জ্ঞানালোকে উদ্ভাসিত 'দিকচিহ্ন আড্ডা' পর্ব ০৩ | সলিমুল্লাহ খান। Salimullah Khan
Автор: Wee Bangla
Загружено: 2023-06-07
Просмотров: 132997
Описание:
৮০ জন প্রাণবন্ত আড্ডাবাজের সরব উপস্থিতিতে গত ৩০ নভেম্বর ২০২১ অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ১১৯তম 'দিকচিহ্ন আড্ডা'। সাহিত্য-সংস্কৃতির আড্ডা। খ্যাতিমান ব্যাংকিং ব্যক্তিত্ব এ, কিউ সিদ্দিকী, কবি মতিন বৈরাগী, চিন্তাবিদ ও লেখক প্রফেসর সলিমুল্লাহ খান, কবি ও লেখক ভূঁইয়া সফিকুল ইসলাম, কবি, কথাশিল্পী ও কন্ঠশিল্পী ঝর্না রহমান, কবি জাহাঙ্গীর ফিরোজ, সাবেক রাষ্ট্রদূত ও লেখক ইকতিয়ার চৌধুরী, সাবেক অতিরিক্ত সচিব ও বিসিআইসি'র চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইকবাল, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী, আইএফআইসি ব্যাংকের এমডি শাহ আলম সারওয়ার, গীতিকবি গোলাম মোর্শেদ, ছড়াকার আহমেদ জসিম, কবি দিদারুল আলম, ব্যবসায়ী লুৎফর রহমান, সঙ্গীতসাধক দীনবন্ধু দাশ, সাবেক সচিব ও লেখক হোসেন আব্দুল মান্নান, সাবেক অতিরিক্ত সচিব ও কবি গোলাম শফিক, সাবেক অতিরিক্ত সচিব ও কবি মনজুরুর রহমান, সাবেক অতিরিক্ত সচিব আব্দুল হাকিম মজুমদার, কবি ও চাটার্ড আ্যকাউন্টটেন্ট কেএম কামাল, ব্যাংকার নাঈমা চৌধুরী কায়েস, লেখক তোহা মুরাদ, গবেষক সোহেল খান, 'অয়নপ্রকাশনী'র স্বত্বাধিকারী মিঠু কবীর, লেখক হুজ্জাতুল ইসলাম, পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি রাখফার সুলতানা নয়ন, স্কয়ার হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজিষ্ট ও গায়ক ডাঃ জাহিদ হাসান, মেজর (অবঃ) আবুল কালাম, প্রিন্সিপাল আব্দুর রাজ্জাক, আ্যডভোকেট প্রবীর রঞ্জন দাস, কবি নূর কামরুন নাহার, কবি গিরিশ গৈরিক, কবি কামরুজ্জামান, কবি রোকন জহুর, কবি ওয়াহিদ মুরাদ, কবি জামিল জাহাঙ্গীর, কবি তারিক শিপন, কবি শাহিদা ফেন্সী, কবি বাবু হাবিবুল, কবি রোকসানা খাতুন, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা রেজিনা আক্তার, কাসেম গ্রুপের সাবেক কর্মকর্তা শিরিন সুলতানা, কন্ঠশিল্পী মিশু দাস, পুষ্টিবিদ নাজিয়া আহমদসহ ৮০ গুণিজন অংশ নিয়েছিলেন আড্ডায়। এবারের আড্ডার মধ্যমনি ছিলেন বাংলার তত্ত্ব জ্ঞানী, সমাজ বিজ্ঞানী, কবি ও লেখক, অতুলনীয় বাগ্মী, পন্ডিত সলিমুল্লাহ খান।
শুরুতেই আড্ডার সঞ্চালিকা ঝর্না রহমান ঢাবির বাংলা বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান আমাদের পরম শ্রদ্ধেয় শিক্ষক, বাংলা একাডেমির চেয়ারম্যান সদ্য প্রয়াত অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম স্যারের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করান। বলেন, দিকচিহ্ন আড্ডা একেকটি একেক আঙ্গিকে হয়েছে। কখনো আনন্দ উচ্ছাসে ভরপুর কখনো গুরুগম্ভীর। আবার উভয়েরই মিশেল। যখন যেমন। আজ আমাদের মাঝে উপস্থিত আছেন অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান, সবাই তাঁর কথা শোনার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছেন। আমরা আজ প্রথমেই শুনব তাঁর কথা।' খানকে আড্ডার সামনে ডেকে নেন ঝর্না। খান জিজ্ঞেস করেন, আমি কি কোনো বিশেষ বিষয়ে বলব নাকি আপনারা যা জানতে চাইবেন তার উত্তর দেবো?' সবাই বললেন, আমরা নানা বিষয়ে আপনার কাছে জানতে চাই।' খান বললেন, অসুবিধা নাই, বলুন কী জানতে চান।' চেয়ে নিলেন এক পেজ সাদা কাগজ। পকেট থেকে বের করলেন কলম। টুকতে থাকলেন সবার প্রশ্ন। প্রথম প্রশ্ন করলেন গোলাম মোর্শেদ, আপনি কী জানেন না?' দ্বিতীয় প্রশ্ন করলেন কবি ওয়াহিদ মুরাদ, আপনি কোনো আলোচনার আগে প্রিপারেশন নেন কিনা?' ভূঁইয়া সফিক প্রশ্ন করেন, পশ্চিমের দেশগুলো ইসলামের জ্ঞান-বিজ্ঞানের উৎকর্ষের সময় অনেক অনুপ্রেরণা পেয়েছে পরবর্তীতে মুসলিমরা কেন ঝিমিয়ে গেলো, এর কারণ কি?' মেজর আবুল কালাম বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে নতুন কী পরিকল্পনা করা যেতে পারে?' কবি গীরিশ গৈরিক প্রশ্ন করেন, মুক্তিযুদ্ধ আমাদের কী দিয়েছে, কী হারিয়েছি?' শেলী সুলতানা প্রশ্ন করেন, নাস্তিকতাই কি প্রগতিশীলতা?' আরেকজন প্রশ্ন করেন, ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে আপনার মতামত কি?' এমনি অনেক প্রশ্ন এলো আড্ডাবাজদের কাছে থেকে। ড. সলিমুল্লাহ খান সবই টুকে নিয়ে একে একে প্রশ্নোত্তর দেন। সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতি, শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি, দর্শন, বিজ্ঞান, ইতিহাস প্রশ্নোত্তরে কী না উঠে আসে খানের বিশ্লেষণে।
তত্ত্বের ভান্ডার সলিমুল্লাহ খান বহু বিষয়ে তত্ত্ব ও তথ্যের ভান্ড উন্মোচন করেন। সম্রাট অশোকের রাজধানী, মুঘল আমল, বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যা, অ্যারিস্টটল ও সক্রেটিসের যুগ, বাংলা-ইংরেজীর অনুবাদ সংকট, এদেশের দূর্নীতি, নেপোটিজম, অব্যবস্থাপনা, পাকিস্তান আমল ও দু' আমলের অর্থনীতি, গ্রীসের পাশের প্রাচীন দ্বীপ ক্রীট, এপিমেনিডেস, বিদেশী লেখকদের অর্থনীতির বই, সাহিত্য পত্রিকার অভাব, জর্জ টি পেইটনের ক্রিমিনাল ল' বিষয়ক বই, ফ্র্যাংকলিন বুকস প্রোগ্রাম, প্রগতি প্রকাশনীর মার্কসের ক্যাপিটালিজম বা গোর্কির মা, বই প্রকাশনার দূর্দিন, ম্যানসফিল্ড পার্ক, ইউজিন ও' নীলের নাটক, এডওয়ার্ড সাঈদ ও তাঁর বই ওরিয়েন্টালিজম, জেন অস্টেন, লায়ার্স প্যারাডক্স, সৈয়দ শামসুল হক, শওকত ওসমান, হাসান আজিজুল হক, আহমদ ছফা, বাংলা ভাষার দূরবস্থাসহ সারাবিশ্বের প্রাচীন যুগ থেকে বর্তমান পর্যন্ত জ্ঞানের মহাসমুদ্রে তরী ভাসান খান আর মহামুগ্ধ আড্ডাবাজরা হন সেই আনন্দভ্রমণ সহযাত্রী!
আশির দশকে সমাজ বদলের স্বপ্ন ও আকাংখায় আমরা কিছু বন্ধু গড়ে তুলি 'প্রাক্সিস অধ্যয়ন সমিতি'। সলিমুল্লাহ খানকে সম্পাদক করে প্রকাশ করি 'প্রাক্সিস জর্নাল'। সমাজ বিজ্ঞান বিষয়ক সেই সাময়িকী প্রচন্ড ঝড় তোলে সেই সময়। প্রাক্সিসের সেই বন্ধুদের কয়েকজন সারওয়ার, ইকবাল, ওয়াজেদ, জসিম উপস্থিত ছিল সেদিন। খুব মিস করছিলাম, অকাল প্রয়াত বন্ধু আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সাকী আর আমেরিকা প্রবাসী বন্ধু আমিনুর রশীদকে। অসম্ভব ব্যস্ত শীর্ষ ব্যাংকার সারওয়ার অন্য একটা প্রোগ্রাম থাকায় আগেই চলে গিয়েছিল। ইকবাল আর ওয়াজেদ আড্ডায় সবার মত প্রকাশের স্বাধীনতা আর অবারিত আনন্দের বিষয়ে কথা বলে। জসিম ছড়া পড়ে।
সময় অনেক গড়িয়ে গেলেও কাব্যরস আর সুরসুধা একেবারে বাদ পড়েনি। ভূঁইয়া শফিক, গোলাম শফিক, আবদুর রাজ্জাক, নূর কামরুন নাহার, নিগার সুলতানা, জাহিদুল হাসান প্রমুখ কবিতা পাঠ করেন। গান গেয়ে শোনান সাজেদুল করিম পলাশ এবং সৈয়দ বাহারুল হাসান সবুজ।
কবি মোহন রায়হান
Повторяем попытку...

Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: