কুরবানীর ইতিহাস, উদ্দেশ্য ও কতিপয় বিধান 1
Автор: Dr. Mufti Masudur Rahman
Загружено: 2025-05-22
Просмотров: 95
Описание:
কুরবানীর ইতিহাস:
কুরবানী শব্দটি আরবি "কুরব" শব্দ থেকে এসেছে, যার অর্থ হলো ‘নিকটবর্তী হওয়া’। ইসলামী শরীয়তের পরিভাষায়, কুরবানী হলো নির্দিষ্ট সময়ে আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট পশু জবাই করা।
কুরবানীর ইতিহাস অনেক পুরনো, যা শুরু হয়েছে হযরত আদম (আ.)-এর যুগ থেকে। তবে ইসলামে কুরবানীর মূল ভিত্তি স্থাপিত হয়েছে হযরত ইব্রাহিম (আ.)-এর মাধ্যমে। তিনি আল্লাহর নির্দেশে তাঁর প্রিয় পুত্র হযরত ইসমাঈল (আ.)-কে কুরবানী দিতে উদ্যত হন। আল্লাহ তাঁদের আত্মত্যাগের মানসিকতা ও আনুগত্য গ্রহণ করে ইসমাঈলের পরিবর্তে একটি বড় পশু প্রেরণ করেন। এই ঘটনার স্মরণেই মুসলমানরা প্রতি বছর জিলহজ মাসের ১০ তারিখে কুরবানী করে থাকে।
কুরবানীর উদ্দেশ্য:
১. আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা।
২. ত্যাগ ও আনুগত্যের মহিমা প্রকাশ।
৩. ধনী-গরীবের মাঝে সহানুভূতি ও সাম্য প্রতিষ্ঠা।
৪. হযরত ইব্রাহিম (আ.) ও ইসমাঈল (আ.)-এর কুরবানীর স্মৃতি সংরক্ষণ।
৫. মানবিকতা ও আত্মনিয়ন্ত্রণের শিক্ষা।
কতিপয় বিধান:
১. সময়:
কুরবানীর নির্ধারিত সময় হলো জিলহজ মাসের ১০, ১১ ও ১২ তারিখ। ১০ তারিখ ঈদুল আযহার নামাজের পর থেকে ১২ তারিখ সূর্যাস্ত পর্যন্ত কুরবানী দেওয়া যায়।
যোগ্যতা:
প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক, মুসলমান, আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান ব্যক্তি যিনি ‘নিসাব’ পরিমাণ সম্পদের মালিক, তার জন্য কুরবানী করা ওয়াজিব।
পশুর ধরন ও অবস্থা:
কুরবানীর জন্য গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, উট প্রযোজ্য। পশু হতে হবে সুস্থ ও নির্দোষ। কোন পশু যদি অন্ধ, খোঁড়া, রোগগ্রস্ত হয়, তবে তা গ্রহণযোগ্য নয়।
পশু ভাগ:
গরু বা উট সাত জন পর্যন্ত ভাগে কুরবানী করতে পারে, তবে প্রত্যেকের নিয়ত আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য হওয়া আবশ্যক।
মাংস বণ্টন:
কুরবানীর মাংস তিন ভাগে ভাগ করা উত্তম: একভাগ আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের, একভাগ গরীব-দুঃস্থদের এবং একভাগ নিজের পরিবারের জন্য রাখা যায়।
উপসংহার:
কুরবানী শুধুমাত্র পশু জবাই নয়, এটি মূলত আত্মত্যাগ, আনুগত্য ও মানবিকতার এক অনন্য নিদর্শন। মুসলমানদের উচিত কুরবানীর প্রকৃত শিক্ষা অন্তরে ধারণ করে জীবন গঠন করা।
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: