সূরা ফাতিহা আমরা কিভাবে পড়ি, আর সহি শুদ্ধ কিভাবে। Sura Al Fatiha।
Автор: Shariatpur Islami Zubo Society
Загружено: 2021-01-22
Просмотров: 769
Описание:
#শুদ্ধ_সূরা_ফাতিহা #ljp_media
সূরা ফাতিহা আমরা কিভাবে পড়ি, আর সহি শুদ্ধ কিভাবে। Sura Al Fatiha।
কুরআন মাজীদ আল্লাহ তায়ালার নাজিলকৃত শ্রেষ্ঠ আসমানী কিতাব।
এ কিতাব যেমন মর্যাদার দিক দিয়ে শ্রেষ্ঠ তেমনি এ কিতাব তিলাওয়াতের গুরুত্ব ও ফজিলত অপরিসীম।
অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে, বর্তমান মুসলিম সমাজের একটি বিরাট অংশ সহীহভাবে কুরআন তিলাওয়াত করতে জানে না। এদের মধ্যে বেনামাজী লোক যেমন আছে তেমনি অনেক দ্বীনদার নামাজী লোকও আছে। সারাজীবন নামাজ পড়ে যাচ্ছে। কিন্তু সহীহভাবে কুরআন তিলাওয়াত শিক্ষার ব্যাপারে তাদের মাঝে চরম উদাসীনতা লক্ষ্ করা যায়। অথচ সুরা কিরাত সহীহ না হলে নামাজও সহীহ হয় না। এ ব্যাপারে তাদের কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। তবে যারা সহীহভাবে কুরআন তিলাওয়াতের গুরুত্ব বুঝতে পেরেছে তারা এ ক্ষেত্রে অবহেলা করতে পারে না।
অনেকে নামাজের জন্য প্রয়োজনীয় সূরাগুলো উস্তাদের সাহায্য ছাড়া বিভিন্ন বই থেকে বাংলা উচ্চারণ দেখে মুখস্ত করে নেয়। আধুনিক শিক্ষিত শ্রেণীর মাঝে এ প্রবণতা একটু বেশি লক্ষ্য করা যায়। অথচ সহীহভাবে কুরআন তিলাওয়াত শিক্ষার জন্য উস্তাদের বিকল্প নেই। একথা সুস্পষ্ট যে, আরবী বেশ কিছু হরফের বিকল্প বর্ণ বাংলাতে নেই। তাই বাংলা উচ্চারণে সহীহভাবে কুরআন তিলাওয়াত আদৌ সম্ভব নয়।
আলহামদুলিল্লাহ তাই আমরা আয়োজন করেছি আমাদের IJP MEDIA তে ছোট ছোট সূরা সমূহ যেগুলি নিয়মিতভাবে আমরা নামাজের মধ্যে পড়ে থাকি সেগুলোকে সহি শুদ্ধ করার প্রচেষ্টা।
রাসুলুল্লাহ (সা) কুরআন শিক্ষাকারী ও শিক্ষাদানকারীকে সর্বোত্তম ব্যক্তি হিসেবে ঘোষণা করেছেন। হজরত উসমান ইবনে আফফান (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন,
“তোমাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ঐ ব্যক্তি যে নিজে কুরআন শিখে ও অপরকে শিক্ষা দেয়।”
(বুখারিঃ ৫৹২৭)
কুরআন তিলাওয়াত একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এর দ্বারা অনেক নেকী হাসিল করা যায়। তবে এজন্য তিলাওয়াত সহীহ হওয়া জরুরী। অশুদ্ধ তিলাওয়াতে নেকীর পরিবর্তে গোনাহ হয়। এ দুনিয়াতে নেকীর মূল্য ও গোনাহের ক্ষতি বুঝতে না পারায় সহীহভাবে কুরআন তিলাওয়াত শিক্ষায় আমরা অবহেলা করি। কিন্তু যখন নেকীর মূল্য ও গোনাহের ক্ষতি আমাদের বুঝে আসবে তখন সহীহভাবে কুরআন তিলাওয়াত শিক্ষায় অবহেলার কারণে আফসোসের কোন সীমা থাকবে না।
কুরআন তিলাওয়াতে প্রতি হরফেই নেকী রয়েছে। এ ব্যাপারে হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন,
“যে ব্যক্তি আল্লাহর কিতাব (কুরআন মাজীদ)এর একটি হরফ পাঠ করবে, তার একটি নেকী হবে। আর একটি নেকী দশটি নেকীর সমান হয়। আমি বলছি না যে, ‘আলিফ-লাম-মীম’ একটি হরফ; বরং আলিফ একটি হরফ, লাম একটি হরফ এবং মীম একটি হরফ।” (অর্থাৎ তিনটি হরফ দ্বারা গঠিত ‘আলিফ-লাম-মীম, যার নেকীর সংখ্যা হবে ত্রিশ।)
( তিরমিজিঃ ২৯১০)
আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে বলেছেন,
“তোমরা তারতীলের সাথে কুরআন তিলাওয়াত কর। ” (সুরা মুযযাম্মিলঃ ৪)
তাফসীরকারগণ তারতীলের ব্যাখ্যায় বলেছেন ধীরে সুস্থে সুস্পষ্টভাবে এবং সহীহভাবে তিলাওয়াত করা। তাই তাড়াহুড়ো করে অস্পষ্টভাবে এবং অশুদ্ধ উচ্চারণে কুরআন তিলাওয়াত করা উচিত নয়। বরং সর্বদা ধীরে সুস্থে সুস্পষ্টভাবে এবং শুদ্ধ উচ্চারণে কুরআন তিলাওয়াতের চেষ্টা করা আমাদের একান্ত কর্তব্য।
ইনশাল্লাহ আমরা আশা করব নিয়মিতভাবে আপনারা আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করে আমাদের পাশে থাকবেন, যাতে করে আপনাদের সূরা গুলোকে সহি শুদ্ধ করে বিশুদ্ধ সালাত বিশুদ্ধভাবে আদায় করতে পারেন।
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন যেন আমাদেরকে সহি শুদ্ধ কুরআন শিক্ষার মাধ্যমে দুনিয়া এবং আখেরাতের কামিয়াবী দান করেন।আমিন।
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: