পঙ্গু হাসপাতালে যে যে সেবা পাওয়া যায়।
Автор: MediVoice Health
Загружено: 2019-11-20
Просмотров: 13170
Описание:
জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (নিটোর) সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। নিটোরের নামটা প্রবর্তনের ক্ষেত্রে আমার বড় ভূমিকা ছিল। এটা আগে ছিল প্রতিবন্ধীদের জন্য পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতাল (আরআইএইচডি)। এর আশপাশে যত ধরণের ইনস্টিটিউট রয়েছে সবগুলো জাতীয় ইনস্টিটিউট। কিন্তু আমাদেরটা তখন জাতীয় ছিল না। ফলে বাংলাদেশে অর্থোপেডিক সোসাইটির এক সভায় আমি এটি প্রস্তাব করেছিলাম। ওই সভায় এটি গ্রহণ করা হয়েছিল।
তখন অর্থোপেডিক সোসাইটির সভাপতি ডা. কাজী শহিদুল হক স্যারসহ অন্যান্য নেতারা তৎকালীন আমাদের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার মালেক স্যারের নিকট প্রস্তাবটা তুলে ধরেন। তিনিও এটি গ্রহণ করলেন।
নিটোরের ইতিহাসটা এ দেশের স্বাধীনতার ইতিহাসের সাথে জড়িত।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশে ফেরার পর দেখলেন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার কোনও জায়গা নেই। তখন তিনি ডা. রোনাল্ড জোসেপ গাস্ট, যিনি আমেরিকার একজন মিশনারি সার্জন। তিনি ভারতের লুধিয়ানাতে একটি মিশনারি হাসপাতালে অর্থোপেডিক চিকিৎসা দিতেন। এই ভদ্রলোককে বঙ্গবন্ধু আমাদের দেশে নিয়ে আসলেন। বঙ্গবন্ধু তাকে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা করতে অনুরোধ করলেন। তিনি জানতে চাইলেন, তাদের কোথায় চিকিৎসা দেবেন?
তখন সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের বারান্দা ছিল যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার প্রথম জায়গা। ওই বারান্দাতেই চিকিৎসা দেয়া শুরু হলো। ধীরে ধীরে সাধারণ মানুষ যখন জানতে পারলেন, হাড়ের জন্য আলাদা ডাক্তার আছে। তখন ভিড় বাড়তে থাকে। ফলে আরজে গাস্ট জায়গা বাড়ানোর জন্য বঙ্গবন্ধুকে জানালেন।
জাতীর জনকের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে এবং আরজে গাস্টের পরামর্শ অনুযায়ী, শুধু চিকিৎসা না, বরং ভবিষ্যতে যাতে এই বিষয়ে চিকিৎসক তৈরি হতে পারে সে জন্য আরআইএইচডি নামে এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করলেন। দেশের ইতিহাসে প্রথম বিশেষায়িত হাসাপাতাল। এখানে শিক্ষার্থীদের জন্য মাস্টার্স অব সার্জারি ইন অর্থোপেডিক্স এবং ডিপ্লোমা অর্থোপেডিক্স কোর্স চালু হলো। তারপর থেকে ফিজিওথেরাপি কোর্স ও লিম্ব সেন্টারসহ রোগীদের পুনর্বাসনের জন্য যা করা দরকার তাই করা হয়। বঙ্গবন্ধুই ছিলেন এটা প্রতিষ্ঠার মূল নায়ক। এছাড়া আরজে গাস্টকে আমরা বলি ‘ফাদার অব অর্থোপেডিক্স অব বাংলাদেশ’।
রানা প্লাজা ধসের পর বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন রোগীদের দেখতে আসলেন তখন নিটোরের বর্তমান পরিচালক ডা. আব্দুল গনি মোল্লা প্রধানমন্ত্রীকে বললেন, আপা আপনি তো এই হাসপাতালের জন্য কিছু করলেন না।
আমরা অনেক আগেই প্রস্তাব দিয়েছিলাম, সারা বাংলাদেশের রোগীদের জন্য মাত্র ৫০০ শয্যার একটি হাসপাতাল অপ্রতুল। এর বেড সংখ্যা বাড়ানো জরুরি । তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা আ. ফ. ম. রুহুল হক শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধির সেই প্রস্তাবনাটি ফরোয়ার্ড করে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু একনেকে এটা আর উত্থাপিত হয়নি। এই কথাটা প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হলো। তখন একনেকের পরবর্তী মিটিংয়ে তিনি এই ফাইলটি উত্থাপন করতে বললেন এবং আরও একটি ৫০০ শয্যার বর্ধিত ভবন নির্মাণের নির্দেশ দিয়ে দিলেন।
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: