Dr Hasnat Hossain ,Ex Prof DU
Автор: News Life
Загружено: 2020-03-04
Просмотров: 124
Описание:
দেশব্যাপী সন্ত্রাস ও দুর্বৃত্তায়নের প্রতিবাদে লন্ডনে সমাবেশ-----------------তাহরির স্কয়ার'র মতো শহীদ মিনার গুলোতে ছাত্র জনতার প্রতিবাদ সমাবেশ গড়ে তোলার আহ্বান
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বাংলাদেশের শিক্ষাঙ্গনকে সরকারি দলের সন্ত্রাসীদের কবলমুক্ত করতে সর্বাত্তক ছাত্র জনতার ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন প্রবাসী কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ। সকল ক্ষেত্রে দুর্বৃত্তায়ন ও বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার ষড়যন্ত্রের জন্য সরকারকে দায়ী করে সভায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। সাম্প্রতিক সময়ে ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরসহ দেশব্যাপী আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীদের উপর হামলা খুন ধর্ষণের মতো ঘটনার প্রতিবাদে লন্ডনে গড়ে ওঠা প্রবাসী নেতৃবৃন্দের একটি প্ল্যাটফর্ম থেকে এ আহ্বান জানানো হয়েছে।
২৫ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার পূর্ব লন্ডনের ব্রিকলেনে নিউজলাইফ২৪.কম অফিসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা প্রফেসর আব্দুল কাদের সালেহ'এর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক ও ভয়েস ফর জাস্টিস ওয়ার্ল্ড ফোরামের চেয়ার ডক্টর হাসনাত হোসেইন এমবিই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা ও স্টুডেন্ট রাইটস মুভমেন্ট এর আহবায়ক প্রফেসর আব্দুল কাদির সালেহ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সিভিল রাইট অ্যাক্টিভিস্ট শামসুল আলম লিটন এর সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শিক্ষাবিদ প্রিন্সিপাল সৈয়দ মামনুন মোরশেদ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিশিষ্ট সাংবাদিক শেখ মোহিতুর রহমান বাবলু ও কাফি কামাল, সাপ্তাহিক সুরমার সাবেক সম্পাদক আহমদ ময়েজ, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান, মানবাধিকার কর্মী ও সাবেক ছাত্রনেতা জসিম উদ্দিন সেলিম, ব্যারিস্টার জাকারিয়া, সাবেক ছাত্রনেতা বাপ্পি খান, বিশিষ্ট সাংবাদিক মোহাম্মদ মহসিন, কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব নুর বকশ প্রমুখ। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কালের কণ্ঠের সিনিয়র সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম জুয়েল ও jagonews24.com সাংবাদিক রফিক মজুমদার, কবি সাংবাদিক বদরুজ্জামান বাবুল ।
প্রতিবাদ সভায় বক্তারা শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাসী, আর্থিক খাতে দুর্বৃত্ত, আর সামাজিক সকল ক্ষেত্রে নৈরাজ্য কায়েমের জন্য সরকারের অঙ্গ সংগঠন ও চিহ্নিত অপরাধীদের দায়ী করে বলেন , বর্তমান অবস্থা আর মেনে নেওয়া যায় না। এই অবস্থার জন্য বৃটিশ এমপি রুপা হক বাংলাদেশকে দুর্বৃত্ত রাষ্ট্র হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন, অথচ বাংলাদেশ সরকার রুপা হকের বক্তব্যের প্রতিবাদ না করে প্রকারান্তরে রুপা হকের দাবিকে প্রতিষ্ঠা করেছেন । বক্তারা বলেন এর চেয়ে ন্যক্কারজনক পরিস্থিতি বাংলাদেশে গত ৪৮ বছরে কেউ দেখেনি। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ এবং বাংলাদেশকে রাষ্ট্রের অপবাদ থেকে রক্ষার জন্য দেশবাসী ও প্রবাসীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার উপর জোর দেন বক্তারা। সকল প্রকার সহিংসতা এবং অনাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর এখনই সময়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডঃ হাসনাত হোসেন বলেন, বাংলাদেশের ছাত্র জনতার সামনে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ আন্দোলনের উদাহরণ মিশরের তাহরির স্কয়ার। বাংলাদেশের প্রতিটি উপজেলায় শহীদ মিনার আছে । শহীদ মিনার গুলোতে মানুষ তার অধিকারের দাবিতে সমবেত হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। নির্যাতিত মানুষের প্রতিরোধের মুখে অতীতে কোন স্বৈরশাসকই টিকে থাকতে পারেনি , ভবিষ্যতেও পারবে না। সমাবেশ দেশব্যাপী প্রতিরোধ ও প্রতিবাদের সংগ্রাম অবশ্যই জয়যুক্ত হবে। ডক্টর হাসনাত ইতিহাস বিকৃতির বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরে বলেন ,৭১ সালে শেখ মুজিব পাকিস্তানিদের সঙ্গে সমঝোতা করে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হয়ে গেলে এই জাতির ইতিহাস ভিন্নভাবে লেখা হতো। স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়া মেজর জিয়াকে তখন হয়তো কোর্ট মার্শালে বিচার করা হতো , আর মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়া মানুষগুলোকে পাকিস্তান সরকারের দেশদ্রোহী মামলার মুখোমুখি হতে হতো। তাই আজকে যারা বিভিন্ন ইতিহাস বলে বেড়ান, তারা ভুলে যান জনগণ আজ অনেক সচেতন এবং এই সত্যগুলো মানুষ জানে। অন্য কোন ইতিহাসকে দিয়ে এসব সত্যকে ঢেকে দেয়া যাবে না।
বক্তারা বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার হত্যাকাণ্ড থেকে বিভিন্ন ঘটনায় পার্শ্ববর্তী দেশের গোয়েন্দা সংস্থার প্রত্যক্ষ ভূমিকার তীব্র নিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করেন । বক্তারা বলেন পরজীবী কোন গাছ যেমন টিকে থাকতে পারে না, অন্য শক্তির উপর ভর করে জনগণের উপর অপশাসন চাপিয়ে দিয়ে দীর্ঘদিন ক্ষমতা টিকিয়ে রাখা যায় না। পৃথিবীতে কোন স্বৈরশাসকই বেশি দিন টিকে থাকতে পারেনি। তাই সন্ত্রাসী ও দুর্বৃত্তদের অত্যাচার ও দুঃশাসন বাদ দিয়ে জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিয়ে শিক্ষাঙ্গন ও সমাজে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য আহ্বান জানানো হয়। বক্তারা বলেন জনগণের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে গেলে যে সংগ্রাম সূচিত হবে, সেখানে প্রবাসীরা তাদের নৈতিক সমর্থন ও সর্বাত্মক সহযোগিতা জুগিয়ে যাবে।
সভায় প্রবাসী সিভিল সমাজের বিভিন্ন ন্যায় সঙ্গত দাবি-দাওয়া নিয়ে যুক্তরাজ্য , ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাতিসংঘের বিভিন্ন দপ্তরে লবিং এর জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এসব কর্মসূচিতে সকল প্রবাসী পেশাজীবী এবং কমিউনিটি নেতৃবৃন্দকে অংশগ্রহণ এর উদাত্ত আহ্বান জানানো হয়। সভায় দিল্লিতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা এবং নাগরিকত্ব আইন বিরোধী শান্তিপূর্ণ সমাবেশের উপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় ঘটনায় ১০ জন মুসলমান সহ ১৩ জনের মৃত্যুতে গভীর শোক ও নিন্দা জানানো হয়। পাশাপাশি বাংলাদেশের সর্বত্র সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে বাংলার সাম্প্রদায়িক ঐতিহ্য সমুন্নত রাখার জন্য দেশবাসীর প্রতি জোর আহ্বান জানানো হয়।
Повторяем попытку...

Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: