১০০ বছর আগের সময়ে চলে যেতে হবে চতুরঙ্গ পুজোতে উঠে আসবে সেকালের বাংলা
Автор: Durgapur Barta
Загружено: 2022-09-20
Просмотров: 37
Описание:
মহুয়া ঘোষাল দুর্গাপুর ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২
"দেখো দেখো, দেখো, শুকতারা আঁখি মেলি চায়
প্রভাতের কিনারায়।
ডাক দিয়েছে রে শিউলি ফুলেরে--
আ য় আ য় আ য়॥
ও যে কার লাগি জ্বালে দীপ,
কার ললাটে পরায় টিপ,
ও যে কার আগমনী গায়-- আ য় আ য় আয়”
রবির কিরণে বাংলার সংস্কৃতি এক নতুন উপলব্ধি পেয়েছিল । অন্তর্জালের দুনিয়ায় [ নেট দুনিয়া’] ভেসে যাওয়া বাঙালি প্রজন্ম নিজের সংস্কৃতি প্রায় ভুলতে বসেছে । সবুজ পাতার আড়ালে বাঙলার সেই গ্রাম আজ এখন প্রায় বিস্মৃতির অতল গহ্বরে , ঝাঁ চকচকে শহুরে জীবনের হাতছানি কেড়ে নিয়েছে আরসে , বোঁদের লাড্ডু ,মিষ্টি ধানের খই আর মোয়া , চাঁছি আর মালপোয়া । ঝুমুর , টপ্পা কিম্বা টুসু গানের সুর নয় এদোঁ গ্রামের পাড়াতেও বাজে এখন কর্ণকুহরে তালা লাগিয়ে দেওয়া বিকট শব্দ যাহা আধুনিক সঙ্গিত নামেই পরিচিত নতুন প্রজন্মের কাছে । এখন মোমো আর বার্গারে এ বাঙালি প্রজন্ম খুঁজে নেয় নিজেদের জগত । তার মাঝেই শারদীয়া উৎসবে দুর্গাপুরের চতুরঙ্গ দুর্গাপুরকে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে শারদীয়া উৎসবে সেই একটুকরো বাংলায় যেখানে ঐতিহ্য আর পুরাতন সংস্কৃতির মেলবন্ধনের দুনিয়ায় । দুর্গাপুরের চতুরঙ্গ এবার তাদের মণ্ডপ পরিকল্পনায় এক নতুন দিক তুলে ধরতে চাইছেন । আসলে পুরাতনের সুরের মধ্যেই নতুনের জন্ম নেওয়াই প্রকৃতির অমোঘ নিয়ম আর সেই পুরাতনের মাঝেই নিজের সত্বাকে খুঁজে নিয়ে নতুনের পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্যই এবার দুর্গাপুরকে নিয়ে যেতে চাইছে চতুরঙ্গ তাদের দুর্গামন্ডপের মধ্য দিয়েই ।, চতুরঙ্গএর এব আরের থিম ঐতিহ্যের উচ্চারণ আর এই ঐতিহ্যের উচ্চারণকে বাস্তব রুপ দিচ্ছেন শিল্পী সুজিত পাত্র আর তাকে সহযোগিতা করছেন শুভেন্দু পাত্র । এবার ৩৫ তম বর্ষ চতুরঙ্গের । ঐতিহ্যের উচ্চারণে দুর্গাপুরকে নিয়ে যেতে খরচ হচ্ছে ১৬ লক্ষ টাকা । কি আছে এই ঐতিহ্যের উচ্চারণে ? ১৬ তি মাটির বাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে । আর এখানেই থাকবে একচালা প্রতিমা । মাটির মণ্ডপে হিন্দু ধর্মের নানান ভাস্কর্য্য তুলে ধরা হবে । দুমাস ধরে দিন রাত পরিশ্রম করে গড়ে তোলা হচ্ছে মাটির বাড়ি । মোট ৩০ জন কর্মী রয়েছেন যারা মেদিনীপুরের । দিনে ১৫ জন কাজ করছেন আর রাতে ১৫ জন কাজ করছেন । সারাদিন রাত ধরেই চলছে এই মন্ডপ নির্মাণের কাজ । কিন্তু চতুরঙ্গ যাবো কেন ? কি দেখতে পাবো ? শিল্পী সুজিত পাত্রের কথায় এতদিন দুর্গাপুর দেখেছে মেটিরিয়ালস মণ্ডপ কিন্তু এবার দুর্গাপুরবাসী চতুরঙ্গের ময়দানে এসে ১০০ বছর আগে ফিরে যাবেন যেখানে থাকবে তার একান্ত আপন জগত আর বাঙ্গালির নিজস্ব জগত । প্রতিমা থাকবে কাঠের থিমের সাথে সামঞ্জস্য নিয়েই । চতুরঙ্গের দুর্গাপুজো এক কথায় এবার অনবদ্য রুপ নিয়েই হাজির হবে তাদের প্রিয় নাগরিকদের কাছেই । তবে কল্কাতাকে ছুঁয়েছে চতুরঙ্গ তাদের হেভিওয়েট কর্তাব্যক্তিদের পরিচয়ে । চতুরঙ্গের পুজোকে দুর্গাপুরের প্রাক্তন মেয়রের পুজো বলা যেতেই পারে কিম্বা আড্ডার ভাইস চেয়ারম্যানের পুজো বলা যেতেও পারে ।
Повторяем попытку...

Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: