মেসওয়াক সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক তথ্য। মেসওয়াকের বৈজ্ঞানিক উপকারিতা। Abbad 2021
Автор: Mohammad Mafuz
Загружено: 2021-01-08
Просмотров: 4406
Описание:
মিসওয়াক একটি সুন্নাহ।রাসূলে পাক (সাঃ) এর আমলগুলির মধ্য হতে একটি আমল হল মিসওয়াক। রাসূলে পাক (সাঃ) এটির অনেক গুরুত্ব দিয়েছেন। ইন্তেকালের পূর্বেও রাসূল (সাঃ) মিসওয়াক করেছেন। মিসওয়াক করা ছেলেমেয়ে উভয়ের জন্যই সুন্নত। শরীয়তের পরিভাষায় ৫ ওয়াক্ত নামাযের পূর্বে, ঘুম থেকে ওঠার পর ও রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে, ভাত খাওয়ার পরে যে কোনো কাঁচাগাছের ডাল দ্বারা দাঁত পরিস্কার করাকে মিসওয়াক করা বলে।
আপনি যদি টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত ব্রাশ করেন, তাইলে শুধুমাত্র মুখ পরিস্কার করার সুন্নত আদায় হবে কিন্তু টুথপেস্ট দ্বারা দাঁত ব্রাশ করার আগে বা পরে আপনি যে কোনো কাঁচা গাছের ডাল দ্বারা মিসওয়াক করলে মুখ পরিস্কার করা ও মিসওয়াক করা উভয়েরই সুন্নতই আদায় হবে। পিলু/আরক গাছ, যয়তুনগাছের কাঁচা ডাল দ্বারা মিসওয়াক করা সুন্নত। উপমহাদেশে সাধারণত নিমগাছের ডাল দিয়ে মিসওয়াক করা হয়। বর্তমানে বাংলাদেশে পাকিস্তান, সৌদি আরব থেকে আমদানিকৃত যয়তুন, পিলু গাছের মিসওয়াক পাওয়া যায়। এদের মাঝে প্যাকেটবিহীন যে যয়তুন গাছের মিসওয়াক বিক্রি করা হয় দাম ২০ টাকা, আপনারা এটা দ্বারা আপনারা মিসওয়াক করবেন। এটা খুব ভালো। প্রত্যেক হাদিসের কিতাবে মিসওয়াক অধ্যায় নামক একটা স্বতন্ত্র অধ্যায় রয়েছে।
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) মিসওয়াকের গুরুত্ব বুঝাতে গিয়ে বলেছেনঃ- আমার উম্মতের জন্য কষ্ট হয়ে যাওয়ার আশংকা না করতাম; তাহলে আমি মিসওয়াক করা ফরয করে দিতাম।
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “আমার উম্মাতের উপর যদি কষ্টকর মনে না করতাম, তাহলে তাদেরকে প্রত্যেক সালাতের সময় দাঁতন (মেসওয়াক) করার নির্দেশ করতাম।” {বুখারী: ৮৮৭, মুসলিম: ৫৮৯}
হযরত আবু দারদা (রাঃ) বলেন ঃ তোমরা নিজেদের জন্যে মেসওয়াক করা অপরিহার্য করে নাও এবং এ ব্যাপারে উদাসীন হবে না। কেননা উহাতে চব্বিশটি উপকারিতা রয়েছে।
সবচেয়ে বড় ১০ টি উপকার হল-
(১) মেসওয়াক করলে আল্লাহ তা’আলা সন্তুষ্টি হন (২) নামাযের সওয়াব সাতাত্তর গুণ বৃদ্ধি পায়। (৩) স্বচ্ছলতা আসে।(৪) মুখ সুঘ্রাণ হয় (৫) দাঁতের মাড়ি শক্ত হয়। (৬) মাথ্যা ব্যথা সেরে যায় (৭) চোয়ালের ব্যথা দূর হয় (৮) ফেরেশতাগণ মোসাফাহা করেন (৯) চেহারা উজ্জ্বল হয়। (১০) দাঁত উজ্জ্বল হয়।
মেসওয়াক করার দশটি বিশেষ উপকারিতাঃ
হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, মেসওয়াকের মধ্যে দশটি গুণ রয়েছে (১) দাঁতের সবুজ রঙ দূর করে (২) দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করে (৩) দাঁতের মাড়ি শক্ত করে (৪) মুখ পরিষ্কার করে (৫) কফ দূর করে (৬) ফেরেশতারা খুশী হন (৭) আল্লাহ তা’আলার সন্তুষ্টী লাভ হয় (৮) সুন্নতের অনুসরণ করা হয় (৯) নামাযে সওয়াব বৃদ্ধি পায় (১০) শরীর সুস্থ থাকে।
এসব কিছু মেসওয়াক দ্বারা লাভ হয়।
মেস্ওয়াকের উপকারীতা বা গুণাবলী
মেস্ওয়াকের উপকারিতা গুনাগুন বা ওলামায়ে কেরাম মেস্ওয়াকের বহু উপকারিতা বর্ণনা করেছেন
আল্লামা তাহতাবী (রহঃ) মারাকিউল ফালাহের টিকার মধ্যে মেসওয়াকের উপকারিতা বর্ণনা প্রসঙ্গে লিখেছেন ঃ
ইমামগণ মেসওয়াকের যে সমস্ত ফযীলত হযরত আলী (রাঃ) হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস (রাঃ) ও হযরত আতা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন তাহল এই। তাঁরা বলেন-তোমরা অবশ্যই মেসওয়াক করবে। উহার ব্যাপারে কখনও উাদাসীন হবে না এবং নিয়মিত মেসওয়াক করবে। কেননা মেস্ওয়াক করলে-
১. আল্লাহ্ পাকের সন্তুষ্টির ওয়াদা রয়েছে। ২. নামাযের সাওয়াব নিরানব্বই অথবা চারশত গুণ বেড়ে যায়। ৩. নিয়মিত মেস্ওয়াক করার ফলে সচ্ছলতা বৃদ্ধি পায়। ৪. জীবিকা নির্বাহ সহজ হয়ে যায়। ৫. মুখ পরিস্কার হয়। ৬. মাড়ি ব্যথা ও মাথার সর্বপ্রকার রোগ সেরে যায়। ৭. মাথা ব্যথা ও মাথার সর্বপ্রকার রোগ সেরে যায়। ৮. কোন নিশ্চল রগ নড়াচড়া করে না এবং নড়াচড়াকারী কোন রগ নিশ্চল হয় না। ৯. কফ দূর হয়। ১০. দাঁত শক্ত হয়। ১১. দৃষ্টিশক্তি পরিস্কার হয়। ১২. পাকস্থলী ঠিক হয়। ১৩. শরীর শক্তিশালী হয়। ১৪. মানুষের বাকপটুতা মুখস্ত শক্তি ও জ্ঞান বাড়ে। ১৫. অন্তর পবিত্র হয়। ১৬. পুণ্য বেড়ে যায়। ১৭. ফেরেশতারা খুশী হন। ১৮. তারা চেহারার জ্যোতির কারণে তার সাথে ফেরেশতারা মোছাফা করেন। ১৯. যখন সে মসজিদ থেকে বের হয়, তখন ফেরেশতারা তার পিছনে পিছনে চলে। ২০. নবী ও রাসূলগণ তার জন্য ক্ষমা পার্থনা করেন। ২১. মেস্ওয়াক শয়তানকে অসন্তুষ্ট করে ও তাকে তাড়িয়ে দেয়। ২২. পাকস্থলী পরিস্কার করে। ২৩. খাদ্য হজম করে। ২৪. অধিক সন্তান জন্মায়। ২৫. চুলের ন্যায় সরু পুলসেরাত বিজলীর ন্যায় পার করে দিবে। ২৬. বার্ধক্য পিছিয়ে দেয়। ২৭. আমলনামা ডান হাতে দিবে। ২৮. আল্লাহর ইবাদত করার জন্যে শরীরে শক্তি দান করে। ২৯. শরীর থেকে উষ্ণতা দূর করে। ৩০. পিঠ মজবুত করে। ৩১. মৃত্যুর সময় কালেমায়ে শাহাদাত স্মরণ করিয়ে দেয়। ৩২. মৃত্যু কষ্ট অতি তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায়। ৩৩. দাঁত সাদা করে। ৩৪. মুখে সুঘ্রাণ আনে। ৩৫. কন্ঠ পরিস্কার করে। ৩৬. জিহ্বা পরিস্কার করে। ৩৭. বুদ্ধি তীক্ষ্ণ করে। ৩৮. আর্দ্রতা বন্ধ করে। ৩৯. দৃষ্টিশক্তি তীক্ষ্ণ করে। ৪০. প্রয়োজন পুরা হতে সাহায্য করে।
৪১. কবর প্রশস্ত করে দেয় এবং মৃত্যুর জন্য সমবেদনাশীল হয়ে যায়। ৪২. যারা মেসওয়াক করে না তাদের সওয়াব তার আমল নামায় লেখা হয়। ৪৩. বেহেশতের দরজা খুলে দেওয়া হয়। ৪৪. ফেরেশতাগণ তার জন্য প্রতিদিন বলতে থাকে এ ব্যক্তি নবীদের অনুসারী। তাঁদের পদাংক অনুসরণকারী।
৪৫. তার জন্য দোজখের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
৪৬. মেস্ওয়াককারী দুনিয়া হতে পবিত্র হয়ে যায়।
৪৭.মৃত্যুর ফেরেশতা তার কাছে এমন ছুরতে হাজির হয় যেরূপ কোন অলি-আল্লাহ বা নবীদের নিকট হাজির হয়।
৪৮. মেস্ওয়াককারী ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাউজ হতে পানি পান করার পূর্বে মৃত্যুবরণ করবে না।
৪৯. সর্বোপরি ফযীলত এই যে, মেস্ওয়াককারীর প্রতি আল্লাহ্ তা’য়ালা রাযী-খুশী হন।
৫০. মেসওয়াক করলে মুখ পরিস্কার হয়। মেস্ওয়াকের আরও বহু উপকারিতা হাদগীস ও ফেকাহর কিতাবে উল্লেখ আছে।
৫১. আল্লামা তাহতাবী একটি নতুন কথা লিখেছেন যে, মেসওয়াক করলে বেশী পরিমাণ মনী (বীর্য) সৃষ্টি হয়।
মহান আল্লাহ আমাদেরকে মেসওয়াক আদায়ে যত্নবান হওয়ার এবং এর সমূহ উপকরণ লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: