জননেত্রী শেখ হাসিনার যা উন্নয়ন তাতে সন্তুষ্ট বাংলাদেশের জনগণ। জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয় শেখ হাসিনা ৩
Автор: Viral Tv
Загружено: 2025-06-23
Просмотров: 167
Описание:
#জননেত্রী_শেখ_হাসিনা #sheikhhasina #sheikh_hasina #ভাইরাল #please_subscribe_my_channel #shorts #shortvideo #short #shortsfeed #shortsvideo #shortsviral #shots #shortvideos #shortfeed #dryunus #bangladesh #narendramodi #india #pakistan #america
শেখ হাসিনার বড় পরিচয় তিনি একজন রাজনীতিবিদ ও রাষ্ট্রনায়ক। এই পরিচয়ের বাইরেও তিনি একজন লেখক। তার লেখক সত্তার পরিচয় আমরা সবাই জানি।
শেখ হাসিনা দীর্ঘ জীবনে তার চিন্তা-চেতনা ও রাজনৈতিক আদর্শের প্রতিফলন ঘটিয়ে চলেছেন। লেখার মাধ্যমেও যা প্রকাশিত। তবে তা শুধু রাজনৈতিক ভাবনাই নয়, তার সাহিত্যমূল্যও আছে। তার পরিশীলিত গদ্যে রয়েছে শিল্পের অনুপম ছোঁয়া। রয়েছে চিন্তার গভীরতা। জীবনের যেকোনো অনুষঙ্গ তার কলমের জাদুতে ফুটে ওঠে। সেইসঙ্গে পাওয়া যায় তার অপূর্ব দেখার ক্ষমতাও।
শেখ হাসিনা হয়তো ভাবেননি লিখবেন কিংবা রাষ্ট্র চালাবেন। সেকথা তিনি তার বইয়ের ভূমিকায়ও লিখেছেন। তবে লেখক ও রাষ্ট্র পরিচালক শেখ হাসিনার হঠাৎ করেই আবির্ভাব ঘটেনি। তাদের ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িটি ছিল শিল্প-সাহিত্য ও রাজনীতির সাইনবোর্ডহীন পাঠশালা। যেখানে বাস করতেন শেখ হাসিনা। কৈশোরেই তার অজান্তে হয়তো এই দু’টি বিষয় তাকে গড়ে তুলেছে। সহজাতভাবেই শিখেছেন রাজনীতির মন্ত্র ও কালমের জাদু। কারণ মায়ের পাঠাভ্যাস ছিল প্রবল। শত ব্যস্ততার ভেতরও সময় পেলেই বই নিয়ে বসতেন। হাঁড়ি-পাতিল, আসবাপত্র না কিনে বেশি করে বই কিনতেন—কারাগারে পাঠাতেন বঙ্গবন্ধুর কাছে। পড়তেন নিজে। পড়াতেন ছেলেমেয়েদেরও। বই দিয়ে সাজাতেন আলমারি। আজও দেখা যায় ৩২ নম্বর বাড়িতে আসবাপত্রের থেকে বইই বেশি। মায়ের সঙ্গে শেখ হাসিনা বই কিনতে নিউমার্কেট যেতেন। পছন্দ করে বই কিনতেন। বই কেনা, বই পড়ার পাশপাশি গান শুনতেন—যা এক সময় অভ্যাসে পরিণত হয়। এ অভ্যাসটা তাদের পারিবারিক। বলা যায় বাবার কাছ থেকে পাওয়া। অবসরে বঙ্গবন্ধু বই পড়তেন, গান শুনতেন। রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের বহু কবিতা তার মুখস্ত ছিল। বক্তৃতার ফাঁকে ফাঁকে বলতেন কবিতার লাইন। শেখ হাসিনারও অনেক কবিতা মুখস্থ। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কবিতা বলেন তিনি।
শৈশবে শেখ হাসিনা গল্প শুনতে ভালোবাসতেন। কৈশোরে পড়তেন বই। বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবিদের কবিতা, উপন্যাস-গল্প পড়েছেন। ‘পথের পাঁচালী’ তার সবচেয়ে প্রিয় বই। পৃষ্ঠায় পৃষ্ঠায় হারিয়ে যেতেন গ্রামের সেই চিরচেনা পথঘাট আর দৃশ্যের মাঝে। শুধু বই পড়া নয়। শিল্প-সংস্কৃতির অন্য শাখায়ও তার প্রবল আগ্রহ। বেহালা শেখার জন্য ছায়ানট সঙ্গীত সংগঠনের শিক্ষার্থী হয়েছিলেন। ছবিও আঁকতেন। এভাবেই শেখ হাসিনার শিল্পসত্তা স্বরূপ লাভ করে।
শেখ হাসিনা মূলত প্রবন্ধ লেখেন। সেসব প্রবন্ধে তিনি জীবনের কথা লিখেছেন। বাবার কথা লিখেছেন। স্মৃতিচারণ করেছেন। লিখেছেন মানুষের কথা। উন্নয়নের কথা। গ্রামবাংলার কথা। প্রকৃতি-পরিবেশের কথা। যা দেখছেন, উপলব্দি করেছেন তাই লিখেছেন। গল্প-উপন্যাস না লিখলেও তার লেখায় সাহিত্যের রূপ, রস, অলংকার, ভাষার সৌন্দর্য ও নিপুণতা রয়েছে। খোলা চোখে যা দেখেন তা শিল্পরূপে ফুটিয়ে তুলতে পারঙ্গম তিনি। পিতা শেখ মুজিবুর রহমান রাজনৈতিক জীবনে দীর্ঘদিন কারাভোগ করেছেন। অনেকটা শেখ হাসিনার চোখের সামনে। দেখেছেন বাবার রাজনৈতিক সংগ্রাম, কারাভোগ, নির্যাতন, সেসব তার মানসপটে কীভাবে দাগ কাটত বা কী ভাবতেন, কীভাবে দেখতেন সেসব উঠে এসেছে তার লেখায়। কপটতা এড়িয়ে সরলভাবে যৌক্তিক ব্যাখ্যা করেছেন। বিশ্লেষণ করেছেন তথ্য উপাত্তসহ।
‘শেখ মুজিব আমার পিতা’ শেখ হাসিনার অন্যতম একটি বই। এই বইয়ে শেখ হাসিনা তুলে ধরেছেন বাবার জীবনের নানা কথা। শৈশবের কথা। তার জন্ম। রাসেলের জন্ম। রয়েছে রাজনীতির কথাও। লিখেছেন নিজের কথাও।
শেখ হাসিনার ‘ওরা টোকাই কেন’ বইটি বহুল আলোচিত ও ব্যাপক সমাদৃত। এটি রাজনৈতিক বই নয়। বইটি তিনি লিখেছেন শিশুদের নিয়ে। আমাদের সমাজের অবহেলিত শিশু-কিশোরদের জীবন তুলে ধরেছেন। কীভাবে শিশুরা অন্যের হয়ে যায়। হারিয়ে ফেলে শৈশব-কৈশোরের আনন্দ। এমনকি রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের স্বার্থে কীভাবে মিছিলে নিয়ে যায় শিশুদের। সাধারণত এই চিত্রগুলো আমরা সবাই দেখি। এতে দৃষ্টির গভীরে ডুব দিতে হয় না। কিন্তু কতটা ভাবি! অসংখ্য রাজনীতিকরাও দেখেন। কিন্তু ভাবার সময় আছে কার! সৃষ্টিকর্তার লেখা অদৃষ্ট নিয়ে ওরা জন্মেছে। এখানেই শেষ। কিন্তু লেখক শেখ হাসিনাকে এই দৃশ্য ভাবিয়েছে। সেসব তিনি তুলে ধরেছেন ‘ওরা টোকাই কেন’ বইয়ে। ক্ষমতায় এসে শিশুদের উন্নয়নে ও শিশুদের কল্যাণে কাজ করেছেন। তিনি দেখিয়েছেন ওরা টোকাই না। ওরা পথের না। ওদেরও একটা পরিবার আছে। অভাব ওদের পথে নামিয়েছে। স্কুলে যেতে দেয়নি। সুযোগ পেলে ওরাও বড় হতে পারে। ওদের সামনে থেকে তিনি সেই প্রতিকূলতা দূর করে সুযোগ করে দিয়েছেন শিক্ষার, বাসস্থানের। স্বপ্ন বুনে দিয়েছেন বড় হওয়ার। আগামী দিনের নেতা হওয়ার।
‘সবুজের মাঠ পেরিয়ে’ শেখ হাসিনার একটি প্রবন্ধের বই। বইটি লিখেছেন কারাগারে বসে। সংসদ ভবন এলাকায় সাবজেলে বন্দী ছিলেন তখন, সেসব দিনের কথা স্থান পেয়েছে এই বইয়ে। সংসদ ভবনের চিত্রও ফুটে উঠেছে সাধারণের দৃষ্টির বাইরে গিয়ে শৈল্পিক হয়ে—“সামনে সবুজ মাঠ। সবুজ গাছের সমারোহ। গাছে গাছে পাখি ডাকছে। এই সবুজেরও কত সমাহার। সামনে একটা শ্বেতকরবী গাছ। যার পাতা গাঢ় সবুজ। বৃষ্টিতে ভিজে গাছের পাতা হয়ে উঠেছে আরো সবুজ। জানালা দিয়ে তাকাই সেই সবুজের দিকে। বাতাসে দোল খাচ্ছে গাছের পাতা। ঝিরঝির শব্দ হচ্ছে। কান পেতে সেই শব্দ শুনি। মনে পড়ে গণভবনের সেই পাখিদের কথা। পাখিরা এখানেও উড়ে আসে। অনেক কথা মনে পড়ে। অনেক স্মৃতি ভেসে বেড়ায় চোখের সামনে। আবার ভালো লাগে। কারাগারে একা নই, নিঃসঙ্গতা দূর করার জন্য সঙ্গী হচ্ছে পাখি।
জননেত্রী শেখ হাসিনার যা উন্নয়ন তাতে সন্তুষ্ট বাংলাদেশের জনগণ। জয়বাংলা জয়বঙ্গবন্ধু জয় জননেত্রী শেখ হাসিনা ৩
Повторяем попытку...

Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: