Bonkku babur Bondhu(বঙ্কুবাবুর বন্ধু) -Satyajit Roy (সত্যজিৎ রায়) || সারাংশ মধুর কন্ঠে by JUF anmol
Автор: JUFinspired
Загружено: 2022-10-30
Просмотров: 872
Описание:
Bonkku babur Bondhu(বঙ্কুবাবুর বন্ধু) -Satyajit Roy (সত্যজিৎ রায়) || সারাংশ মধুর কন্ঠে by JUF anmol
#BonkkuBaburBondhu
#SatyajitRoy
#JUFanmol
---------------------------------------------------------------------
সত্যজিৎ রায়ের সংক্ষিপ্ত জিবন কাহিনী |
বঙ্কুবাবুর বন্ধু - সত্যজিৎ রায় এর ছোটো গল্প টির
মধুর সুরে শুনুন।
কবিতা
---------------------------------------------------------------------
সত্যজিৎ রায়ের 'বঙ্কুবাবুর বন্ধু' গল্পটি হল কল্পবিজ্ঞান নির্ভর কাহিনি। এই কাহিনির চূড়ান্ত পরিসমাপ্তি বা কল্পবিজ্ঞানের মধ্য দিয়ে হলেও, ওই কল্পবিজ্ঞানের ভেতর দিয়েই বঙ্কুবাবু চরিত্রটির চূড়ান্ত পরিবর্তন এসেছে।
কাঁকুড়গাছি প্রাইমারি স্কুলের এক অতিসাধারণ শিক্ষক হলেন বঙ্কুবাবু। ছেলেরা তাঁকে খুবই জ্বালাতন করে। বলে শিক্ষকতা করে তিনি কখনও তেমন স্বস্তি পান নি। প্রতি শনি রবিবার সন্ধ্যাবেলা প্রতিবেশী শ্রীপতি মজুমদারের বাড়ির চায়ের আড্ডায় বঙ্কুবাবু যেতেন সেখানেও নানাভাবে তাঁকে হেনস্থা হতে হত।
আসলে বঙ্কুবাবুর নিরীহ স্বভাবের জন্য সবাই তাঁকে নিয়ে কৌতুক করত। ছাত্রদের অত্যাচার মেনে নিলেও বয়স্কদের এই ধরনের আচরণ তিনি একেবারেই বরদাস্ত করতে পারতেন না মনে মনে বেশ কষ্ট পেতেন। যাঁরা যাঁরা তাঁকে নিয়ে বিশ্রীভাবে কৌতুক করতেন, তাঁদের নিয়ে বঙ্কুবাবু মনে মনে যে ছবি আঁকতেন, মনের সেই ছবিতে ওঁদের কুৎসিত ছবিই ফুটে উঠত।
বঙ্কুবাবুর মনে হত, শ্রীপতির উটের মতো থুতনি আর ভৈরব চক্কোত্তির কচ্ছপের মতন চোখ। নিধু মোক্তারকে তাঁর মনে হত ছুঁচো, রামকানাইকে ছাগল, আর চণ্ডীবাবুকে চামচিকে ছাড়া আর কিছু নয়। এইরকম মনে হওয়া সত্ত্বেও বঙ্কুবাবু তাঁদের সঙ্গে মিশতেন এবং ঘৃণা করতেন।শেষ ঘটনাটি ঘটল একদিন রাতে, আড্ডা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে। বঙ্কুবাবু পা ঘোষের বাঁশবাগানের মাঝবরাবর এসে একটি আলো দেখে অবাক হয়ে গেলেন।
আলোর উৎস খুঁজতে বাঁশবাগানে গিয়ে তিনি দেখলেন, একটি বিশাল উপুড় করা কাঁচের বাটির মতো জিনিস, তার ভেতর থেকে একটি অদ্ভুত-দর্শন প্রাণী বেরিয়ে এল। সেই প্রাণীটি নিজের পরিচয় দিয়ে জানাল যে, সে ভুল করে ক্রেনিয়াস গ্রহ থেকে পৃথিবীতে এসে পড়েছে। তার নাম অ্যাং সে এও জানাল যে তাদের গ্রহের জীবরা পৃথিবীর মানুষের থেকে অনেক উন্নত।
সে চোদ্দ হাজার ভাষা জানে – সৌরজগতের এমন ভাষা নেই, যা সে জানে না। এছাড়াও সে জানে একত্রিশটি বাইরের গ্রহের ভাষা, এর মধ্যে পঁচিশটি গ্রহে সে নিজে গিয়েছে। সে এমন একটি যন্ত্র তাকে দেখাল যে, তার প্রয়োগে শত্রুকে জখম না-করেও তাকে অক্ষম করে দেওয়া যায়। বঙ্কুবাবু অ্যাং-এর সাথে কথাবার্তা বলে বুঝতে পারলেন যে, অ্যাং সত্যিই উন্নত।
বঙ্কুবাবুকে সে আশ্চর্য একটি যন্ত্র দিয়ে নর্থ পোল দেখিয়ে দিল – দেখিয়ে দিল, অরোরা বোরিয়ালিস, ইগলু, পোলার বিয়ার, পেঙ্গুইন ইত্যাদি। এর পরে সে দেখাল, ব্রেজিলের নদী ও জঙ্গল, দেখাল পিরানহা মাছ। বঙ্কুবাবু কোনো কথা বলার আগেই অ্যাং তাঁর মনের কথা বুঝতে পারছে। বঙ্কুবাবুর সঙ্গে কথা বলে অ্যাং জানাল যে, নিরীহ হওয়া ভালো, কিন্তু বঙ্কুবাবুর মতো অতটা নিরীহ হওয়া ঠিক নয়, এরপর অ্যাং প্লুটোর উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়ে চলে গেল।
খুব আশ্চর্যজনকভাবে এই ঘটনার পর বঙ্কুবাবুর চরিত্র বদলে গেল –এরপর থেকে তিনি দৃঢ়চেতা এবং স্পষ্টবাদী মানুষ হয়ে গেলেন।পরের দিন তিনি শ্রীপতি বাবুদের চায়ের আড্ডায় গিয়ে এতদিন ধরে তাঁদের বলা সমস্ত কথার যোগ্য জবাব দিয়ে এলেন। পঞ্চা ঘোষ ও অন্যান্যদেরকে বঙ্কুবাবু জানালেন যে, অ্যাং নামের একটি অদ্ভুত উন্নত প্রাণী ক্রেনিয়াস গ্রহ থেকে এক বিচিত্র যানে করে পণা ঘোষের বাঁশবাগানে এসে নেমেছিল – সেই জন্যই বাঁশবাগানের অনেকটা জায়গা শূন্য হয়ে গেছে।
সবাইকে স্তব্ধ ও বিস্মিত করে দিয়ে একথা বলে বঙ্কুবাবু ঘর ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন। — শেষে বোঝা গেল, গ্রহান্তরের প্রাণী অ্যাং বঙ্কুবাবুকে প্রকৃত বন্ধুর মতো তাঁর চরিত্রের মধ্যে একটা অদ্ভুত দৃঢ়তা এবং স্পষ্টবাদিতা এনে দিয়ে গেছে।
---------------------------------------------------------------------
#বঙ্কুবাবুর_বন্ধু
#সত্যজিৎ_রায়
Sattojit Ray
Повторяем попытку...

Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: