ইংরেজ বিরোধী ডাকাত রাণী দেবী চৌধুরানী । The real historical story of devi choudhurani & Secrets
Автор: NBV Monajir
Загружено: 2022-07-23
Просмотров: 18427
Описание:
দেবী চৌধুরাণী ব্রিটিশ ভারতে ইতিহাসে যে কয়জন নারী ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের সাথে জরিত ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম।
তার বাবার নাম ছিলো ব্রজ কিশোর চৌধুরী এবং মাতার নাম কাশীশ্বরী দেবী।
মন্থনার জমিদার নারায়ণ চন্দ্র চৌধুরীর সাথে তার বিবাহ হয়। স্বামীর মৃত্যুর পর জমিদারির দায়িত্ব তার উপর এসে পড়ে। তিনি প্রজাদের খুব ভালোবাসতেন।
তার সময় রংপুর অঞ্চলের কালেক্টর হয়ে আসেন জনাথন গুডল্যাড এবং তার দেওয়ান নিযুক্ত হন দেবীসিংহ।দেওয়ান দেবীসিংহ ও তার কর্মচারী হরে রামের উপর রাজস্ব আদায়ের দায়িত্ব প্রদান করেন।রাজস্ব আদায়ে সময় তাদের অত্যাচারে কৃষক এমনকি জমিদাররাও অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে।এছাড়াও সেই সময় ইংরেজ নীলকরদের অত্যাচার বেড়ে যায়,তারা জোরপূর্বক উর্বর জমিতে কৃষকদের নীলচাষ করতে বাধ্য করা শুরু করে।তারই পরিপ্রেক্ষিতে দেবী চৌধুরাণী ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে।আর তার কারণে তিনি ব্রিটিশদের রোষানলে পড়ে।তাকে দমন করার জন্য মীর কাশিমের নেতৃত্বে একদল ইংরেজ সৈন্যবাহিনী পাঠায়।এ যুদ্ধে দেবী চৌধুরানীর সাথে রংপুরের নূর উদ্দিন বাকের মুহাম্মদ জং,ভবানী পাঠক এবং দিনাজপুর, রংপুর ও বগুড়া অঞ্চলের শত শত কৃষক অংশ নেয়।১৭৬০ সালে ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধ শুরু হয়। যুদ্ধে দেবী চৌধুরাণী জয়লাভ করে। যুদ্ধে ইংরেজ ক্যাপ্টেনসহ অনেকে নিহত হন এবং মীর কাশিম পিছু হটতে বাধ্য হন।দেবী চৌধুরাণীর যুদ্ধে জয়লাভের স্থানটি এখনও মানুষের কাছে "জয়পুর" নামে পরিচিত।
১৭৮৩ সালে এপ্রিল মাসে পহেলা বৃহস্পতিবার (বর্তমান পীরগাছা উপজেলার চন্ডিপুর গ্রাম) লর্ড ওয়ারেন হেস্টিংস এর নেতৃত্বে একদল ইংরেজ বাহিনীর আধুনিক অস্ত্রের সাথে যুদ্ধ করে পরাজিত এবং নিহত হন।এই যুদ্ধে দেবী চৌধুরাণীর সাথে অন্নদানগরের জমিদারও নিহত হন।দেবী চৌধুরাণীর পরাজিত স্থানে বাংলা বৈশাখ মাসের প্রতি বৃহস্পতিবার মেলা বসে। যা "নাপাইচন্ডি" মেলা নামে পরিচিত।
পন্ডিত ভবানীচরণ পাঠক অষ্টাদশ শতকে বঙ্গভূমিতে ইংরেজ শাসন-শোষণ এবং অত্যাচারী নবাবের বিরুদ্ধে সংঘঠিত দীর্ঘস্থায়ী ধর্মযুদ্ধ 'সন্ন্যাসী বিদ্রোহ'র প্রধান নায়ক । সন্ন্যাসী বিদ্রোহ ভারতবর্ষের প্রথম ব্রিটিশ-বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রাম । ভবানীচরণ পাঠকের জন্মসাল সম্পর্কে কোন তথ্য পাওয়া যায় না তবে আনুমানিক ১৭২৫-১৭৩০ সাল বঙ্গাব্দ ১১৩১-১১৩৬ সনে তিনি ইতিহাসে তাঁর বর্ণময় অস্তিত্ব বর্তমান । তিনি শ্রোত্রিয় বারেন্দ্র ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ভুক্ত ছিলেন । ভবানী পাঠকের পূর্ব পুরুষেরা পুন্ড্রবর্ধনের মহাস্থানগড় অঞ্চলের অধিবাসী ছিলেন।পরে তার পূর্বপুরুষেরা কোচবিহার রাজ্যের পাঙ্গা পরগনার ফুলবাবুর চাখলায় বসবাস শুরু করেন (বর্তমান কুড়িগ্রাম জেলার, রাজারহাট উপজেলার পাঠক চাকিরপশার মৌজা।ভবানী পাঠকের পিতার নাম সিদ্ধিনাথ পাঠক। তার দলে গিরি সম্প্রদায়ভুক্ত হিন্দু সন্ন্যাসী যোদ্ধা ছাড়াও ছিল নিগৃহীত কৃষক-প্রজার সৈন্যবাহিনী । ইংরেজদের বিরুদ্ধে অভিযানের প্রধান ক্ষেত্র
ছিলো রংপুর, বগুড়া, দিনাজপুর, মালদহ, কোচবিহার ও ময়মনসিংহের বিস্তৃতঅঞ্চল। তিনি সমগ্র উত্তরবঙ্গ কে মুঘল নবাব ও ইংরেজদের থেকে মুক্ত করেন । তিনি তার তৎপরতার ক্ষেত্রে এই বিদ্রোহের অন্যতম নায়িকা দেবী চৌধুরানীর সক্রিয় সাহায্য ও সমর্থন লাভ করেন। ১৭৮৭ সালের মাঝামাঝি থেকে ভবানীচরণ পাঠক ও দেবী চৌধুরানীর নামের পাশাপাশি উল্লেখ দেখা যায়। তাদের যৌথ আক্রমণে ময়মনসিংহ এবং বগুড়া জেলার একটি বিস্তীর্ণ এলাকায় শাসন ব্যবস্থা কার্যত অচল হয়ে পড়ে। ফলে ইংরেজ শাসকদের তরফ থেকে তাদের দু জনকে গ্রেফতার করা হয়। ১৭৮৭ সালের জুন মাসে রংপুর জেলার গোবিন্দগঞ্জের কাছে পুনরায় তিনি ইংরেজদের সাথে জলযুদ্ধে অবতীর্ণ হন, এবং সেই যুদ্ধে তিনি পরজিত ও নিহত হন। আহত ও বন্দী হয়েছিলো আরো ৫০ জন। এ ছাড়া বিদ্রোহীদের অস্ত্র-শস্ত্র পূর্ণ আরো সাতখানি নৌকা ইংরেজ বাহিনীর হস্তগত হয়। এই জলযুদ্ধের সময় দেবী চৌধুরানী উপস্থিত ছিলেন না। ভবানী পাঠকের মৃত্যুর পরেও এই বিদ্রোহ আরো কিছুকাল অব্যহত থাকে।
তথ্যসূত্র
↑ প্রভাত, শুভ (২০২১-০৬-২৩)। "দেবী চৌধুরানী: একজন ব্রিটিশ বিরোধী বিপ্লবীর ইতিহাস জানুন"। শুভ প্রভাত। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-৩১।
↑ চক্রবর্তী, সুমনা (২০২১-০৭-১৫)। "দেবী চৌধুরানী, বাংলার 'ব্যান্ডিট কুইন'!"। EiSamay Gold। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-৩১।
↑ "দেবী চৌধুরানী মন্দির : শতবর্ষ পার করেও একই রকম রহস্যময়"। Aaj Tak বাংলা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-৩১।
↑ "দেবী চৌধুরানী এবং ভবানী পাঠকের মিথ আঁকড়ে তৈরি হচ্ছে শিকারপুর"। Aaj Tak বাংলা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-৩১।
↑ "Rituporno Ghosh : সোনম কাপুরকে দেবী চৌধুরানী করতে চেয়েছিলেন ঋতুপর্ণ"। Aaj Tak বাংলা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-৩১।
↑ "আনন্দবাজার পত্রিকা - উৎসব"। archives.anandabazar.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-৩১।
↑ "দেবী চৌধুরাণী আইন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম শুরু"। মানবজমিন। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-৩১।
↑ "রংপুরের চৌধুরানী এখন স্টার জলসার জনপ্রিয় সিরিয়াল"। jagonews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-৩১।
ধন্যবাদ আমার চ্যানেলটি সাপোর্ট করার জন্য। আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি বাংলাদেশের মাটিতে এরকম ভাবে ভিডিও করে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করতে পারব। দ্রুত১০০০ সাবসক্রাইবার করতে সাহাজ্য করবেন।
Thanks for Watching #nbvmonajir
Повторяем попытку...
Доступные форматы для скачивания:
Скачать видео
-
Информация по загрузке: