দেশি মাগুর মাছের পোনা। মাগুর মাছের পোনা চাষ। মাগুর মাছ চাষ। মাছ চাষের পদ্ধতি। যোগযোগ 01724418446
Автор: Riyad Fish Farm BD
Загружено: 2020-10-10
Просмотров: 385
Описание:
দেশি মাগুর মাছ
দেশি মাগুর একটি পুষ্টিসমৃদ্ধ ও সুস্বাদু মাছ। রোগীর পথ্য হিসাবে মাছটির চাহিদা রয়েছে অনেক। এক সময় দেশে এই মাছটিকে সহজেই প্রাকৃতিক জলাশয়ে পাওয়া যেত। কিন্তু এখন দেশি মাগুর আর তেমন পাওয়া যায় না। তাই মাছটি প্রায় বিলুপ্তির পথে চলে গিয়েছিল। তবে আশার কথা হল দেশের মাছ চাষিরা কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে এই মাছটিকে ফিরিয়ে এনেছে।
১৯৯৭ সালের শেষ দিকের কথা। ইচ্ছা হল দেশি মাগুরের পোনা উৎপাদন করব। বিভিন্ন হাওর-বাঁওড় থেকে হাজার তিনেক দেশি মাগুর সংগ্রহ করলাম। শুনেছিলাম দেশি মাগুর মাছ পুকুরে থাকে না। বর্ষাকালে পুকুর থেকে উঠে যায়। তাই ৫ শতাংশ জায়গায় চারদিকে মজবুত দেয়াল দিয়ে পাকা পুকুর তৈরি করলাম। সেখানে ব্রুড মাগুর মাছ রাখা হল। বদ্ধ জায়গায় মাছগুলো এক সময় না খেয়ে মারা যেতে লাগল। এ থেকে সিদ্ধান্ত নিলাম মাছগুলোকে এখন থেকে পুকুরে রাখব। তখনি মাছগুলো পুকুরে মজুত শুরু করলাম। সেখানেও মাছ মারা যেতে লাগল। তার পরেও আমি দমে যায়নি। আবারো নতুন করে মাছ কেনা শুরু করলাম।
এবার বিভিন্ন হাওর-বাঁওড় থেকে মাগুর মাছ কিনে ২ ফুট পানিতে মজুত করতে থাকি। অনবরত পুকুরে পানির প্রবাহ নিশ্চিত করি। একদিকে পানি ঢুকে আর অন্য দিক দিয়ে বেরিয়ে যায়। পানির স্রোতের সৃষ্টি হল। সেই স্রোতে মাগুর যেন প্রাণ ফিরে পেল। মাছের মৃত্যুহারও অনেক কমে গেল। প্রযুক্তি পেয়ে গেলাম। অবশ্য এই প্রযুক্তিটি অর্থাৎ অভিজ্ঞতা পরবর্তীতে পাবদা, শিং, কৈ মাছ প্রজননের ক্ষেত্রে কাজে লাগাতে পেরেছি। এভাবে মাগুর মাছের মজুদ শেষ করে কোনোভাবেই কৃত্রিম খাবারে অভ্যস্ত করতে পারছিলাম না। খাবার না খাওয়ার ফলে পানি নষ্ট হতেই বারবার পানি পরিবর্তন করতে থাকি। অবশেষে ছোটবেলায় বড়শি দিয়ে মাছ ধরার কথা মনে হল। ছোট বেলায় বড়শিতে চিংড়ির টোপ ব্যবহার করে মাগুর মাছ ধরতাম। সেই মোতাবেক কিছু কাঁচা চিংড়ি একটা ছোট ট্রেতে দিয়ে পুকুরে রাখি।
২দিন পর উঠিয়ে দেখি মাগুর মাছ তা খায়নি। আবার বাজার থেকে কাঁচা চিংড়ি এনে ট্রেতে করে পুকুরে রাখি। দু দিন পর আবারো পরীক্ষা করে দেখি চিংড়ি মাছ খেল কিনা। এবার মনে হল কিছু চিংড়ি খেয়েছে। এভাবে কয়েকবার পুরানো চিংড়ি বদলে নতুন চিংড়ি দেয়াতে খেতে শুরু করল মাগুর মাছ। এরপর শুরু করি আরেক কৌশল। একদিন পর পর বাজার থেকে চিংড়ি এনে পুকুরে দিতে থাকি। মাগুর মাছও খেতে থাকে। কিন্তু এত কাঁচা চিংড়ি যোগান দেয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। সিদ্ধান্ত নেই যেভাবেই হোক মাগুর মাছকে স্বাভাবিক খাবারে অভ্যস্ত করাতে হবে। তাই কাঁচা চিংড়ির সাথে শুকনো চিংড়ি দেয়া হল, তাও খেল। তারপর দেয়া হল শুকনো চিংড়ি, তাও খেল। এরপর শুকনো চিংড়ির পাউডারের সাথে অল্প পরিমাণে খইল, ভূষি দিয়ে মিশ্রণ করে ছোট ছোট বল বানিয়ে দেয়া হলে তাতেও অভ্যস্ত হয়ে গেল। এভাবে হাওর-বাঁওড়ের দেশি মাগুরকে স্বাভাবিক খাবারে অভ্যস্ত করা হল। এর কিছুদিন পরেই মাছগুলো বড় হলে পেট ভরে গেল ডিমে।
প্রজননক্ষম ব্রুড মাছ মজুত ও নির্বাচন : প্রতি শতাংশে ৫০/১০০ টি দেশি মাগুর মজুত করতে হবে। দেশি মাগুর এক বছরেই প্রজননক্ষম হয়ে থাকে। প্রজননের সময় পুরুষ ও স্ত্রী মাগুর মাছকে সহজেই সনাক্ত করা যায়। স্ত্রী মাগুর মাছ একটু কালচে বর্ণের হয় এবং প্রজনন মৌসুমে পেট ভর্তি ডিম থাকে। পুরুষ মাছের পেট স্বাভাবিক অবস্থায় থাকে এবং পুরুষ মাগুর মাছের রং হালকা বাদামী বর্ণের হয়ে থাকে। প্রজননের জন্য সুস্থ সবল পেট ভর্তি ডিম দেখে স্ত্রী মাছ নির্বাচন করতে হবে। ভাল ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করলে এপ্রিলের শেষ সপ্তাহ থেকেই মাগুর মাছ প্রজনন করানো যায়।
হরমোন প্রয়োগ: মাগুর মাছকে ২টি হরমোন দিয়ে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে ডিম সংগ্রহ করা যায়। পিটুইটারি গ্যান্ট বা পিজি দিয়ে আর এইচ.সি.জি. দিয়ে। পি.জি. দিয়ে আবার ২টি পদ্ধতিতে ডিম সংগ্রহ করা যায়। একটি মাত্র ডোজ দিয়ে ডিম সংগ্রহ করা যায় আবার ২টি ডোজ দিয়েও ডিম সংগ্রহ করা যায়। মাগুরের ডিম সংগ্রহের জন্য হরমোন ইঞ্জেকশনের চেয়ে মাছের পরিপক্কতার উপর বেশি নজর দেয়া উচিৎ।
অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে মাগুর মাছের ডিম পরিপক্ক থাকলে প্রতি কেজিতে ১৫ মিঃ গ্রাঃ পিজি দিয়েই ডিম সংগ্রহ করা যায় আবার একই মাছকে মৎস্য বিজ্ঞানীদের মতে প্রতি কেজিতে ১২০ মিঃ গ্রাঃ পিজি দিয়েও ডিম সংগ্রহ করা যায়। আর সে জন্য মাছের ইঞ্জেকশনের মাত্রার চেয়ে মাছের পরিপক্কতার উপর বেশি নজর দিতে হবে। এখানে আমার মত হল- যেহেতু শুধু ১৫/২০ মিঃ গ্রাঃ/কেজি পিজি দিয়ে মাগুর মাছ ভাল ডিম দেয় সেখানে ১২০ মিঃ গ্রাঃ পিজি দেয়ার কোনো অবস্থাতেই উচিৎ নয়। কেননা আমি দেখেছি যে মাছের পিজির মাত্রা বেশি হলে রেনু ভাল হয় না, আবার রেনু হলেও সেই রেনুর রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা থাকে না। যে কারণে রেনু উৎপাদন করলেও পরবর্তীতে ব্যাপকভাবে পোনা উৎপাদন করা যায় না। এ গেল পিজি দ্রবনের কথা। এইচ.সি.জি. দিয়েও মাগুরের ইঞ্জেকশন করা যায়।
ইঞ্জেকশনের মাত্রা : আগেই উল্লেখ করেছি যে, পিজি দিয়ে ২টি পদ্ধতিতে ডোজ দেয়া যায়। একটি একক মাত্রা বা একটি মাত্র ডোজ আর অন্যটি ২টি ডোজ। আমার মতে ২টি ডোজের মাধ্যমে দেশি মাগুরের ডিম সংগ্রহ করা হলে সবচেয়ে ভাল ফলাফল পাওয়া যায়। সে ক্ষেত্রে প্রথম ডোজ হবে ৫ মিঃ গ্রাঃ/কেজি। প্রথম ডোজের ৭/৮ ঘণ্টা পর ২য় ডোজ দিতে হবে প্রতি কেজিতে ১৫ মিঃ গ্রাঃ/কেজি। ইঞ্জেকশন দিতে হবে প্রজনন অঙ্গ বরাবর উপরের মাংশল স্থানে। সাধারণত ২য় ডোজের ২০/২৪ ঘণ্টা পর দেশি মাগুর মাছের ডিম সংগ্রহের সময় হয়ে থাকে।
ডিম সংগ্রহ পদ্ধতি : চাপ প্রয়োগে মাগুর মাছের ডিম সংগ্রহ করতে হয়। প্রাকৃতিক উপায়ে এখন পর্যš- এই মাছের প্রজনন করানো সম্ভব হয়নি। অন্যান্য মাছ যেখানে ডিম পাড়ার সময় হলে আপনা-আপনি ডিম বের হতে থাকে সেখানে মাগুর মাছের ডিম সহজে বের হতে চায় না। আর সে জন্য মাগুর মাছের ডিম বের করার সময় কার্প জাতীয় মাছের চেয়ে পেটে একটু বেশি চাপ প্রয়োগ করতে হবে। বেশি জোড়ে চাপ প্রয়োগের ফলে ডিম যেন ফেটে না যায় সে দিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: