কিডনি ভালো রাখে যেসব খাবার | কিডনি রোগ দূরকরে যে সব খাবার | কিডনী রোগীর খাবার | কিডনি রোগ | kidney
Автор: Dr. Abdur Razzaque
Загружено: 2021-02-16
Просмотров: 120783
Описание:
অতিরিক্ত বর্জ্য পানীয় থেকে শরীর মুক্ত রাখতে এবং বিভিন্ন খনিজ পদার্থ, বিশেষ করে পটাসিয়াম, সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ইত্যাদির ভারসাম্য বজায় রাখতে নিয়মিত কাজ করে কিডনি। আমি আজকে কিডনিবান্ধব এমন কিছু খাবার সম্পর্কে জানাবো
আপেল
বলা হয়ে থাকে প্রতিদিন একটি করে আপেল খেলে ডাক্তার থেকে দূরে থাকা যায়। নিয়মিত আপেল খাওয়ার অভ্যাস করলে তা কিডনির স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও রক্তে কোলেস্টেরল কমাতে, হৃদরোগ এবং ক্যানসার প্রতিরোধেও এর ভূমিকা অনন্য আপেলে পলিফিনল নামের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে, যা কিডনির স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখতে সাহায্য করে। যাঁদের কিডনিতে পাথরজনিত সমস্যা রয়েছে তাঁরা নিয়মিত আপেল খেলে সেই পাথর নরম এবং ছোট হয়ে শরীর থেকে বের হয়ে যায়।
লাল আঙুর
লাল আঙ্গুরে আছে এমন এসিড যা কিডনির এবং পেশাবের নালির জন্য ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া এবং জীবাণুদের মেরে ফেলে। এছাড়াও মাংসপেশিদেরকে শিথিল করা এবং রক্তের প্রবাহ উন্নত করতেও বেশ কার্যকর লাল আঙ্গুর। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফ্লাভনয়েড, যা আপনার কিডনিকে রাখবে সদা তরুণ। এটি রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে এবং ক্যান্সার প্রতিরোধেও সাহায্য করে।
স্ট্রবেরি
বেরিতে আছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন সি, খাদ্য আঁশ এবং ফোলেট। বেরিতে আছে প্রদাহরোধী এবং পঁচনরোধী উপাদান এবং মূত্রাশয়ের কার্যক্রমেরও উন্নতি ঘটায়। এছাড়াও স্ট্রবেরিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে, খনিজ লবণ ও ম্যাঙ্গানিজ থাকে। এতে যে এনজাইম রয়েছে তা কিডনির পরিশোধন কাজে সহায়তা করে।
আনারস
আনারসের জলীয় উপাদান কিডনিকে পরিশোধন করে দেহ থেকে বর্জ্য পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে ব্রোমেলাইন নামের এনজাইম, যা খাদ্য হজমে সহায়তা করে।
ক্রনিক কিডনি রোগীদের জন্য আনারস খুবই উপকারী একটি ফল। কারণ এতে পটাসিয়াম রয়েছে স্বল্প মাত্রায়।
অলিভ অয়েলঃ
সকলেই জানেন অলিভ অয়েল হার্টের জন্য ভালো। কিন্তু সেটি যে কিডনির জন্যও উপকারী তা জানেন কি? এতে আছে প্রচুর পরিমাণে প্রদাহরোধী ফ্যাটি এসিড যা জারণ কমিয়ে কিডনিকে সুরক্ষিত রাখে। সালাদে বা রান্নায় এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।
বাধাকপি, ফুলকপি এবং শাকসবজি
বাধাকপিকে এন্টিঅক্সিডেন্টের খনি বললেও ভুল হবে না। এরা শরীরের ক্ষতিকারক ফ্রি রেডিকেলের বিরুদ্ধে কাজ করে আপনার কিডনিকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি ক্যান্সার এবং হৃদরোগ প্রতিরোধেও কাজ করে। এতে রয়েছে ভিটামিন কে, সি, বি৬, ফলিক এসিড, প্রচুর ফাইবার এতে আছে ফাইটোকেমিক্যালস, এবং আঁশ ও ফলিস এসিড। এই সবগুলো উপাদান ক্ষতিগ্রস্ত কিডনির মেরামত এবং কিডনিকে সচল রাখতে সহায়তা করে। তাই বাধাকপি রাখতে হবে খাদ্য তালিকায়। বাধাকপির মতো ফুলকপিও পুষ্টি উপাদানে ভরপুর। ফুলকপির একটি বিশেষগুণ হলো এটি শরীর থেকে বিভিন্ন বিষাক্ত উপাদান দূর করতে সহায়তা করে।
ডিমের সাদা অংশ
আমরা অনেকেই স্বাস্থ্যে কথা চিন্তা করে ডিমকে খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দেই। কিন্তু আপনি কি জানেন ডিমের সাদা অংশই হচ্ছে বিশুদ্ধ প্রোটিন, যা আপনার কিডনির জন্য খুবই প্রয়োজন। কিডনি রোগে আক্রান্তদেরকে ডিমের অংশ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কারণ ডিমের সাদা অংশে ফসফরাসের পরিমাণ কম থাকে এবং ভালো মানের প্রোটিন বেশি থাকে। এছাড়া এতে আছে অ্যামাইনো এসিড যা কিডনির কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার জন্য জরুরি। তবে কিডনির রোগ হলে ডিমের কুসুম না খাওয়াই ভালো।
মাছ
মাছকে বলা হয়ে থাকে নিরাপদ প্রোটিনের উৎস। দৈনিক প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে মাংসের চেয়ে মাছের ভূমিকা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের পাশাপাশি মাছে রয়েছে ওমেগা৩ যা কিডনি, হার্ট এবং লিভারের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধী। এছাড়াও কোলেস্টেরল কমাতে এর ভূমিকা তো রয়েছেই। মাছে রয়েছে অত্যাবশ্যকীয় ফ্যাটি এসিড ওমেগা৩-৬, যা কিডনি, যকৃৎ ও হৃৎপিণ্ড ভালো রাখতে সাহায্য করে। এই ফ্যাটি এসিড মানসিক চাপমুক্ত থাকতে সাহায্য করে। এ ছাড়া কিডনির প্রদাহ ও সংক্রমণ রোধে নিরাপত্তাবেষ্টনী তৈরি করে ফ্রি র্যাডিক্যাল ও দূষিত ব্যাকটেরিয়া বের করে দিতে সহায়তা করে।
ক্যাপসিকাম
আপনার কিডনি সুস্থ রাখতে ক্যাপসিকাম হতে পারে প্রথম পছন্দ। সালাদ এবং যে কোনো রান্নাকে সুস্বাদু করতে এর জুড়ি নেই। এতে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, বি৬, ফলিক এসিড এবং ফাইবার। এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ এন্টিঅক্সিডেন্ট লাইকোপিনের প্রধান উপাদান, যা কিনা কিডনিরোগ এবং ক্যান্সার প্রতিরোধেও সহায়ক।
রসুন
রসুনের গুণের কথা আমাদের সবারই জানা। এটি কিডনি প্রদাহ উপশম করার পাশাপাশি রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমায়। কিডনি রোগীদের জন্য এর কোনো বিকল্প নেই। এতে রয়েছে এলিসিন নামের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা মানবদেহের প্রদাহ দূর করে। জারণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মানবদেহে অতিমাত্রায় বর্জ্য পদার্থ তৈরিতে বাধা দান করে কিডনি সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
পেঁয়াজ
পেঁয়াজের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো ফ্লাভনয়েড, যা রক্তনালীতে চর্বি জমা প্রতিহত করে। এর এন্টিঅক্সিডেন্ট কিডনি জনিত উচ্চরক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। পেঁয়াজে কোরসিটিন নামের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা কিডনির জন্য ক্ষতিকারক ফ্রি র্যাডিক্যালগুলোকে বাধা দান করে, কিডনি পরিশোধনে সহায়তা করে এবং মূত্রনালির সংক্রমণ রোধ করে। এতে পটাশিয়াম, ক্রোমিয়াম ইত্যাদি কম থাকে। ফলে পেঁয়াজ চর্বি, প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেটস হজমে সহায়তা করে
আদা
কিডনি ভালো রাখতে আদার রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। আদা রক্ত চলাচল বাড়িয়ে কিডনি সচল রাখতে সাহায্য করে। ফলে কিডনির কার্যকারিতা বেড়ে যায়। নিয়মিত আদা চা পান করলে বা কাঁচা আদা খেলে কিডনি সুস্থ থাকে।
লেবুর রসঃ লেবুতে যে এসিড উপাদান আছে তা কিডনিতে জমা হওয়া পাথর ভাঙ্গতে বেশ কার্যকর। লেবুতে যে সাইট্রাস উপাদান আছে তা কিডনিতে থাকা ক্রিস্টালদের পরস্পরের জোড়া লাগতে বাধা দেয়।
ফেসবুকে আমাকে পেতে লাইক করুন
/ dr-abdur-razzaque-pangsha-rajbari-18732374...
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: