বিশ্বের দরিদ্রতম দেশ বুরুন্ডি।।burundi documentary bangla।। Pure bangali
Автор: Pure bangali
Загружено: 2023-02-04
Просмотров: 230
Описание:
বিশ্বের দরিদ্রতম দেশ বুরুন্ডি।।burundi documentary bangla।। Pure bangali
দরিদ্রতম দেশের নাগরিকদের বেঁচে থাকার জন্য অনেক সংগ্রাম করতে হয়। কিছু কিছু দেশের নাগরিকরা এতটাই দরিদ্র যে, জীবন পরিচালনার জন্য নূন্যতম মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করার সামর্থ্য তাদের নেই। আজ আমি বিশ্বের দরিদ্রতম দেশ "বুরুন্ডি" সম্পর্কে কিছু তথ্য শেয়ার করব।
পূর্ব আফ্রিকায় অবস্থিত একটি স্থলবেষ্টিত রাষ্ট্র হল বুরুন্ডি। দেশটি ১৯৬২ সালে বেলজিয়ামের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। দেশটির আয়তন ২৭,৮৩৪ বর্গকিলোমিটার এবং জনসংখ্যা প্রায় এক কোটি পঁচিশ লক্ষ। এটি পৃথিবীর অন্যতম অসুখী দেশ হিসেবেও পরিচিত।
বুরুন্ডির মাথাপিছু আয় মাত্র ১৮০ মার্কিন ডলার। যুদ্ধবিধ্বস্ত এই দেশটির অধিকাংশ মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে বসবাস করেন । বুরুন্ডিতে মাত্র ৩২ শতাংশ শিক্ষার্থী মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করে। ধারণা করা হয়, এদেশে প্রতি তিন জনের মধ্যে একজন মানুষ বেকার। এখানে এমনও কিছু পরিবার আছে যাদের মাসিক আয় ১০-১৫ ডলার এবং এই সীমিত আয় দিয়েই পুরো পরিবারের এক মাস চলতে হয়।
এখানকার অধিকাংশ মানুষ কৃষি কাজের সাথে জড়িত, প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ এ পেশার সাথে জড়িত। বাংলাদেশে একজন গরীব মানুষের সন্তান যে খেলনা দিয়ে খেলার সুযোগ পায়, বুরুন্ডিতে একজন গরীব মানুষের ছেলের সে খেলনার ধারেকাছের কোন খেলনা কেনার সামর্থ্য নেই। এখনাকার ছেলেমেয়েরা পুরনো প্লাস্টিক, টায়ার ইত্যাদি দিয়ে খেলনা তৈরি করে খেলে।
বুরুন্ডির অধিকাংশ মানুষ আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের সুযোগ পায় না। বিদ্যুৎ না হলে আমাদের চলে না, আমরা এক মিনিটের জন্য ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়া থাকতে পারিনা। কিন্তু বুরুন্ডিতে মাত্র ৭.৬ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ পান আর 'ইন্টারনেট' কি সেটাই হয়তো অনেকে জানেন না । এখানে আধুনিকতার ছোঁয়া নেই বললেই চলে। স্মার্টফোনের যুগেও বুরুন্ডির মানুষ সাধারণ বাটন ফোন ব্যবহার করেন, যে ফোনে শুধু কল করা আর টাইম দেখা ছাড়া বেশি কিছু নেই।
আধুনিক প্রযুক্তির কথা না হয় বাদই দিলাম, এখানকার মানুষের ঘরবাড়িগুলোও বসবাসের অনুপযোগী। অনেকে ময়লা প্লাস্টিক বোতল, পলিথিন, লাঠি ইত্যাদি দিয়ে একটি ভিত্তি তৈরি করে রেখেছে বসবাসের জন্য, যেখানে বৃষ্টির মৌসুমে ঘরে ঘুমিয়ে গোসল করা কোন ব্যাপার নয়।
বুরুন্ডিতে যদি একজন মানুষ সাইকেলের মালিক হয়ে থাকেন, তাহলে ধারণা করা হয় তার একটি সম্মানের পেশা রয়েছে। কিন্তু সে পেশাতেও রয়েছে হাড়ভাঙা খাটুনি। যারা সাইকেলের মালিক তারা কৃষকের উৎপাদিত পণ্য সাইকেলে করে বাজারে নিয়ে গিয়ে জীবিকা নির্বাহের চেষ্টা করেন।
ছেঁড়া জামায় সাইকেল চালিয়ে তারা ১০০-১৫০ কি.মি. পথ অতক্রম করেন শুধুমাত্র কিছু কৃষিজাত পণ্য বিক্রি করার জন্য, এজন্য তারা দিনে প্রায় এক ডলার আয়ের সুযোগ পান। চিন্তা করে দেখুন ৮-৯ ঘন্টা সাইকেল চালিয়ে আপনি আয় করছেন মাত্র ৯০ টাকা, তাহলে আপনার কেমন লাগবে? এখানে এমনও মানুষ আছেন যারা জীবিকা নির্বাহের জন্য পায়ে হেঁটে এক শহর থেকে অন্য শহরে যায়।
এখানকার সরকারি কর্মচারীদের আয়ও অনেক কম। একজন বুরুন্ডিয়ান পুলিশ মাসে আয় করেন প্রায় ১৪ ডলার, আর একজন ড্রাইভার আয় করেন প্রায় ১০ ডলার। এখানকার মানুষ শিক্ষাগত যোগ্যতার পিছনে না ছুটে কাজে যোগ দিতেই বেশি পছন্দ করে।
বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মতে, বুরুন্ডি গত ৬২ বছরের মধ্যে প্রায় প্রতি বছর বিশ্বের সবথেকে দরিদ্র দেশ হয়ে আসছে। এখানে অনাহারে অনেক মানুষ মারা যায়। এখানকার মানুষ অনেক আশা নিয়ে বেঁচে থাকে যে কোন একদিন তাদের অবস্থার উন্নতি হবে। কিন্তু যুগের পর যুগ অতিবাহিত হয়, তবুও তাদের উন্নতি হয় না।
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: