বাংলাদেশের নদী ব্যবস্থার ইতিকথা ।
Автор: Jhaudanga College
Загружено: 2020-12-06
Просмотров: 73
Описание:
বরুন কুমার মল্লিক, প্রভাষক, ভূগোল ও পরিবেশ, ঝাউডাংগা কলেজ, সাতক্ষীরা
শ্রেনিঃ ডিগ্রী দ্বিতীয় বর্ষ (চতুর্থ পত্র) বিষয়ঃ বাংলাদেশের ভূগোল অধ্যায়ঃ ০২; পরিচ্ছেদ- ২.৩ নদী ব্যবস্থাপনা/পদ্ধতি
ভূমিকাঃ নদী ব্যবস্থা বলতে পানির সাথে নদীর যে সম্পর্ক নদীর বিভিন্ন অবস্থানের সঠিক পর্যায়ে রাখতে যা ব্যবহার করা হয় তাই নদী ব্যবস্থা ।
নদী মাতৃক দেশ হিসাবে এদেশে পদ্মা, মেঘনা , যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, কর্ণফুলী, ধলেশ্বরী, তিস্তা, গোমতি ইত্যাদি নদী আছে ।
নদী ব্যবস্থার ইতিকথাঃ
০১। প্রাচীনকোর্টারনারী যুগঃ বাংলাদেশ পশ্চিম বাংলার কিছু অংশ নিয়ে বঙ্গ অববাহিকা কয়েকটি স্থানে প্লাইস্টোসিন উপযুগের চত্বর বা সোপান এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। বাংলাদেশের দক্ষিণে হবিগঞ্জের কয়েকটি পাহাড়, মধুপুর ও ভাওয়ালের গড় বরেন্দ্রভূমি কয়েকটি পাহাড় কোর্টারনারী যুগে তৈরী হয়েছে ।
০২। প্লেইস্টোসিন যুগঃ বরেন্দ্র ভূমির পূর্বে করতোয়া এবং পশ্চিমে মহানন্দা দ্বারা বেষ্টিত । পূনর্ভবা, আত্রাই, ও ছোপ যমুনা বরেন্দ্রভূমি চার ভাগে ভাগ করেছে । মহানন্দা, পূনর্ভবার মধ্যবর্তি অংশ ভারতীয় মালদহ জেলায় অবস্থিত । এই যুগে নদী ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছিল।
০৩। প্লেইস্টোসিন কালের সিলেট অববাহিকাঃ সিলেট অববাহিকা এবং ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার অবনমনের ফলে ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য মধুপুর ও ভাওয়ালের গড় উত্থিত হয়েছে । লাক্ষ্যা, বাইজাত, করেয়া, সুতিয়া, মহুরী, বানার এই এলাকার নদী এবং নদী ব্যবস্থার অন্যতম বিষয়।
০৪। হেলসিন বা সাম্প্রতিক কালঃ আজ থেকে ১০ হাজার বছর আগে বাংলাদেশের সমভূমি অঞ্চলের ভূসংস্থানে ব্যপক পরিবর্তন ঘটেছে। বঙ্গ অববাহিকায় গঙ্গা, মেঘনা, যমুনা, ইত্যাদি নদী বারবার এদের গতি পথ পরিবর্তন হতে থাকে ।
০৫। টলেমির মানচিত্রঃ দুই হাজার বছর আগে টলেমি তার বিখ্যাত মানচিত্রে দক্ষিণের দ্বীপ গুলো দেখিয়েছেন । সেখানে ম্যানগ্রোভ গাছের শিকড়ের উপস্থিতি দেখিয়েছেন । মাত্র চার হাজার বছর আগে ও বঙ্গোপসাগরের খাড়িগুলো ঢাকা পর্যন্ত সম্প্রসারিত ছিল । বরিশাল, লক্ষিপুর , যশোর ইত্যাদি এলাকায় বিশাল দ্বীপপুঞ্জ ছিল।
০৬। পূর্ব বাংলার প্রধান ভূমি গঠনঃ গঙ্গা দক্ষিণ বাংলার এবং ব্রহ্মপূত্র মধ্য ও পূর্ব বাংলার প্রধান ভূমি গঠনকারী নদী । ০৪ হাজার বছর আগে বা তার বেশি সময়ে গঙ্গা পশ্চিম থেকে পূর্বে এবং পুনরায় পশ্চিমে অগ্রপশ্চাদ গতিশীল হয়ে বদ্বীপ গঠনে নিয়োজিত ছিল । ত্রয়োদশ শতাব্দীতে এই এলাকায় মুসলিম রাজ্য থাকা অবস্থায় গঙ্গার প্রধান শাখা নদী মধুমতি এবং হুগলী নামে পরিচিত ।
০৭। দক্ষিণ দিকে উত্তর শাহবাজপুরঃ স্থলভাগ প্রথমে দক্ষিণ দিকে উত্তর শাহবাজপুর পর্যন্ত এবং দক্ষিণ শাহবাজপুর পর্যন্ত সমপ্রসারিত ছিল। ১৭৭২ সালে তদানিন্তন বংলায় একটি ভূমিকম্প হয়েছিল। ব্যাপক ক্ষতিকারক এই ভূমিকম্পের ফলে মধুপুর এলাকা উত্থিত হয়।
০৮। ত্রয়োদশের চোরাঘাট অতিক্রমঃ হিমালয় থেকে উৎপন্ন এই নদীটি ত্রয়োদশ খ্রিস্টাব্দে চোরাঘাট অতিক্রম করে আত্রাই-হুরাসাগরের সাথে এবং পরে পুরাতন গঙ্গার সাথে মিলিত হয়েছিল । বর্তমানে অর্ধশুদ্ধ বগুড়ার করতোয়া এই খাতেরই অংশ ।
০৯। ধলেশ্বরী ও শীতলক্ষ্যা নদীর প্রবাহঃ ধলেশ্বরী ও শীতলক্ষ্যা নদীর প্রবাহ দিয়ে সমৃদ্ধ উচ্চ মেঘনা ঘাট নলের কাছে পদ্মার কাছে মিলিত হয়েছে ।এখান থেকে দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত এই বিশাল নদী মেঘনা নামে পরিচিত ।
১০। সুরমা ও কুশিয়ারার প্লাবন ভূমিঃ সিলেট জেলার সুরমা ও কুশিয়ারার প্লাবন ভূমির মধ্যদিয়ে মনুখেয়াই প্রভৃতি নদী প্রবাহিত হয়েছে । এই এলাকায় ১১২.৫ বর্গ কিমি. আয়তনের হাওর রয়েছে ।
Повторяем попытку...

Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: