বগুড়ায় ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহ ও মাছের মেলা ইতিহাস গাবতলী উপজেলা shahinur travels vlog
Автор: shahinur travels vlog
Загружено: 2023-02-17
Просмотров: 166
Описание:
বগুড়ায় ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহ ও মাছের মেলা ইতিহাস গাবতলী উপজেলা History of traditional cremation and fish fair in Bogura
পোড়াদহ মেলা বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের একটি প্রাচীন লোকজ মেলা। বগুড়া জেলা শহর হতে ১১ কিলোমিটার পূর্বদিকে ইছামতি নদীর তীরে পোড়াদহ নামক স্থানে প্রতি বছর যে মেলা বসে তাই পোড়াদহ মেলা নামে পরিচিত। বাংলাদেশে গ্রামীণ মেলাসেমূহের মধ্যে বগুড়ার পোড়াদহ মেলা অন্যতম। মেলাটি প্রায় চার শত বছর পূর্বে শুরু হয় বলে ধারণা করা হয়।
পোড়াদহ মেলা, যাকে বলা হয় ঐতিহাসিক পোড়াদহ মেলা শুরুর সঠিক সাল জানা যায় না। তবে বলা হয় বর্তমান সময় থেকে প্রায় চারশত[১][২] বছর পূর্বে কোন এক সময়ে মেলা সংগঠনের স্থানে একটি বটবৃক্ষ ছিল। একদিন হঠাৎ করে সেখানে এক সন্ন্যাসীর আবির্ভাব হয়। তারপর সেখানে দলে দলে সন্ন্যাসীরা এসে একটি আশ্রম তৈরি করেন। এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়েরর কাছে সেটি একটি পূণ্য স্থানে পরিণত হয়। হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন সেখানে প্রতিবছর মাঘ মাসের শেষ দিনের কাছের (শেষ দিনের পূর্বের অথবা শেষ দিনের পরের) বুধবার সন্ন্যাসী পূজার আয়োজন করে। দূরদূরান্ত থেকে ভক্তরা প্রতি বছর সেই দিনটিতে এসে সমাগত হতে থাকে। দিন গড়ানোর সাথে সাথে প্রতিবছর লোকসমাগম বাড়তে থাকে। আস্তে আস্তে পূজার দিনটিতে একটি গ্রাম্য মেলার গোড়াপত্তন হয়। এক সময় সন্ন্যাসীরা স্থানটি ত্যাগ করে চলে গেলেও সন্ন্যাসী পূজাটি অব্যাহত থাকে। ধীরে ধীরে মেলাটির পরিচিতি বাড়তে থাকে এবং দূরদূরান্ত থেকে মেলা দেখতে লোকজন আসে। পূজা-পার্বণ মূলত হিন্দু সম্প্রদায়ের উৎসব হলেও মেলাটি ধর্মের গন্ডি পেরিয়ে সব ধর্মের মানুষকে উৎসবে একত্র করে এবং অদ্যাবধি কাল পর্যন্ত এটি সকল ধর্মের হাজার হাজার মানুষের এক বিশাল জনসমাগম। এখনও সন্ন্যাসী পূজাটি চালু রয়েছ।
সন্ন্যাসী পূজা উপলক্ষে মেলাটি শুরু হয়েছিল তাই এর নাম প্রথম অবস্থায় ছিল সন্ন্যাসী মেলা। মেলাটি পোড়াদহ নামক স্থানে সংগঠিত হয় বলে লোক মুখে স্থানের নাম অনুসারে পোড়াদহর মেলা হিসাবে চলতে চলতে এক সময় এর নাম পোড়াদহ মেলা হিসাবে প্রচলিত হয়ে যায়। মেলা উপলক্ষে আশেপাশের গ্রামের যেসব মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেছে তারা জামাই নিয়ে বাপের বাড়িতে হাজির হয় বলে অনেকে একে জামাই মেলা হিসেবেও সম্বোধন করেন। আবার মেলায় বড় বড় হরেক প্রজাতির মাছ পাওয়া যায় বলে একে মাছের মেলা বললেও অত্যুক্তি হবে না। বিভিন্ন জন বিভিন্ন নামে সম্বোধন করলেও এটি মূলত পোড়াদহ মেলা নামেই সবার কাছে পরিচিত
মেলা মূলত প্রতি বছর বাংলা সনের মাঘ মাসের শেষ তিন দিনের মধ্যে আগত বুধবারে আয়োজিত হয়।[৪] সেদিন দূরদূরান্তের মানুষ মেলায় আসে। তবে একদিনের মেলা হলেও স্থানীয়ভাবে সপ্তাহব্যাপী উৎসব লেগে থাকে। মেলা উপলক্ষে প্রতিটি বাড়িতে আত্মীয় স্বজনরা এসে জড়ো হয়। চারিদিকে উৎসব মুখর অবস্থা বিরাজ করে। মূল মেলার পরদিন বৃহস্পতিবার একই স্থানে এবং আশেপাশের গ্রামে গ্রামে চলে ছোট আকারের বউ মেলা। মূল মেলাটি সরকারী তত্বাবধানে আয়োজন করা হলেও বউ মেলা স্থানীয় গ্রামবাসীর উদ্যোগে আয়োজন করা হয়। গ্রামের যেসব মহিলা কাজের চাপে অথবা সামাজিক রক্ষণশীলতার কারণে মূল মেলায় যেতে পারেন না তাদের জন্যই বিশেষ করে এই আয়োজন করা হয়। বউ মেলার একটি বিশেষত্ব হলো এখানে বিবাহিত (নিজ নিজ স্বামীর সঙ্গে) এবং অবিবাহিত নারীরা প্রবেশ করতে এবং কেনাকাটা করতে পারেন।
1.৪শ' বছরের পুরনো বগুড়ার ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহ মেলা
2.বগুরায় ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহ মেলা শুরু
3.লাখো মানুষের পদভারে মুখরিত মেলা প্রাঙ্গণ | Poradoho Mela
4.বগুড়ায় শুরু হয়েছে 'পোড়াদহ' মেলা
5.মাছ-মিষ্টিতে জমজমাট পোড়াদহ মেলা
6.পোড়াদহ মেলা: বাগাড়ের দখল নিয়েছে কাতল, বিগহেড
7.বগুড়ায় ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহ মেলা মাঘের শেষ বুধবার
8.বগুড়ায় পোড়াদহ মেলা অনুষ্ঠিত, আজ 'বউ মেলা'
9.বগুড়ায় হয়ে গেল ৪০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহ মেলা
10.চার শ' বছরের ঐতিহ্য বগুড়ায় সন্ন্যাসের পোড়াদহ মেলা
11.150-year old traditional festival in Bogura
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: