শীতে প্রবীণদের যেসব স্বাস্থ্য সমস্যা হয়
Автор: Manjur's Studio
Загружено: 2024-01-20
Просмотров: 1615
Описание:
শীতে প্রবীণদের যেসব স্বাস্থ্য সমস্যা হয়
শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত সমস্যা : শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত সমস্যা বা শ্বাসনালির প্রদাহ বয়স্কদের খুবই স্বাভাবিক। এ ছাড়াও শীতে সাধারণ সর্দি, কাশি বা ফ্লু এবং নিউমোনিয়া। যারা আগে থেকেই এজমা, ব্রঙ্কাইটিস, সিওপিডি, এমফাইসিমা ইত্যাদি রোগে ভোগেন, শীতের সময় এসব সমস্যা আরও প্রকট আকার ধারণ করে। এর থেকে পরিত্রাণের জন্য উচিত সব সময় গরম কাপড় পরিধান করা, গরম পানি পান ও ব্যবহার করা।রুম গরম রাখার জন্য সম্ভব হলে রুম হিটার ব্যবহার করা যেতে পারে। ঠান্ডা আবহাওয়ায় প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যাওয়া কোনো মতেই উচিত নয়, বিশেষ করে যারা শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। একান্ত প্রয়োজনে বাইরে যদি যেতেই হয়, যথেষ্ট পরিমাণ শীতের কাপড় পরিধান নিশ্চিত করতে হবে। মাথা ও কানের টুপি, মাফলার, হাতে উলের গ্লাভস ব্যবহার করা উচিত। যাদের এজমা বা শ্বাসকষ্ট আছে, তারা সব সময় ইনহেলার সঙ্গে রাখুন এবং প্রয়োজন হলেই ব্যবহার করুন।
খুব বেশি সমস্যা হলে ঘরে নেবুলাইজার ব্যবহার করা উচিত, প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
গিরায় ব্যথা বা আর্থ্রাইটিস : এ বয়সে অনেকেই অস্টিওআর্থ্রাইটিস, অস্টিওপরোসিস বা অন্যান্য হাড় ও অস্থিসন্ধির ব্যথায় ভোগেন। এমনকি অনেকের আগে থেকেই রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, এলকাইলোজিং স্পন্ডডিলাইটিস, সারভাইকাল স্পন্ডইলোসিস জাতীয় রোগ থাকতে পারে। শীতে এ ধরনের রোগীর ব্যথার সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে। এর মূল কারণ শুধু শীত নয়, বরং শীতকালে কাজকর্মে, শারীরিক পরিশ্রম বা নড়াচড়া কম হয় বলে এ সমস্যাগুলো আরও বেড়ে যায়। এর থেকে মুক্তির জন্য ঠান্ডা পরিহার করা উচিত। সম্ভব হলে ঘরের ভিতর হাঁটাহাঁটি, হাত-পা নড়াচড়ার মতো হালকা ব্যায়ামের অনুশীলন করতে হবে। এতে শরীরে তাপ উৎপন্ন হবে, শীত কম লাগবে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
রেনোড ফেনোমেনন : তীব্র ঠান্ডায় হাত-পা নীল হয়ে যাওয়াকে রেনোড ফেনোমেনা বলে। হাত ও পায়ের আঙ্গুলে রক্ত সরবরাহ কম হওয়ার কারণে এমন হতে পারে। সাধারণত ধূমপায়ী ও বাত রোগীদের এটি বেশি হয়। এর ফলে ত্বকে অস্বাভাবিক অনুভূতি হওয়া, রক্তপ্রবাহ সঠিকভাবে না হওয়া, হাতে ও আঙ্গুলে ব্যথা, কব্জি ফুলে যাওয়া, ত্বকের ক্ষত, মাংসপেশিতে ব্যথা ইত্যাদি হতে পারে। এমনকি ঠান্ডায় আঙ্গুলে ইস্কিমিক আলসারও হতে পারে। একে ফ্রস্ট বাইট বলে। যাদের এই সমস্যা হয়, তাদের উচিত মোজা পরিধান করা, গরম সেঁক দেওয়া, ঘরেই হালকা মুভমেন্ট করা ও চিকিৎসকের নির্দেশনা মতো চলা। অবশ্যই ধূমপান পরিহার করতে হবে। এসব রোগীর ঠান্ডা পানি ব্যবহার না করে, গরম পানি ব্যবহার করতে হবে।
হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক : শীতে বয়স্কদের হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকিটাও বেশি থাকে। কারণ শরীর থেকে গরম বের হতে পারে না, ঠান্ডায় ধমণী সংকুচিত হয়ে রক্ত চলাচলে বিঘ্ন ঘটায়। এ ছাড়াও রক্তের ঘনত্ব বৃদ্ধি পায়, ফলে রক্তনালিতে রক্ত সহজেই জমাট বেঁধে দেখা দেয় স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাক। এর থেকে পরিত্রাণের জন্য গরম কাপড় পরিধান করতে হবে, গরম পানি পান ও ব্যবহার করতে হবে। ঘরে রুম হিটার ব্যবহার করা যেতে পারে। যারা অন্যান্য রোগে ভোগেন যেমন ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ ইত্যাদি, তাদের অবশ্যই এসব রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। বুকে ব্যথা অনুভব করলে তা আমলে এনে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
হাইপোথার্মিয়া : যখন শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় কমে যায়, তাকে হাইপোথার্মিয়া বলে। বয়স্কদের এই ঝুঁকিটা বেশি থাকে, বিশেষ করে শীতের সময়। হাইপোথার্মিয়া হলে বিপাকীয় কার্যাবলি স্বাভাবিকভাবে সম্পন্ন হয় না, শরীরে কাঁপুনি হয়, স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারে না, দিকভ্রান্ত হয়, হোঁচট খেতে থাকে, গতি ধীর হয়ে যায়, কথাবার্তা জড়িয়ে যেতে থাকে। পরবর্তী পর্যায়ে শ্বাস-প্রশ্বাস এবং হৃৎস্পন্দন আশঙ্কাজনক মাত্রায় কমে যায়। কোনো সময় জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন এমনকি মৃত্যুবরণও করতে পারেন। এ সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য গরম কাপড় পরিধান করতে হবে, গরম পানি পান, অজু বা গোসলের সময় অবশ্যই গরম পানি ব্যবহার করতে হবে।
চর্মরোগ : শীত এলেই কিছু চর্মরোগ নতুন করে আবির্ভূত হয়, যা গরমকালে খুব একটা দেখা যায় না। বিশেষ করে চামড়ার শুষ্কতা, চুলকানি, হাত-পা ফেটে যাওয়া, মুখে ও জিহ্বায় ঘা ছাড়াও নানা ধরনের চর্মরোগ বা খোসপাঁচড়া বেশি দেখা দেয়। এ ছাড়া ভাইরাসের কারণে মুখে জ্বরঠোসা, ফাঙ্গাসের কারণে ত্বকে ডার্মাটাইটিস, স্ক্যাবিস ইত্যাদি দেখা দেয়। এ সময় বয়স্কদের বিশেষ যত্ন নিতে হবে। কেননা এসব রোগের প্রবণতা তাদের বেশি থাকে। তাদের বিছানা বা পরনের কাপড় যথেষ্ট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। এক বিছানায় গাদাগাদি করে ঘুমানো উচিত নয়। ত্বকের সুরক্ষায় ময়েশ্চারাইজার যেমন ভ্যাসলিন, গ্লিসারিন, অলিভ অয়েল বা সরিষার তেল ব্যবহার করতে পারেন। গোসলের আগে নয়, গোসলের পর গা ভেজা ভেজা থাকতেই এগুলো ব্যবহার করা ভালো। চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।
মানসিক সমস্যা : প্রবল শীতে অনেকেরই অবসাদগ্রস্ত হয়ে বিষন্নতাসহ বিভিন্ন মানসিক সমস্যা হতে পারে, যা সাধারণত প্রবীণ বা বৃদ্ধদেরই বেশি হয়। তখন তারা সব কিছু থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন ভাবতে শুরু করেন। ট্রমা ও বিষণœতায় ভোগা এসব মানুষের দিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। এ সময় অন্য সদস্যদের তাদের সঙ্গে বেশি সময় দেওয়া উচিত। বিশেষ করে তাদের নিয়ে একসঙ্গে গল্প করা যেতে পারে। তারা যেমন একা একা না থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। মোট কথা, পরিবারের সবারই উচিত তাদের উৎফুল্ল রাখার চেষ্টা করা।
#shortsfeed #health #বাংলাহেলথটিপস #হেলথটিপস #স্বাস্থ্য #শট
Повторяем попытку...

Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: