সহীহ হাদীসের আলোকে মিরাজুন্নবীর (সা:) ঘটনা
Автор: RISALATUL KHAIR
Загружено: 2020-03-25
Просмотров: 259
Описание:
সহীহ হাদীসের আলোকে মিরাজুন্নবীর (সা:) ঘটনা
সহীহ হাদীসের আলোকে মিরাজুন্নবীর ঘটনা
(মাসিক আল কাউসার)
[ইসরা ও মিরাজের ঘটনা নবী জীবনের অতি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়, নবীজীর রিসালাতের অনেক বড় মুজিযা আর উম্মতে মুহাম্মাদীর জন্য আল্লাহ প্রদত্ত একটি বড় নিআমত। এই ঘটনার মধ্য দিয়ে আল্লাহ তাআলা যেমন প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সম্মান আরো বৃদ্ধি করেছেন, তেমনি তাঁর উচ্চ মর্যদা সম্পর্কে অবগত করেছেন সৃষ্টিজগৎকে। এই ঘটনা যেভাবে প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জীবন ও সীরাতের সাথে সম্পর্কিত, সেভাবে তা ইসলামী আক্বীদা ও বিশ্বাসেরও অংশ। এই ঘটনায় একদিকে উম্মতে মুহাম্মাদীর জন্য রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা ও নির্দেশনা, অন্যদিকে সেখানে লুকিয়ে রয়েছে অসংখ্য ইলাহী হিকমত ও রহস্য। কিন্তু নবীজীর সশরীরে ইসরা ও মিরাজের বাস্তবতার উপর ঈমান আনার পর মুমিনের জন্য যে প্রয়োজনটি সর্বাগ্রে অনুভূত হয় তা হল কুরআনে কারীম ও সহীহ হাদীসের আলোকে ইসরা ও মিরাজের পুরো ঘটনার পূর্ণাঙ্গ ইলম হাসিল করা। এই প্রয়োজনটি আরো প্রকটভাবে দেখা দেয় যখন অনির্ভরযোগ্য কিছু পুস্তিকা ও চটি বই, দায়িত্বহীন অনেক বক্তা ও তাদের দায়িত্বজ্ঞানশূণ্য কতক লেকচারের কল্যাণে (!) অনেক মানুষকে ইসরা ও মিরাজের সঠিক ইলম থেকেও দুঃখজনকভাবে বঞ্চিত হতে দেখা যায়। ফলে তাদের মন ও মননে দিনদিন ভিত্তিহীন কিছু বর্ণনাই গ্রথিত হয়ে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, মিরাজের তত্ত্ব ও রহস্য, শিক্ষা ও নির্দেশনা এবং মিরাজ নিয়ে জনমনে পোষণ করা কিছু ভুল ধারণার সংশোধন ইত্যাকার বিষয় নিয়ে দলীল-নির্ভর আলোকপাতধর্মী কয়েকটি প্রবন্ধ মাসিক আল কাউসার পত্রিকায় ছাপানো হয়েছে-মা শা আল্লাহ। আগ্রহী কোনো পাঠক ইচ্ছা করলে আলকাউসার আগস্ট ’০৫ ও আগস্ট ’০৬ঈ. সংখ্যা দু‘টি অধ্যয়ন করে নিতে পারেন।
তো আমরা আজ সহীহ হাদীসের আলোকে ইসরা ও মিরাজের ঘটনার পূর্ণাঙ্গ একটি বিবরণ Bismillah Voice চ্যানেলের দর্শকদের উপহার দেওয়ার তাকিদ অনুভব করছি। এই অনুভূতি থেকে আমরা সহীহ বুখারী, হাদীস ৩৮৮৭ এবং সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৬৪ ও ২৫৯-এ সাহাবী হযরত মালেক ইবনে সা‘সাআ রা. ও হযরত আনাস রা. -এর বর্ণনা দু‘টিকে মূল হিসেবে অবলম্বন করে ঐতিহাসিক ও তাৎপর্যবহুল এই ঘটনার মোটামুটি একটি পূর্ণাঙ্গ বিবরণ দেয়ার চেষ্টা করবো। ইনশাআল্লাহ
নির্ভরযোগ্য অন্যান্য বর্ণনায় বিদ্যমান বিষয়গুলোও তার সাথে উল্লেখ করবো এবং হাদীসের প্রসিদ্ধ গ্রন্থাবলী থেকে তার উদ্ধৃতিও উল্লেখ করার চেষ্টা করবো। ভুলভ্রান্তি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ জানিয়ে শুরু করছি। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে সঠিক ইতিহাস জেনে তা থেকে শিক্ষা গ্রহন করার তাওফীক্ব দান করুন। আমীন
মদীনা হিজরতের আগের কথা। বাধা আর সফলতার মাঝে এগিয়ে চলছিল ইসলামের অগ্রযাত্রা। কাফির-মুশরিকদের ঠাট্টা-বিদ্রুপ আর অকথ্য নির্যাতনে শানিত হচ্ছিল মু‘মিনের ঈমান, জ্বলে উঠছিল মুসলমানের দ্বীনী জযবা। এমনি সময়ে কোনো এক রাতে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবীদের নিয়ে ইশার নামায আদায় করলেন। অতঃপর খানায়ে কাবা সংলগ্ন ‘হাতীমে’ শুয়ে বিশ্রাম নিতে লাগলেন। এই সেই ‘হাতীম’, যা এক সময়ে খানায়ে কাবারই অংশ ছিল। মক্কার কাফেররা গুরুত্বপূর্ণ কাজে এখানে সমবেত হত, পরস্পর শপথ ও মৈত্রী চুক্তিতে আবদ্ধ হত। সংকটাপন্ন মুহূর্তে দুআর জন্য প্রসারিত করত দু’হাত। মক্কার সর্দারেরা এখানে প্রায় বিশ্রাম নিত। নবীজীও মাঝে মাঝে আরাম করতেন। ওই রাতেও নবীজী সেখানে তন্দ্রাবিষ্ট ছিলেন; নিদ্রা তখনও আসেনি। আর নবী-রাসূলগণের নিদ্রা তো এমনই হয়; চোখ দুটো তাঁদের মুদে আসলেও ক্বলব থাকে সতত জাগ্রত। জিবরীল আমীন আ. নেমে এলেন। নবীজীকে জাগ্রত করলেন। অতঃপর তাঁকে নিয়ে গেলেন আবে যমযমের নিকটে। তাঁর বক্ষের অগ্রভাগ হতে চুল পর্যন্ত বিদীর্ণ করা হল। বের করা হল তাঁর হৃৎপি-। তা আবে যমযম দ্বারা শোধন করা হল। ঈমান ও প্রজ্ঞায় ভরপুর স্বর্ণের একটি পেয়ালা এনে তা দিয়ে ভরে দেওয়া হল নবীজীর বক্ষ মুবারক। অতঃপর হৃৎপি- যথাস্থানে রেখে দিয়ে উপরিভাগ সেলাই করে দেয়া হল। হযরত আনাস রা. বলেন, আমি এর চিহ্ন নবীজীর বুকে প্রত্যক্ষ করেছি।
‘বুরাক’ নামক ক্ষিপ্রগতির একটি সওয়ারী আনা হল, যা ছিল গাধার চেয়ে বড় ও খচ্চরের চেয়ে ছোট এবং দীর্ঘদেহী। রং ছিল শুভ্র। এমনই ক্ষিপ্র ছিল তার চলার গতি যে, দৃষ্টিসীমার শেষ প্রান্তে গিয়ে পড়ত তার পায়ের খুর। তার পিঠের উপর জিন আঁটা ছিল, মুখে ছিল লাগাম। নবীজী রেকাবে পা রাখবেন এমন সময় ‘বুরাক’ ঔদ্ধত্য দেখাল। জিবরীল তাকে থামিয়ে বললেন, হে বুরাক! তুমি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সামনে ঔদ্ধত্য প্রকাশ করছ? তুমি কি জান, আল্লাহ্র কাছে তার চেয়ে মহান ও প্রিয়তম কোনো ব্যক্তি কখনও তোমার উপর সওয়ার হয়নি। একথা শুনতেই বুরাক ঘর্মাক্ত হয়ে গেল। তিরমিযী. হাদীস ৩১৩১
অতঃপর নবীজী বুরাকে আরোহণ করলেন। মুহূর্তেই এসে উপস্থিত হলেন জেরুজালেম নগরীর বায়তুল মাকদিসে। জিবরীল একটি পাথর ছিদ্র করে বুরাককে বেঁধে রাখলেন। প্রাগুক্ত, হাদীস ৩১৩২
এটা সেই বৃত্ত, যেখানে নবীগণও নিজেদের বাহন বেঁধে রাখতেন। (মুসনাদে আহমাদ ২/৫২৮) বায়তুল মাকদিসে ঢুকে তিনি দেখেন, হযরত মূসা আ. নামাযরত আছেন। তিনি ছিলেন ছিপছিপে ও দীর্ঘ দেহের অধিকারী। তাঁর চুল ছিল কোঁকড়ানো, যা ছিল কান পর্যন্ত ঝুলন্ত। দেখে মনে হবে যেন ‘ শানওয়া’ গোত্রেরই একজন লোক। হযরত ঈসা আ.-কেও দন্ডায়মান হয়ে নামায পড়তে দেখা গেল। তিনি ছিলেন মাঝারি গঠনের, সাদা ও লাল রং বিশিষ্ট। তাঁর চুল ছিল সোজা ও চাকচিক্যময়। তাঁর আকার-আকৃতি সাহাবী উরওয়া ইবনে মাসউদ সাকাফী রা.-এর সাথে অধিক মেলে। হযরত ইব্রাহীম আ.-কেও নামাযরত অবস্থায় দৃষ্টিগোচর হল। নবীজী বলেন, তাঁর দেহাবয়ব আমার সাথে অধিক সামঞ্জ্যশীল। মুসলিম, হাদীস ১৬৭
লেখাটি লম্ব হওয়ায় পুরা লেখাটা এখানে আসছে না, চেষ্টা করেও দিতে পারিনি। তাই যদি লেখাটি পুরা পড়তে চান তাহলে আমাদের ফেসবুক পেজে পুরো লেখাটি আর্টিক্যাল আকারে দেয়া আছে নিম্নের লিংকে ক্লিক করে তা পড়ে নিতে পারেন। ধন্যবাদ
পেজ (আর্টিক্যাল) লিংক- https://www.facebook.com/bismillahvoi...
Повторяем попытку...

Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: