাশাপাশি এর সবুজ পাতা গৃহপালিত পশুদের খাবার হিসেবে ব্যবহার করা যায়। গাছের শিকড় মাটির ক্ষয় রোধ করে এবং শুকনো কাঠি সবজির বাগানের সাপোর্ট হিসেবে ব্যবহার করা যায়। ফুলঝাড়ু গাছ জমির আদ্রতা এবং উর্বরতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। এই গাছের বেশ কিছু ওষধি গুন আছে যা ঐ সমস্ত এলাকার বাসিন্দারা ব্যবহার করে আসছে বহুদিন ধরে। ঝাড়ু গাছ চাষ করার একটি সরাসরি ভালো দিক হচ্ছে এই গাছ মাটির ধ্বস নামা বন্ধ করে। ঝাড়ু গাছ গুচ্ছাকারে থাকতে পছন্দ করে। অনেক শিকড় মাটির নিচে প্রায় এক মিটার গভীরে একে অপরকে জড়িয়ে থাকে। এর ফলে পাহাড়ি এলাকায় মাটির ইরোশন ঠেকানো সম্ভব হয়।ফুলঝাড়ু ঘর পরিষ্কার করা ও দালানের চুনকামের কাজে ব্যবহূত হয়। মঞ্জরিসহ লম্বা তৃণকান্ড ঝুল পরিষ্কারের ঝাড়ুর হাতল তৈরিতে লাগে। কচি ডালপালা গবাদি পশুর উত্তম খাদ্য। এর বীজ গর্ভপাত ঘটায় বলে জানা যায়। বিভিন্ন দেশে ঝাড়ুগাছ লাগানো এবং পরিচর্যার কাজ করেন মহিলারা। এটা মহিলাদেরকে আর্থিক দিক দিয়ে স্বাবলম্বী হওয়ার ব্যাপারে অনেক অবদান রেখেছে। ৭০ ভাগ কাজ মহিলারা করে থাকেন, এর চাষ থেকে শুরু করে ঝারু বানানো পর্যন্ত। মহিলাদের এই প্রচেষ্টা এবং সফলতা পুরুষদেরকেও প্রভাবিত করছে এই গাছ নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার জন্যে। বিভিন্ন দেশে মহিলারা জ্বালানীর কাঠ এবং গবাদি পশুদের খাদ্য জোগাড় করার ব্যাপারে সহায়তা করে থাকেন। স্থানীয় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জনগণের বেশিরভাগ জুমচাষের ওপর নির্ভরশীল হলেও জুমচাষের ফসল ঘরে তোলার পর পৌষ মাস থেকে চৈত্র মাস পর্যন্ত ফুলঝাড়ু বিক্রি করেই তাদের জীবিকা চলে। এ থেকেই চলে তাদের সন্তানের লেখাপড়ার খরচসহ সংসারের যাবতীয় ব্যয়। এদের মতোই পাহাড়ের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর অনেকেরই আয়ের অন্যতম উৎস ফুলঝাড়ু। তাদের মতে পুঁজি দিয়ে কৃষি কাজ করার চেয়ে বিনা পুঁজিতে বছরে চার মাস ফুলঝাড়ু সংগ্রহ করা অনেক বেশী লাভজনক।
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: