নবিজী (সাঃ) এর মেরাজের ঘটনা । পর্ব -১
Автор: বিশুদ্ধ আকিদা
Загружено: 2023-02-05
Просмотров: 283
Описание:
সম্মানিত দর্শকেরা আসসালামু আলাইকুম,
জানেন কী হুজুর সাঃ মেরাজে কীভাবে গিয়েছিলেন? তিনি কী এই রাতে আল্লাহ তাআলা কে দেখে ছিলেন ? প্রথমে কয় ওয়াক্ত নামাজ নিয়ে এসেছিলেন? কোন জায়গায় সকল নবিদের ইমামতি করেছিলেন ? জানতে হলে এই ভিডিওটি না টেনে শেষপর্যন্ত দেখুন।
ইসলামের অনুসারীদের প্রতি অত্যাচার নির্যাতন মাঝামাঝি পর্যায়ে চলছিলো, দূর দিগন্তে মিটিমিটি জ্বলছিলো তারার আলো, এমনি সময়ে মেরাজের রহস্যময় ঘটনা ঘটলো। পাঁচ ওয়াক্ত নামায ফরয হওয়ার আগে হযরত খাদিজা (রা.)-এর ইন্তেকাল হয়েছিলো । পাঁচ ওয়াক্ত নামায মেরাজের রাতে ফরয করা হয়।
ইবনে কাইয়েম লিখেছেন, সঠিক বর্ণনা অনুযায়ী জানা যায় যে, নবী সাইয়েদুল মুরসালিনকে স্বশরীরে বোরাকে তুলে হযরত জিবরাঈল (আ.)-এর সঙ্গে মসজিদে হারাম থেকে প্রথমে বায়তুল মুকাদ্দাস পর্যন্ত ভ্রমণ করানো হয়। প্রিয় নবী সেখানে মসজিদের দরজার খুঁটির সাথে বোৱাক বেঁধে যাত্রা বিরতি করেন এবং সকল নবীর ইমাম হয়ে নামায আদায় করেন ।
এরপর সেই রাতেই তাঁকে বায়তুল মুকাদ্দাস থেকে প্রথম আসমানে নিয়ে যাওয়া হয়। হযরত জিবরাঈল (আ.) দরজা খোলেন। প্রিয় নবী সেখানে হযরত আদম (আ.)-কে দেখে সালাম করেন। হযরত আদম (আ.) তাঁকে মারহাবা বলে সালামের জবাব দেন। তাঁর নবুয়তের স্বীকারোক্তি করেন । সে সময় আল্লাহ তায়ালা হযরত আদম (আ.)-এর ডানদিকে নেককার এবং বামদিকে পাপীদের রূহ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে দেখান। এরপর তিনি দ্বিতীয় আসমানে যান । দরজা খুলে দেয়া হয়। প্রিয় নবী সেখানে হযরত ইয়াহিয়া ইবনে যাকারিয়া (আ.) এবং হযরত ঈসা ইবনে মরিয়ম (আ.)-কে দেখে সালাম করেন। তাঁরা সালামের জবাব দিয়ে প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নবুয়তের কথা স্বীকার করেন। প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরপর যান চতুর্থ আসমানে।' সেখানে তিনি হযরত ইদরিস (আ.)-কে
দেখে সালাম করেন । তিনি সালামের জবাবে তাকে মোবারকবাদ দেন এবং তাঁর নবুয়তের কথা স্বীকার করেন ।
এরপর তাঁকে পঞ্চম আসমানে নেয়া হয়। সেখানে তিনি হযরত হারুন (আ.)-কে দেখে সালাম দেন। তিনি সালামের জবাবে মোবারকবাদ দেন এবং তাঁর নবুয়তের কথা স্বীকার করেন । নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে এরপর নেয়া হয় ষষ্ঠ আসমানে। সেখানে হযরত মূসা (আ.)-এর সাথে সাক্ষাৎ হয় । তিনি সালাম করেন । হযরত মূসা (আ.) মারহাবা বলেন এবং নবুয়তের কথা স্বীকার করেন। নবী মুরসালিন সামনে অগ্রসর হলেন, এ সময় হযরত মূসা (আ.) কাঁদতে লাগলেন । এর কারণ জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বললেন, একজন নবী যিনি আমার পরে আবির্ভূত হয়েছেন তার উম্মতেরা আমার উম্মতদের চেয়ে সংখ্যায় বেশী বেহেশতে যাবে।
প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরপর নিয়ে যাওয়া হয় সপ্তম আসমানে । সেখানে হযরত ইবরাহীম (আ.)-এর সাথে তাঁর দেখা হয় । তিনি তাঁকে সালাম করেন। তিনি জবাব দেন, মোবারকবাদ দেন এবং তাঁর নবুয়তের কথা স্বীকার করেন ।
এবার প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সেদরাতুল মুনতাহা'য় নিয়ে যাওয়া হয় । তিনি আল্লাহর এতো কাছাকাছি পৌঁছেন যে, উভয়ের মধ্যে দুটি ধনুক বা তারও কম ব্যবধান ছিলো। সেই সময় আল্লাহ তায়ালা তার যা কিছু দেয়ার দিয়ে দেন, যা ইচ্ছা ওহী নাযিল করেন এবং পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামায ফরয করেন।
আল্লামা ইবনে কাইয়েম এ সম্পর্কে ভিন্ন মত পোষণ করেছেন। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন যে, নবীজী সঃ কি আল্লাহ তায়ালাকে দেখেছেন? ইমাম ইবনে তাইমিয়া লিখেছেন, চোখে দেখার কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি, কোন সাহাবী এ কথা বর্ণনাও করেননি। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে চোখ এবং অন্তর দ্বারা দেখার যে কথা উল্লেখ রয়েছে, তার মধ্যে প্রথম বর্ণনা দ্বিতীয় বর্ণনার বিপরীত নয়। ইমাম ইবনে কাইয়েম যে নৈকট্য এবং নিকটতর হওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন, এটি মেরাজের সময়ের চেয়ে ভিন্ন সময়ের কথা।
ফেরার পথে হযরত মুসা (আ.)-এর সাথে দেখা হলে তিনি জিজ্ঞাসা করলেন আল্লাহ তায়ালা আপনাকে কি কাজের আদেশ দিয়েছেন? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামায আদায়ের আদেশ দিয়েছেন। হযরত মূসা (আ.) বললেন, আপনার উম্মত এতো নামায আদায় করার শক্তি রাখে না। আপনি আল্লাহর কাছে ফিরে গিয়ে নামায কমিয়ে দেয়ার আবেদন করুন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হযরত জিবরাঈল (আ.)-এর দিকে তাকালেন, তিনি ইশারা করলেন । এরপর ফিরে গিয়ে নামাযের সংখ্যা কমিয়ে দেয়ার আবেদন জানালেন। হযরত মূসা (আ.)-এর সাথে আবার ফেরার পথে দেখা । তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, আল্লাহর কাছ থেকে কি আদেশ নিয়ে যাচ্ছেন? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পঁয়তাল্লিশ ওয়াক্ত নামাযের কথা বললেন। হযরত মূসা (আ.) বললেন, আপনি ফিরে যান, এমনি করে বারবার ফিরে যাওয়ার এবং নামায কম করার হার একপর্যায়ে সংখ্যা দাঁড়ালো পাঁচ । এই পাঁচ ওয়াক্ত নামাযও হযরত মূসা (আ.) বেশী মনে করলেন এবং আরো কমিয়ে আনার আবেদন জানানোর জন্যে ফিরে যেতে বললেন। হযরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, আমার ভীষণ লজ্জা লাগছে, আমি আর যেতে চাই না। আমি আল্লাহর এই আদেশের ওপরই মাথা নত করলাম। ফেরার পথে কিছুদূর আসার পর আওয়ায হলো, আমি আমার ফরয নির্ধারণ করে দিয়েছি এবং আমার বান্দাদের জন্যে কমিয়ে দিয়েছি ।
এই মেরাজ কবে সংঘটিত হয়েছিলো? এ সম্পর্কে সীরাত রচয়িতাদের মতামতের বিভিন্নতা রয়েছে । যেমন—
তিবরানি বলেছেন, যে বছর নবী সাইয়েদুল মুরসালিনকে নবুয়ত দেয়া হয়, সে বছরই । ইমাম নববী এবং ইমাম কুরতুবী লিখেছেন, নবুয়তের পাঁচ বছর পর।
হিজরতের ১৬ মাস আগে অর্থাৎ নবুয়তের দ্বাদশ বছরে রমযান মাসে ।
নবুয়তের দশম বর্ষে ২৭শে রযবে । আল্লামা মনসুরপুরী এ অভিমত গ্রহণ করেছেন । পাঁচ) হিজরতের এক বছর দুই মাস আগে। অর্থাৎ নবুয়তের ত্রয়োদশ বর্ষের মহররম মাসে । ছয়) হিজরতের এক বছর আগে অর্থাৎ নবুয়তের ত্রয়োদশ বর্ষের রবিউল আউয়াল মাসে । উল্লিখিত বক্তব্যসমূহের মধ্যে তিনটি বক্তব্যকে সঠিক বলে মেনে নেয়া যায়।
এই ঘটনাটি আল-রাইতুল মাকতুম বই থেকে নেওয়া হয়েছে।
#bisuddho_akida
#মেরাজ
#islamic_story
Повторяем попытку...

Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: