হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টির নির্যাতন ও দল গঠন
Автор: jalpai TV
Загружено: 2025-08-01
Просмотров: 104
Описание:
হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টির নির্যাতন ও দল গঠন
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ১৯৮২ সালের ২৪শে মার্চ সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেন এবং এরপর তিনি একটি বেসামরিক রাজনৈতিক দল গঠনের উদ্যোগ নেন। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই জন্ম হয় জাতীয় পার্টির।
দল গঠন:
• প্রাথমিক উদ্যোগ (জনদল): এরশাদ সামরিক শাসনকে বেসামরিক রূপ দেওয়ার লক্ষ্যে ১৯৮৩ সালের ১৭ মার্চ উনিশ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেন। একই বছরের ২৭ নভেম্বর রাষ্ট্রপতি আহসান উদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে "জনদল" নামে একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠিত হয়। এরশাদের ক্ষমতা গ্রহণের পর বিচারপতি আহসান উদ্দিন চৌধুরী জনদল থেকে সরে দাঁড়ালে মিজানুর রহমান চৌধুরী ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এবং রিয়াজউদ্দীন আহমদ (ভোলা মিয়া) সাধারণ সম্পাদক হন।
• জাতীয় ফ্রন্ট: এরপর এরশাদের উদ্যোগে ১৯৮৫ সালের ১৩ জুন "জাতীয় ফ্রন্ট" নামে একটি নতুন মোর্চা গঠিত হয়। এতে জনদল, বিএনপি থেকে শাহ আজিজ গ্রুপ, মুসলিম লীগের একাংশ, গণতান্ত্রিক পার্টি, ইউনাইটেড পিপলস পার্টি এবং নির্দলীয়ভাবে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও আনোয়ার হোসেন মঞ্জু যোগ দেন।
• জাতীয় পার্টির আনুষ্ঠানিক জন্ম: ১৯৮৬ সালের ১ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় ফ্রন্ট বিলুপ্ত করে জাতীয় পার্টি গঠিত হয়। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দলের চেয়ারম্যান হন এবং অধ্যাপক এম. এ. মতিন মহাসচিব নিযুক্ত হন। জনদল, ইউপিপি, গণতান্ত্রিক পার্টি, বিএনপি (শাহ), মুসলিম লীগ (সা) নিজেদের অস্তিত্ব বিলুপ্ত করে জাতীয় পার্টিতে একীভূত হয়।
এরশাদের শাসনামলে নির্যাতন ও বিতর্ক:
এরশাদের শাসনামল (১৯৮২-১৯৯০) বিতর্কিত ছিল এবং এই সময়ে জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন ও দমন-পীড়নের অভিযোগ ওঠে। প্রধান কিছু দিক তুলে ধরা হলো:
• গণতন্ত্রের দমন: এরশাদ সামরিক আইন জারি করে ক্ষমতা দখল করেন এবং রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সীমিত করে তিনি ক্ষমতা কুক্ষিগত করার চেষ্টা করেন।
• নির্বাচনে কারচুপি ও বিরোধিতা: ১৯৮৬ এবং ১৯৮৮ সালের সংসদ নির্বাচনগুলোতে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ ওঠে। প্রধান বিরোধী দলগুলো, যেমন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি, এই নির্বাচনগুলো বর্জন করে। জাতীয় পার্টি এসব নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলেও এর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ছিল।
• বিরোধী মত দমন: এরশাদ সরকার বিরোধী দল ও মত দমনে কঠোর পদক্ষেপ নেয়। আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার ওপর দমন-পীড়ন চালানো হয়। ১৯৮৩ ও ১৯৮৪ সালে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের মিছিলে সেনাবাহিনীর হামলায় জাফর, জয়নাল, কাঞ্চন, দীপালী সাহা সহ অনেক শিক্ষার্থী নিহত হন। ১৯৮৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাউফুন বসুনীয়া সরকার সমর্থিতদের গুলিতে নিহত হন। ১৯৮৭ সালে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে শহীদ নূর হোসেনের আত্মত্যাগ স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের প্রতীক হয়ে ওঠে।
• রাজনৈতিক মামলা: এরশাদের পতনের পর তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং বিভিন্ন অভিযোগে ৪২টি মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে কয়েকটিতে তিনি দোষী সাব্যস্ত হন এবং সাজাপ্রাপ্ত হন।
• স্বৈরাচারী শাসন: এরশাদের শাসনকে প্রায়শই "স্বৈরাচারী" হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। ১৯৯০ সালের গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এরশাদের পতন ঘটে এবং তিনি ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন।
তবে, এরশাদের সমর্থকরা তার শাসনামলে কিছু উন্নয়নমূলক কাজের কথা উল্লেখ করেন, যেমন উপজেলা পদ্ধতির প্রবর্তন। এরশাদ নিজেও তার শাসনামলে কোনো চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, সন্ত্রাস, দুর্নীতি, দুঃশাসন, খুন, গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা ইত্যাদি ছিল না বলে দাবি করেছেন। তবে, এই দাবিগুলো ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: