বিক্রমপুর বৌদ্ধ বিহার||Bikrampur Buddhist Monastery.
Автор: P Santi TV
Загружено: 2021-10-01
Просмотров: 92
Описание:
☆☆বিক্রমপুর প্রাচীন বঙ্গ ও সমতটের রাজধানী প্রত্নতাও্বিক অনুসন্ধান, খনন,গবেষণা ও সংরক্ষণ।
☆বিক্রমপুরবিহার হলো বাংলাদেশের মুন্সীগঞ্জ
জেলার, বিক্রমপুরের অন্তর্গত মাহমুদ নগর (রঘুরামপুর) গ্রামে অবস্থিত একটি প্রাচীন বৌদ্ধ বিহার।[১]

☆ বিক্রমপুর বিহার অবস্থান
এই বৌদ্ধ বিহারটি মুন্সীগঞ্জ জেলার, সদর উপজেলার রামপাল ইউনিয়নের অন্তর্গত মাহমুদনগর (রঘুরামপুর) গ্রামে অবস্থিত।
ইতিহাসসম্পাদনা
এটি মহারাজ ধর্মপালের শাসনামলে (অনুমানিক ৮২০ খ্রিষ্টাব্দ নাগাদ) নির্মিত ৩০টি উল্লেখযোগ্য বিহারের মধ্যে অন্যতম। ধর্মপাল ছিলেন পাল সম্রাজ্যের দ্বিতীয় সম্রাট। ঐতিহাসিকভাবে এই মঠটি, অতীশ দীপঙ্করের সাথে সম্পর্কিত, যিনি তিব্বতী বৌদ্ধধর্মের ইতিহাসে একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। অতীশ দীপঙ্করের জীবদ্দশায়, এই অঞ্চলটি ছিল বৌদ্ধ ধর্ম শিক্ষার কেন্দ্রবিন্দু এবং চীন, তিব্বত, নেপাল ও থাইল্যান্ডের মত দূরবর্তী অঞ্চল থেকেও প্রায় ৮০০০ অধ্যয়নকারী ও অধ্যাপক এখানে অধ্যাপনা করতে আসতেন।[২][৩][৪]মাটির নিচে চাপা পড়ে ছিল হাজার বছরের পুরনো বৌদ্ধ বিহার। শত শত বছর ধরে তার কোনো হদিসই জানত না কেউ। তার ওপর বাড়িঘর নির্মিত হয়েছে, ফসল ফলেছে। কেউ কোনোদিন কল্পনাও করেনি তাদের পায়ের তলায় চাপা পড়ে আছে হাজার বছরের ইতিহাস, প্রাচীন এক সভ্যতা!
দীর্ঘ প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধানের পর এমনই এক পুরনো সভ্যতার নিদর্শন পাওয়া গেছে বৌদ্ধ ধর্ম প্রচারক ও পণ্ডিত অতীশ দ্বীপঙ্করের জন্মস্থানে। হাজার বছর আগের এই নিদর্শনটি বিক্রমপুর বিহার নামেই পরিচিত ছিল বলে ধারণা প্রত্নতাত্ত্বিকদের।
অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশনের অধীনে ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে শুরু হয় আনুষ্ঠানিক প্রত্নতাত্ত্বিক খনন। ২০১৩ সালের ২৩ মার্চ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ যৌথভাবে বিক্রমপুর বিহার আবিষ্কারের ঘোষণা দেয়। পরে বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আর্থিক সহযোগিতায় খননকাজ শুরু হয়।
অধ্যাপক ড. সুফি মোস্তাফিজুর রহমানের তত্ত্বাবধানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অন্য বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণায়। প্রথম বছরে রামপাল ও বজ্রযোগিনী ইউনিয়নের তিনটি গ্রামের নয়টি স্থানে পরীক্ষামূলক খনন হয়। প্রতিটি স্থানে প্রাচীন বসতির চিহ্ন পাওয়া গেলেও সীমিত আকারের খননে বসতির প্রকৃতি বোঝা যাচ্ছিল না। নয় নম্বর স্থানটিতে প্রাচীন বজ্রযোগিনীর রঘুরামপুরে ইট-নির্মিত দেয়ালাংশ আবিষ্কৃত হয়। ২০১০-২০১১ তে আবার খননকাজ শুরু হয় রঘুরামপুরে। তবে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির অভাবে থেকে যায় খননকাজ। পরে ২০১২ সালে আবার শুরু হয় খননকাজ। পূর্ব আবিষ্কৃত ইট-নির্মিত স্থাপত্যাংশের আরো প্রায় ১০০ মিটার উত্তরে গর্ত পরিষ্কার করতে গেলে বেরিয়ে আসে ক্ষতিগ্রস্ত ইটের দুটি দেয়াল।
ধারণা করা হচ্ছে, সদ্য আবিষ্কৃত বৌদ্ধ বিহারের সঙ্গে অতীশ দীপঙ্করের একটি গভীর সমপর্ক ছিল। বৌদ্ধ ধর্ম অবক্ষয় রোধে রাজা চং ছপের বিশেষ আমন্ত্রণে অতীশ তিব্বতে গমন করেন। সেখানে ১৬ বছর অবস্থানকালে ১৭৫টি মৌলিক গ্রন্থ রচনা করেন। বিক্রমপুরের বজ্রযোগিনী গ্রামের সন্তান ছিলেন অতীশ দীপঙ্কর।
কথিত আছে, অতীশ দীপঙ্করের সময় বিক্রমপুরের বৌদ্ধ শিক্ষাকেন্দ্রে নেপাল, তিব্বত, চীন, থাইল্যান্ড ও অন্যান্য দেশ থেকে প্রায় ৮ হাজার শিক্ষার্থী ও ১০০ জন শিক্ষক এসেছিলেন। বলা হয়, অতীশ দীপঙ্কর ছিলেন ওই শিক্ষাকেন্দ্রের অধ্যক্ষ। পণ্ডিত দ্বীপঙ্কর বিশ্বখ্যাত নালন্দা বৌদ্ধ বিহারে অধ্যয়ন করেন। পরে তাকে বিক্রমপুর বিহারের অধ্যক্ষ নিয়োগ করা হয়। এর আগে তিনি কিছুদিন পাহাড়পুর বিহারের অধ্যক্ষ ছিলেন।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, মগধের পূর্বে বাংলায় বিক্রমপুর নামে একটি বৌদ্ধ বিহার ছিল। পূর্ব ভারতবর্ষের বিখ্যাত শিক্ষাকেন্দ্র বিক্রমপুর বিহারটি প্রতিষ্ঠা করেন সম্ভবত পাল সম্রাট ধর্মপাল। কারো কারো মতে, বিক্রমপুর বিহার বিকাশে চন্দ্র রাজাদেরও অবদান ছিল।
পাল সম্রাট ধর্মপাল প্রায় ৩০টি বৌদ্ধ শিক্ষাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন। সোমপুর বিহার, বিক্রমপুর বিহার ও নালন্দা বিহার তার মধ্যে অন্যতম। চৈনিক পর্যটক হিউয়েন সাঙের বইতেও এই রকম উল্লেখ পাওয়া যায়।
হাজার বছরের সভ্যতার নিদর্শন আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়, ইউরোপ-আমেরিকার চেয়ে বহু বছর আগে সভ্যতার বাতাস লেগেছিল এদেশে।
অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশন (Agrasar Bikrampur Foundation) নামক একটি স্থানীয় সমাজ-সাংস্কৃতিক সংগঠন কর্তৃক চালানো দীর্ঘ ৪ বছরব্যাপী এক প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধানের পর ২০১৩ সালের ২৩শে মার্চ তারিখে, অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশন ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ যৌথভাবে এই নিদর্শনটি আবিষ্কারের ঘোষণা দেয়। বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এই প্রত্নতাত্ত্বিক খননের জন্য অর্থের যোগান দেয়।
২৩শে মার্চ, ২০১৩ তারিখে, বিক্রমপুর অঞ্চলের প্রত্নতাত্ত্বিক খনন ও গবেষণা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ১০০০ বছর পুরোনো এই বৌদ্ধ বিহারটি আবিষ্কারের ঘোষণা দেন। মার্চ ২০১৩ পর্যন্ত, এখান থেকে প্রায় ১০০ এরও বেশি মূল্যবান মূর্তি ও ভাস্কর্য সংরক্ষণ করা হয়েছে।
☆ কেন্দ্রীয় মন্দির
খননকার্য চলাকালীন, ৫টি ১১ ফিট × ১১ ফিট আকৃতির কক্ষ খুঁজে পাওয়া গেছে। যদিও, মঠটির সমগ্র আয়তন এপর্যন্ত নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি।
আরও দেখুনসম্পাদনা
পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার
কান্তনগর মন্দির
ছোট সোনা মসজিদ
বাঘা মসজিদ
হাজী শাহাবাজের মাজার ও মসজিদ
খান মোহাম্মদ মৃধা মসজিদ
ষাট গম্বুজ মসজিদ
সাত গম্বুজ মসজিদ
লালবাগের কেল্লা
তবিকাশে চন্দ্র রাজাদেরও অবদান ছিল।
এদেশে।
☆ তথ্যসূত্র
↑ http://www.buddhistchannel.tv/index.p....
↑ Ancient Buddhist Vihara found in Munshiganj
↑ "Ancient Buddhist monastery
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: