যাওয়ার আগে বাবার শেষ ছবি তুলে ছিলাম😭ঈদের নামাজ পড়া হলো না বাবা ছেলের

Описание: যাওয়ার আগে বাবার শেষ ছবি তুলে ছিলাম😭
ঈদের নামাজ পড়া হলো না বাবা ছেলের
#বগুড়ারদুর্ঘটনা #ঈদেরসকাল #বাবাছে‌লেহারা‌লো #সড়কদুর্ঘটনা



ঈদের নামাজে আর যাওয়া হলো না বাবা-ছেলের, রয়ে গেল শুধু শোকের স্মৃতি

ঈদের সকালে নতুন জামা গায়ে চাপিয়ে, ছোট্ট ছেলেকে কোলে নিয়ে চাঁন মিয়া বের হয়েছিলেন ঈদের নামাজ পড়তে। হয়তো মনে মনে দোয়া করছিলেন—“আল্লাহ, আমার সন্তানকে ভালো মানুষ বানিয়ো।”
কিন্তু কে জানতো, সেই সকালটাই হয়ে উঠবে তাদের জীবনের শেষ সকাল...

শনিবার (৭ জুন ২০২৫) সকালে বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার নয়মাইল এলাকায় ঢাকা-বগুড়া মহাসড়ক পার হওয়ার সময় এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান চাঁন মিয়া (৩৫) ও তার চার বছরের শিশু পুত্র আব্দুল্লাহ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঈদের নামাজে অংশ নিতে চাঁন মিয়া তার শিশুপুত্রকে সঙ্গে নিয়ে মহাসড়কের ডিভাইডার টপকে পার হচ্ছিলেন। ঠিক তখনই একটি অজ্ঞাত দ্রুতগামী বাস তাদের চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়।
ঘটনাস্থলেই নিথর হয়ে পড়ে যায় বাবা-ছেলের দেহ। মুহূর্তেই আনন্দঘন ঈদের সকাল যেন শোকের ছায়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শেরপুর হাইওয়ে পুলিশের অফিসার ইনচার্জ আজিজুল ইসলাম বলেন,
“আমরা ঘটনাস্থল থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করেছি। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।”

একটি ঈদের সকালে পরিবারের সকল সদস্য যেখানে একসঙ্গে নামাজ শেষে কোলাকুলি করে খুশি ভাগাভাগি করার কথা, সেখানে এই পরিবারের জন্য ঈদ মানেই এখন শুধুই কান্না আর শূন্যতা।

এই করুণ ঘটনায় প্রশ্ন উঠে আসে— কবে নিরাপদ হবে আমাদের মহাসড়ক? কবে কোনো শিশু তার বাবার হাত ধরে নিরাপদে ঈদের নামাজে যেতে পারবে?


যাওয়ার আগে বাবার শেষ ছবি তুলে ছিলাম😭
ঈদের নামাজ পড়া হলো না বাবা ছেলের
#বগুড়ারদুর্ঘটনা #ঈদেরসকাল #বাবাছে‌লেহারা‌লো #সড়কদুর্ঘটনা #মানবিকবাংলাদেশ #শোকাবহঈদ #নিরাপদসড়কচাই #চাঁনমিয়া #আবদুল্লাহ #EidTragedy2025 #RoadSafetyBangladesh #HeartbreakingStor